রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখতে আর কোনো বাধা নেই। রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এরপর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কার্যক্রমের সূচি পূণরায় ঘোষণা করেছে দুই মন্ত্রণালয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের রায় দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন শুনানিতে বলেন, রমজানে স্কুল খোলা রাখা সরকারে নীতিগত সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
মুসলিম প্রধান কোনো দেশে কতদিন রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তার চিত্র আদালতে তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সেখানে দেখা যায়, মুসলিম প্রধান কোনো দেশেই পুরো রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে না।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী একেএম ফয়েজ বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশ নয়। রমজানে স্কুল খোলা থাকলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী উভয়েই সমস্যায় পড়েন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে ১১ মার্চ রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে নিস্পত্তির জন্য পাঠিয়ে দেয় চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
ওইদিন শুনানিতে একেএম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন বলেও ওইদিন আইনজীবী ফয়েজ আদালতকে জানান।
১১ মার্চ সকালে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
তার আগে ১০ মার্চ রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও রমজানে ১০ দিন ক্লাস নেয়ার সিন্ধান্ত জানায়। দুই মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
রোজায় স্কুল খোলার সূচি ফের জানাল দুই মন্ত্রণালয়
রমজান মাসে স্কুল কত দিন খোলা থাকবে, তা পূণরায় জানিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দুই মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গতকাল জানানো হয়, ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে সরকারি প্রাথমিক স্কুল রমজানের প্রথম দশদিন অর্থাৎ ২১ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর জারি করা সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।’ আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলো নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ক্লাশ নিতে পারবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর পবিত্র রমজানে স্কুল খোলা রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনো বাধা নেই। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা থাকবে।
রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম চলবে নতুন সময়সূচিতে। সেই অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এ ছাড়া রোজা উপলক্ষে মাদ্রাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ পর্যন্ত মাদ্রাসায় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখতে আর কোনো বাধা নেই। রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এরপর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কার্যক্রমের সূচি পূণরায় ঘোষণা করেছে দুই মন্ত্রণালয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের রায় দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন শুনানিতে বলেন, রমজানে স্কুল খোলা রাখা সরকারে নীতিগত সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
মুসলিম প্রধান কোনো দেশে কতদিন রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তার চিত্র আদালতে তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সেখানে দেখা যায়, মুসলিম প্রধান কোনো দেশেই পুরো রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে না।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী একেএম ফয়েজ বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশ নয়। রমজানে স্কুল খোলা থাকলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী উভয়েই সমস্যায় পড়েন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে ১১ মার্চ রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে নিস্পত্তির জন্য পাঠিয়ে দেয় চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
ওইদিন শুনানিতে একেএম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন বলেও ওইদিন আইনজীবী ফয়েজ আদালতকে জানান।
১১ মার্চ সকালে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
তার আগে ১০ মার্চ রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও রমজানে ১০ দিন ক্লাস নেয়ার সিন্ধান্ত জানায়। দুই মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
রোজায় স্কুল খোলার সূচি ফের জানাল দুই মন্ত্রণালয়
রমজান মাসে স্কুল কত দিন খোলা থাকবে, তা পূণরায় জানিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দুই মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গতকাল জানানো হয়, ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে সরকারি প্রাথমিক স্কুল রমজানের প্রথম দশদিন অর্থাৎ ২১ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর জারি করা সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।’ আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলো নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ক্লাশ নিতে পারবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর পবিত্র রমজানে স্কুল খোলা রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনো বাধা নেই। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা থাকবে।
রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম চলবে নতুন সময়সূচিতে। সেই অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এ ছাড়া রোজা উপলক্ষে মাদ্রাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ পর্যন্ত মাদ্রাসায় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।