নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিটি ‘মিডটার্ম ও বার্ষিক ‘চূড়ান্ত’ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টায় নেয়ার প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এছাড়া প্রচলিত নিয়মে পাবলিক পরীক্ষা অন্য কেন্দ্রে এবং চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণীর পরীক্ষা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানেই নেয়ার প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। আর সকাল ১০টা থেকে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বা পরীক্ষা শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি রাখার প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। এতে ছয়টি সেশন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গতকাল ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এক সভায় নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের এই খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। যদিও সভায় এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিন্ধান্ত হয়নি বলে একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের প্রথম দিকে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এই কমিটিরই সভা ছিল ওইদিন।
ওইদিন সভা শেষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কার্যক্রম কীভাবে হবে সে বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এনসিটিবি নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে। কিছুটা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আগামীতে আরো সভা হবে।’
এনসিটিবির পক্ষ্য থেকে স্কুল সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা নাগাদ প্রতিদিন একটি বিষয়ের মূল্যায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে টানা পাঁচ ঘণ্টা বসে পরীক্ষা দিতে হবে না। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্ন বিরতি থাকবে। এর মধ্যেই বিষয়ভেদে এক থেকে দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ওইদিন (২৪ মার্চ) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনায় এসেছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে এনসিটিবির এক সদস্য বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত-ছয় ঘণ্টা। এই ছয় ঘণ্টার মধ্যে মাঝখানে এক ঘণ্টা নামাজ এবং মধ্যাহ্ন বিরতি থাকবে। বাকি পাঁচ ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা কাজ করবে। একটি ‘এক্সপেরিমেন্ট’ দেয়া হবে।
মূল্যায়ন কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, শেষ সময়ে এক ঘণ্টা বা বিষয় অনুযায়ী সোয়া এক ঘণ্টা একটি লিখিত অংশ থাকবে। বাকি সময় শিক্ষার্থীদের ‘অ্যাকটিভিটিজে’ ব্যস্ত থাকবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যেভাবে মূল্যায়ন হয় সেভাবেই এই কার্যক্রম হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু পাবলিক পরীক্ষার সেন্টারে যেতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাইরের মূল্যায়নে অন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা সারাদিন কাজ দেয়া হবে এবং তাদের অবজারভেশন-চেকলিস্ট অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।
অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে যথারীতি এসএসসি ও এইচএসসিতে পাবলিক পরীক্ষা থাকবে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে এই পরীক্ষা নেই। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শুধু স্কুলের পরীক্ষা থাকবে।
২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে।
সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিটি ‘মিডটার্ম ও বার্ষিক ‘চূড়ান্ত’ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টায় নেয়ার প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এছাড়া প্রচলিত নিয়মে পাবলিক পরীক্ষা অন্য কেন্দ্রে এবং চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণীর পরীক্ষা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানেই নেয়ার প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। আর সকাল ১০টা থেকে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বা পরীক্ষা শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি রাখার প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। এতে ছয়টি সেশন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গতকাল ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এক সভায় নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের এই খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। যদিও সভায় এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিন্ধান্ত হয়নি বলে একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের প্রথম দিকে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এই কমিটিরই সভা ছিল ওইদিন।
ওইদিন সভা শেষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কার্যক্রম কীভাবে হবে সে বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এনসিটিবি নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে। কিছুটা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আগামীতে আরো সভা হবে।’
এনসিটিবির পক্ষ্য থেকে স্কুল সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা নাগাদ প্রতিদিন একটি বিষয়ের মূল্যায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে টানা পাঁচ ঘণ্টা বসে পরীক্ষা দিতে হবে না। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্ন বিরতি থাকবে। এর মধ্যেই বিষয়ভেদে এক থেকে দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ওইদিন (২৪ মার্চ) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনায় এসেছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে এনসিটিবির এক সদস্য বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত-ছয় ঘণ্টা। এই ছয় ঘণ্টার মধ্যে মাঝখানে এক ঘণ্টা নামাজ এবং মধ্যাহ্ন বিরতি থাকবে। বাকি পাঁচ ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা কাজ করবে। একটি ‘এক্সপেরিমেন্ট’ দেয়া হবে।
মূল্যায়ন কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, শেষ সময়ে এক ঘণ্টা বা বিষয় অনুযায়ী সোয়া এক ঘণ্টা একটি লিখিত অংশ থাকবে। বাকি সময় শিক্ষার্থীদের ‘অ্যাকটিভিটিজে’ ব্যস্ত থাকবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যেভাবে মূল্যায়ন হয় সেভাবেই এই কার্যক্রম হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু পাবলিক পরীক্ষার সেন্টারে যেতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাইরের মূল্যায়নে অন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা সারাদিন কাজ দেয়া হবে এবং তাদের অবজারভেশন-চেকলিস্ট অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।
অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে যথারীতি এসএসসি ও এইচএসসিতে পাবলিক পরীক্ষা থাকবে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে এই পরীক্ষা নেই। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শুধু স্কুলের পরীক্ষা থাকবে।
২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে।