প্রশ্নের কাগজের মান ও উত্তরের জায়গার সংকুলান নিয়ে অভিযোগ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের
২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের ‘আণুবীক্ষণিক’ প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ করছেন ক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ফিজিক্স বিষয়ের প্রশ্ন শটকার্টে সমাধান করার জন্যে উত্তরপত্রে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়নি। আরও অভিযোগ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা এমনিতে স্নায়ুবিক দুঃশ্চিন্তায় থাকে তার মধ্যে ‘হিজিবিজি’ প্রশ্ন, যা ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাথায় বাড়তি প্রভাব ফেলেছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ গুচ্ছের পরীক্ষার সময় থেকেই আণুবীক্ষণিক টাইপের প্রশ্ন করছে কর্তৃপক্ষ। ঘিঞ্জি ধরণের এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের সঠিক উত্তরটা বাছাই করতেও কষ্ট হয়। অনেকে একটা প্রশ্ন পড়ে আরেকটা প্রশ্নের উত্তরে চোখ চলে যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক জানা প্রশ্নের উত্তর করতে পারেনি। তবে গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় নিয়ে বরাবরের মতো এবারও ‘উদাসীন’।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য এডমিশনের থেকে গুচ্ছ পরীক্ষার ফী বেশি, সেখানে প্রশ্নের কাগজের মান খুবই খারাপ। প্রশ্নের গুণগত মান ও সাজানোর বিন্যাস ‘খারাপ’ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা একটা প্রশ্নের উত্তর আরেকটা প্রশ্নের উত্তরে দিয়ে আসছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নের ধরণ পরবর্তী বছরের প্রশ্নের ধরণের সাথে কিছুটা মিল থাকে, যা গুচ্ছের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলে অভিযোগ।
ব্যাটলস অফ বায়োলজি প্রতিষ্ঠাতা সাদিকুর রহমান সাদাব বলেন, “আজকের এ ইউনিটের চাপাচাপি প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের ভালো করে প্রশ্ন পড়ে দেখাটাও কষ্টকর। ১৫০০ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের এরকম গাদাগাদি সাইজের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিনআপ করে পরীক্ষা নেয়। গুচ্ছের প্রশ্ন বাংলাদেশের এডমিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে প্রশ্ন। কোয়ালিটি যেমনই হোক, এতো চাপাচাপি প্রশ্ন-উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীরা সমাধান করবে কোথায়? এই প্রশ্ন সহজ হলেও কঠিন লাগবে শিক্ষার্থীদের কাছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুচ্ছের পরীক্ষার্থী নাফিউর রহমান বলেন, “আমার যে সেট পড়ছে সেখানে ৭ নাম্বার প্রশ্নটা চোখেই পড়ে নাই। বাসায় এসে দেখি এতো সহজ প্রশ্ন বাদ দিয়ে আসছি। ”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফুয়াদ ফারহান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “কিছু কিছু প্রশ্ন চোখেই পড়ে নাই। নিকৃষ্ট এক্সাম সিস্টেম, ফিজিক্সে যে ম্যাথ দিছে ক্যালকুলেটর ছাড়া কিছু কিছু ম্যাথ করা অসম্ভব। প্রশ্নপত্রে উত্তরের জায়গার অভাব হতাশাজনক, সর্বোচ্চ ফি দিয়ে আণুবীক্ষণিক প্রশ্নে পরীক্ষা দিলাম।”
সার্বিক বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এটা ছোট অক্ষরে লেখা হয়েছে, গত ৩ বছরের তুলনায় এবারের প্রশ্ন বেশি পাঠযোগ্য ও সুন্দর হয়েছে। সিলেবাসের বাইরে প্রশ্নে অমিল থাকতে পারে, এখানে সিলেবাসের মধ্যে হয়, ১টা স্ট্যান্ডার্ড থাকে। এখানে পাশ-ফেলের ব্যাপার না, এখানে সব ছেলেরা ম্যাট্রিক, ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে আসছে। আমার ২১ হাজার সিট আছে, আর শিক্ষার্থী আছে দেড় লাখেরও বেশি। এখান থেকে যোগ্য ২১ হাজার শিক্ষার্থীকে আমাকে বের করে আনতে হবে। প্রশ্ন সবার জন্যে সমান।”
অল্প কাগজে করার জন্যে কি আপনারা এমন প্রশ্ন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি জানান, “১ লক্ষ ৭০ হাজার প্রশ্ন আরো জায়গা দিয়ে করতে হলে, আমাকে আলাদা করে পিনআপ করতে হবে। আমাকে এই প্রশ্ন সর্ম্পূণ করে তৈরী করতে ১৫ দিন সময় লাগছে। আমার ১০ জন শিক্ষক ১৫ দিন ধরে এক জায়গায় ঘুমাইছে। শিক্ষার্থীরা আজীবন অভিযোগ করবে। রিলেটিভ যোগ্যতার পরীক্ষা এটা। যে শিক্ষার্থী যোগ্য সে বেশি নাম্বার পাবে।”
‘এ’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জবির অধীনে আরও ৫টি উপ-কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাবিতে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ হাজার পরীক্ষার্থী।
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্নের কাগজের মান ও উত্তরের জায়গার সংকুলান নিয়ে অভিযোগ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের
রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের ‘আণুবীক্ষণিক’ প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ করছেন ক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ফিজিক্স বিষয়ের প্রশ্ন শটকার্টে সমাধান করার জন্যে উত্তরপত্রে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়নি। আরও অভিযোগ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা এমনিতে স্নায়ুবিক দুঃশ্চিন্তায় থাকে তার মধ্যে ‘হিজিবিজি’ প্রশ্ন, যা ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাথায় বাড়তি প্রভাব ফেলেছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ গুচ্ছের পরীক্ষার সময় থেকেই আণুবীক্ষণিক টাইপের প্রশ্ন করছে কর্তৃপক্ষ। ঘিঞ্জি ধরণের এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের সঠিক উত্তরটা বাছাই করতেও কষ্ট হয়। অনেকে একটা প্রশ্ন পড়ে আরেকটা প্রশ্নের উত্তরে চোখ চলে যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক জানা প্রশ্নের উত্তর করতে পারেনি। তবে গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় নিয়ে বরাবরের মতো এবারও ‘উদাসীন’।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য এডমিশনের থেকে গুচ্ছ পরীক্ষার ফী বেশি, সেখানে প্রশ্নের কাগজের মান খুবই খারাপ। প্রশ্নের গুণগত মান ও সাজানোর বিন্যাস ‘খারাপ’ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা একটা প্রশ্নের উত্তর আরেকটা প্রশ্নের উত্তরে দিয়ে আসছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নের ধরণ পরবর্তী বছরের প্রশ্নের ধরণের সাথে কিছুটা মিল থাকে, যা গুচ্ছের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলে অভিযোগ।
ব্যাটলস অফ বায়োলজি প্রতিষ্ঠাতা সাদিকুর রহমান সাদাব বলেন, “আজকের এ ইউনিটের চাপাচাপি প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের ভালো করে প্রশ্ন পড়ে দেখাটাও কষ্টকর। ১৫০০ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের এরকম গাদাগাদি সাইজের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিনআপ করে পরীক্ষা নেয়। গুচ্ছের প্রশ্ন বাংলাদেশের এডমিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে প্রশ্ন। কোয়ালিটি যেমনই হোক, এতো চাপাচাপি প্রশ্ন-উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীরা সমাধান করবে কোথায়? এই প্রশ্ন সহজ হলেও কঠিন লাগবে শিক্ষার্থীদের কাছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুচ্ছের পরীক্ষার্থী নাফিউর রহমান বলেন, “আমার যে সেট পড়ছে সেখানে ৭ নাম্বার প্রশ্নটা চোখেই পড়ে নাই। বাসায় এসে দেখি এতো সহজ প্রশ্ন বাদ দিয়ে আসছি। ”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফুয়াদ ফারহান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “কিছু কিছু প্রশ্ন চোখেই পড়ে নাই। নিকৃষ্ট এক্সাম সিস্টেম, ফিজিক্সে যে ম্যাথ দিছে ক্যালকুলেটর ছাড়া কিছু কিছু ম্যাথ করা অসম্ভব। প্রশ্নপত্রে উত্তরের জায়গার অভাব হতাশাজনক, সর্বোচ্চ ফি দিয়ে আণুবীক্ষণিক প্রশ্নে পরীক্ষা দিলাম।”
সার্বিক বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এটা ছোট অক্ষরে লেখা হয়েছে, গত ৩ বছরের তুলনায় এবারের প্রশ্ন বেশি পাঠযোগ্য ও সুন্দর হয়েছে। সিলেবাসের বাইরে প্রশ্নে অমিল থাকতে পারে, এখানে সিলেবাসের মধ্যে হয়, ১টা স্ট্যান্ডার্ড থাকে। এখানে পাশ-ফেলের ব্যাপার না, এখানে সব ছেলেরা ম্যাট্রিক, ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে আসছে। আমার ২১ হাজার সিট আছে, আর শিক্ষার্থী আছে দেড় লাখেরও বেশি। এখান থেকে যোগ্য ২১ হাজার শিক্ষার্থীকে আমাকে বের করে আনতে হবে। প্রশ্ন সবার জন্যে সমান।”
অল্প কাগজে করার জন্যে কি আপনারা এমন প্রশ্ন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি জানান, “১ লক্ষ ৭০ হাজার প্রশ্ন আরো জায়গা দিয়ে করতে হলে, আমাকে আলাদা করে পিনআপ করতে হবে। আমাকে এই প্রশ্ন সর্ম্পূণ করে তৈরী করতে ১৫ দিন সময় লাগছে। আমার ১০ জন শিক্ষক ১৫ দিন ধরে এক জায়গায় ঘুমাইছে। শিক্ষার্থীরা আজীবন অভিযোগ করবে। রিলেটিভ যোগ্যতার পরীক্ষা এটা। যে শিক্ষার্থী যোগ্য সে বেশি নাম্বার পাবে।”
‘এ’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জবির অধীনে আরও ৫টি উপ-কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাবিতে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ হাজার পরীক্ষার্থী।
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।