সরকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা প্রকৌশলী) কোর্সকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি ‘সময়োপযোগী’ আখ্যায়িত করেছেন ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ’ (আইডিইবি)। সংগঠনের নেতারা এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজ সকালে কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন আইডিইবি নেতৃবন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সভাপতি একেএমএ হামিদ।
গত ১৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে যারা দুই বছর বা অধিক সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বা কর্মের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভারে অতিরিক্ত সচিবকে (কারিগরি) আহ্বায়ক করে দশ সদস্যের কমিটিতে কারিগরি অধিশাখার দুইজন যুগ্মসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন যুগ্মসচিব, ইউজিসি প্রতিনিধি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইবি) প্রেসিডেন্ট, আইডিইবি প্রেসিডেন্ট এবং উপসচিবকে (কারিগরি শাখা) সদস্য সচিব করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্মার্ট সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।
আইডিইবি নেতাদের অভিযোগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারী উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার ও তাদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) পক্ষে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে, সেটি ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’।
তারা বলেন, ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিভক্ত দেশের প্রকৌশল কর্মাঙ্গনের সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ব্যাপক অর্থে শিক্ষিত ডিগ্রি প্রকৌশলীদের প্রকৌশল গবেষণা, উদ্ভাবনী ও পরিকল্পনায় মনোযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ডেস্ক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়োজিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়নে এই শিক্ষা আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন।
আইডিইবির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় মেধার অপচয় রোধ ও প্রশাসনে শ্রেণী স্বার্থ দ্বন্ধ নিরসন এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় রোধে প্রশাসনিক ক্যাডারে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের প্রবেশরোধে পেশা পরিবর্তনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর মাধ্যমে বন্ধ করা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতির কোটা ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে অন্যান্য পেশাজীবীদের ন্যায় একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট এবং পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলীদের ন্যায় তিনটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের ক্রেডিট ওয়েভার দিয়ে দুই বছরে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদান করা।
এসব দাবি বাস্তবায়নে মাসব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এর মধ্যে ৭-১১ মে সব জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন, ১২-১৮ মে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের সাথে মতবিনিময় ও জনগণকে অবহিতকরণ, ১৯-২৩ মে ঢাকায় প্রতিবাদ সভা ও শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ মে আইডিইবি ঢাকা জেলা, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বাকাছাপ ও সব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৭-৩০ মে পর্যন্ত সব জেলা ও সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্র শিক্ষক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা এবং সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একেএম আব্দুল মোতালেব, আব্দুল কুদ্দুছ, মো. সিরাজুল ইসলাম, ইদরীস আলী, সৈয়দ মুস্তাসীর হাফিজ, গিয়াস উদ্দিন, শাহজাহান কবির, নাজমুল হাসান, মির্জা এটিএম গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সরকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা প্রকৌশলী) কোর্সকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি ‘সময়োপযোগী’ আখ্যায়িত করেছেন ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ’ (আইডিইবি)। সংগঠনের নেতারা এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজ সকালে কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন আইডিইবি নেতৃবন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সভাপতি একেএমএ হামিদ।
গত ১৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে যারা দুই বছর বা অধিক সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বা কর্মের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভারে অতিরিক্ত সচিবকে (কারিগরি) আহ্বায়ক করে দশ সদস্যের কমিটিতে কারিগরি অধিশাখার দুইজন যুগ্মসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন যুগ্মসচিব, ইউজিসি প্রতিনিধি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইবি) প্রেসিডেন্ট, আইডিইবি প্রেসিডেন্ট এবং উপসচিবকে (কারিগরি শাখা) সদস্য সচিব করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্মার্ট সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।
আইডিইবি নেতাদের অভিযোগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারী উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার ও তাদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) পক্ষে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে, সেটি ‘অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য’।
তারা বলেন, ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিভক্ত দেশের প্রকৌশল কর্মাঙ্গনের সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ব্যাপক অর্থে শিক্ষিত ডিগ্রি প্রকৌশলীদের প্রকৌশল গবেষণা, উদ্ভাবনী ও পরিকল্পনায় মনোযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ডেস্ক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়োজিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়নে এই শিক্ষা আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন।
আইডিইবির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় মেধার অপচয় রোধ ও প্রশাসনে শ্রেণী স্বার্থ দ্বন্ধ নিরসন এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় রোধে প্রশাসনিক ক্যাডারে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের প্রবেশরোধে পেশা পরিবর্তনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর মাধ্যমে বন্ধ করা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতির কোটা ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে অন্যান্য পেশাজীবীদের ন্যায় একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট এবং পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলীদের ন্যায় তিনটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের ক্রেডিট ওয়েভার দিয়ে দুই বছরে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদান করা।
এসব দাবি বাস্তবায়নে মাসব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এর মধ্যে ৭-১১ মে সব জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন, ১২-১৮ মে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের সাথে মতবিনিময় ও জনগণকে অবহিতকরণ, ১৯-২৩ মে ঢাকায় প্রতিবাদ সভা ও শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ মে আইডিইবি ঢাকা জেলা, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বাকাছাপ ও সব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৭-৩০ মে পর্যন্ত সব জেলা ও সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্র শিক্ষক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা এবং সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একেএম আব্দুল মোতালেব, আব্দুল কুদ্দুছ, মো. সিরাজুল ইসলাম, ইদরীস আলী, সৈয়দ মুস্তাসীর হাফিজ, গিয়াস উদ্দিন, শাহজাহান কবির, নাজমুল হাসান, মির্জা এটিএম গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।