জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালে আমাদের সর্বাধিক অগ্রাধিকার শিক্ষক প্রশিক্ষণ। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, কলেজগুলোতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ওইসব শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে এনে মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। গুণগত শিক্ষার সঙ্গে আপোষ করা যাবে না। আমাদের এখন লক্ষ্য শিক্ষার মান সমুন্নত রাখা। আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণে কিছু দুর্বলতা রয়েছে সেটি আমরা শিগগিরই কাটিয়ে উঠবো। মেন্টাল হেলথ এবং জিআইএসসহ নানাবিধ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার বিকালে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর অধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ৪২ ও ৪৩তম ব্যাচের ৮টি বিষয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, এই প্রশিক্ষণে আমরা আপনাদের শিখন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি। আইসিটি ও প্যাডাগোজি সম্পর্কে আপনারা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে শেখালে তারা বেশি উপকৃত হবে সেটি জানা যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনারা শ্রেণিকক্ষকে আনন্দময় করে তোলার বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বৃহৎ একটি পরিবার। সেই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে আপনারা সবাই যুক্ত থাকবেন। সেটি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আমরা চাই বৈষম্যহীন এক পৃথিবী। যেখানে অন্যের মতের প্রতি সহানুভূতি থাকবে। গণতন্ত্র সমুন্নত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে, যাতে আমরা সামাজিক নির্ণয়কগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে অনুধাবন করতে পারব। পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসবো। অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রকৃতি সুরক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে আমরা সভ্যতাকে হারিয়ে ফেলব।
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের এই ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গত ১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের মোট ২৯৪ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ২৮দিনব্যাপী চলা প্রশিক্ষণের আজ ৪ মে ২০২৪ তারিখ ছিল সমাপনী দিন। এই সমাপনী অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সিইডিপির প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
এই প্রশিক্ষণে ৮টি বিষয়ের কোর্স উপদেষ্টাবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী, অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুশাস, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আকসাদুল আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম খাদেমুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম। এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মো. হাছানুর রহমান।
রোববার, ০৫ মে ২০২৪
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালে আমাদের সর্বাধিক অগ্রাধিকার শিক্ষক প্রশিক্ষণ। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, কলেজগুলোতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ওইসব শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে এনে মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। গুণগত শিক্ষার সঙ্গে আপোষ করা যাবে না। আমাদের এখন লক্ষ্য শিক্ষার মান সমুন্নত রাখা। আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণে কিছু দুর্বলতা রয়েছে সেটি আমরা শিগগিরই কাটিয়ে উঠবো। মেন্টাল হেলথ এবং জিআইএসসহ নানাবিধ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার বিকালে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর অধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ৪২ ও ৪৩তম ব্যাচের ৮টি বিষয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, এই প্রশিক্ষণে আমরা আপনাদের শিখন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি। আইসিটি ও প্যাডাগোজি সম্পর্কে আপনারা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে শেখালে তারা বেশি উপকৃত হবে সেটি জানা যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনারা শ্রেণিকক্ষকে আনন্দময় করে তোলার বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বৃহৎ একটি পরিবার। সেই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে আপনারা সবাই যুক্ত থাকবেন। সেটি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আমরা চাই বৈষম্যহীন এক পৃথিবী। যেখানে অন্যের মতের প্রতি সহানুভূতি থাকবে। গণতন্ত্র সমুন্নত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে, যাতে আমরা সামাজিক নির্ণয়কগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে অনুধাবন করতে পারব। পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসবো। অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রকৃতি সুরক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে আমরা সভ্যতাকে হারিয়ে ফেলব।
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের এই ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গত ১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের মোট ২৯৪ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ২৮দিনব্যাপী চলা প্রশিক্ষণের আজ ৪ মে ২০২৪ তারিখ ছিল সমাপনী দিন। এই সমাপনী অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সিইডিপির প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
এই প্রশিক্ষণে ৮টি বিষয়ের কোর্স উপদেষ্টাবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী, অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুশাস, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আকসাদুল আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম খাদেমুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম। এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মো. হাছানুর রহমান।