বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডাক্তার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ২ ডাক্তার ও কর্মকতারা।
ফাঁসকৃত প্রশ্ন একজন চাকরী প্রার্থীর কাছে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভার্সিটির প্রক্টর ডাঃ হাবিবুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছেন। এখনো তদন্ত পর্যায়ে আছে। তদন্ত শেষ করে আগামী ৭ কর্ম দিবসে (শিগগিরই) রিপোর্ট দেয়া হবে। সিসি টিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে পেনড্রাইভে যারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। প্রশাসন হার্ডলাইনে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এই লক্ষ্যে কাজ চলছে।
ভার্সিটি ও শিক্ষকদের সূত্র জানায়,২০২৩ সালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন মডারেশন রুমে একজন ডাক্তার ব্যক্তিগত পেনড্রাইভে প্রশ্ন নিয়ে যান। ওই সময় গোপন কক্ষে কেউ ছিল না। এই সুযোগে কম্পিউটার খুলে পেনড্রাইভে করে প্রশ্ন নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে এই সব প্রশ্ন প্রভাবশালী কয়েকজন ডাক্তার ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক ভিসি ডাঃ শারফুদ্দিনের সমর্থক কয়েক চিকিৎসক এই ধরনের অপকর্মে জড়িত বলে ভার্সিটি জুড়ে আলোচনা চলছে।
সূত্র জানায়,গেল বছর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬৮জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের এই অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এইবার প্রশাসন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন,আমরা ঘটনা নিয়ে কাজ করছি। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা অনেকেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছেন। আবার অনেকের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়েছেন। ইতোমদ্যে ২জনকে প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। আরও কারা জড়িত তাদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে কত টাকায় প্রশ্ন বিক্রি করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে ভার্সিটির প্রক্টর সংবাদকে বলেন,ঘটনা তদন্তে মোট ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি সাবেক ভিসির আমলে। আরেকটি বর্তমান প্রশাসনের সময়। তদন্তে অনেক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, ভার্সিটিতে নিয়োগ পদোন্নতি নিয়ে গেল কয়েক বছর দূনীতির নানা অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ভার্সিটি জুড়ে নানা অফালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলছেন টাকা ছাড়া কোন চাকরী হয় না। টাকার বিনিময়ে চাকরী ও পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে এখনো নানা আলোচনা চলছে। দূনীতি দমন কমিশন বা অন্য কোন সংস্থা দিয়ে নিররেপক্ষ তদন্ত করলে প্রকৃত দোষীরা চিহ্নিত হবে। কমবে অপরাধ।
একজন সাবেক ভিসি বলেন,প্রতিটি অনিমের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিয়ে ভার্সিটি শিক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠ ভাবে চালানো কষ্টকর হবে। র্দূনীতিবাজ চিহ্নিত করা উচিত বলে তারা মন্তব্য করেন।
রোববার, ১২ মে ২০২৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডাক্তার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ২ ডাক্তার ও কর্মকতারা।
ফাঁসকৃত প্রশ্ন একজন চাকরী প্রার্থীর কাছে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভার্সিটির প্রক্টর ডাঃ হাবিবুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছেন। এখনো তদন্ত পর্যায়ে আছে। তদন্ত শেষ করে আগামী ৭ কর্ম দিবসে (শিগগিরই) রিপোর্ট দেয়া হবে। সিসি টিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে পেনড্রাইভে যারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। প্রশাসন হার্ডলাইনে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এই লক্ষ্যে কাজ চলছে।
ভার্সিটি ও শিক্ষকদের সূত্র জানায়,২০২৩ সালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন মডারেশন রুমে একজন ডাক্তার ব্যক্তিগত পেনড্রাইভে প্রশ্ন নিয়ে যান। ওই সময় গোপন কক্ষে কেউ ছিল না। এই সুযোগে কম্পিউটার খুলে পেনড্রাইভে করে প্রশ্ন নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে এই সব প্রশ্ন প্রভাবশালী কয়েকজন ডাক্তার ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক ভিসি ডাঃ শারফুদ্দিনের সমর্থক কয়েক চিকিৎসক এই ধরনের অপকর্মে জড়িত বলে ভার্সিটি জুড়ে আলোচনা চলছে।
সূত্র জানায়,গেল বছর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬৮জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের এই অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এইবার প্রশাসন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন,আমরা ঘটনা নিয়ে কাজ করছি। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা অনেকেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছেন। আবার অনেকের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়েছেন। ইতোমদ্যে ২জনকে প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। আরও কারা জড়িত তাদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে কত টাকায় প্রশ্ন বিক্রি করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে ভার্সিটির প্রক্টর সংবাদকে বলেন,ঘটনা তদন্তে মোট ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি সাবেক ভিসির আমলে। আরেকটি বর্তমান প্রশাসনের সময়। তদন্তে অনেক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, ভার্সিটিতে নিয়োগ পদোন্নতি নিয়ে গেল কয়েক বছর দূনীতির নানা অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ভার্সিটি জুড়ে নানা অফালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলছেন টাকা ছাড়া কোন চাকরী হয় না। টাকার বিনিময়ে চাকরী ও পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে এখনো নানা আলোচনা চলছে। দূনীতি দমন কমিশন বা অন্য কোন সংস্থা দিয়ে নিররেপক্ষ তদন্ত করলে প্রকৃত দোষীরা চিহ্নিত হবে। কমবে অপরাধ।
একজন সাবেক ভিসি বলেন,প্রতিটি অনিমের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিয়ে ভার্সিটি শিক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠ ভাবে চালানো কষ্টকর হবে। র্দূনীতিবাজ চিহ্নিত করা উচিত বলে তারা মন্তব্য করেন।