একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন আগামী ২৬ মে শুরু হচ্ছে। আবেদনের শেষ সময় ১১ জুন। এবারও ফলাফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তিন পর্যায়ে আবেদন গ্রহণের সুযোগ রেখে গতকাল একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইনে www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে।
ম্যানুয়ালি ভর্তি যাদের জন্য:
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে, শুধু তারাই শিক্ষা বোর্ডে হাতে হাতে (অনলাইনে নয়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডে ‘ম্যানুয়ালি’ ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত নূন্যতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য) ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
যেসব কলেজে ভর্তি নিষিদ্ধ:
স্থাপনের অনুমতি আছে কিন্তু পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি নেই- এমন কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না বলে ভর্তি নীতিমালায় সতর্ক করা হয়েছে।
পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনুনোমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুনোমোদিত কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
এমপিওভুক্ত কলেজে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা:
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভভুক্ত কলেজে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের কলেজে ভর্তির ফি তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর জেলা পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনেই ভর্তির ফি দুই হাজার এবং উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনে দেড় হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ননএমপিও বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজের বাংলা ভার্সনের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের জন্য সাড়ে আট হাজার টাকা।
ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার ননএমপিও কলেজে বাংলা ভার্সনে ভর্তির জন্য পাঁচ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির জন্য ছয় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের কলেজের বাংলা ভার্সনে তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ের কলেজে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের কলেজ ও সমস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে ২৫ লাখের মতো আসন রয়েছে। ভর্তিযোগ্য আসনের তুলনায় প্রায় আট লাখ শিক্ষার্থী কম এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই হিসেবে এসএসসি পাস সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থাকবে।
গত ১২ মে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার মোট ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে; পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সরকারি কলেজে সরকারি নিয়মে ভর্তি:
সরকারি কলেজগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি ফি নেবে। দরিদ্র, মেধারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজগুলোকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে।
তিন বছরে উত্তীর্ণদের ভর্তির সুযোগ:
গত তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিগত সময়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মোট ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য দুই শতাংশ কোটা এবং মোট আসনের পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে সেখানে মেধা কোটার মাধ্যমে ভর্তি নেয়া হবে।
গ্রুপ নির্বাচন ভর্তি:
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে কোনো গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায়- এই দুই গ্রুপের একটিতে আবেদন করতে পারবে। একই নিয়ম মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে।
মেধাক্রম নির্ধারণ
সমান জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন বছরের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিতে হবে। এরপরও প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ের জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে স্কুল ও কলেজ একসঙ্গে আছে, সেখানে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই অবশিষ্ট শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন আগামী ২৬ মে শুরু হচ্ছে। আবেদনের শেষ সময় ১১ জুন। এবারও ফলাফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তিন পর্যায়ে আবেদন গ্রহণের সুযোগ রেখে গতকাল একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইনে www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে।
ম্যানুয়ালি ভর্তি যাদের জন্য:
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে, শুধু তারাই শিক্ষা বোর্ডে হাতে হাতে (অনলাইনে নয়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডে ‘ম্যানুয়ালি’ ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত নূন্যতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য) ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
যেসব কলেজে ভর্তি নিষিদ্ধ:
স্থাপনের অনুমতি আছে কিন্তু পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি নেই- এমন কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না বলে ভর্তি নীতিমালায় সতর্ক করা হয়েছে।
পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনুনোমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুনোমোদিত কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
এমপিওভুক্ত কলেজে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা:
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভভুক্ত কলেজে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের কলেজে ভর্তির ফি তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর জেলা পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনেই ভর্তির ফি দুই হাজার এবং উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনে দেড় হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ননএমপিও বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজের বাংলা ভার্সনের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের জন্য সাড়ে আট হাজার টাকা।
ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার ননএমপিও কলেজে বাংলা ভার্সনে ভর্তির জন্য পাঁচ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির জন্য ছয় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের কলেজের বাংলা ভার্সনে তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ের কলেজে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের কলেজ ও সমস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে ২৫ লাখের মতো আসন রয়েছে। ভর্তিযোগ্য আসনের তুলনায় প্রায় আট লাখ শিক্ষার্থী কম এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই হিসেবে এসএসসি পাস সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থাকবে।
গত ১২ মে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার মোট ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে; পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সরকারি কলেজে সরকারি নিয়মে ভর্তি:
সরকারি কলেজগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি ফি নেবে। দরিদ্র, মেধারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজগুলোকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে।
তিন বছরে উত্তীর্ণদের ভর্তির সুযোগ:
গত তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিগত সময়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মোট ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য দুই শতাংশ কোটা এবং মোট আসনের পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে সেখানে মেধা কোটার মাধ্যমে ভর্তি নেয়া হবে।
গ্রুপ নির্বাচন ভর্তি:
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে কোনো গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায়- এই দুই গ্রুপের একটিতে আবেদন করতে পারবে। একই নিয়ম মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে।
মেধাক্রম নির্ধারণ
সমান জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন বছরের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিতে হবে। এরপরও প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ের জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে স্কুল ও কলেজ একসঙ্গে আছে, সেখানে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই অবশিষ্ট শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।