একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন আজ সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ১১ জুন। এবারও ফলাফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৬ মে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে- অনলাইনে https://xiclassadmission.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে।’
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি নেয়া হবে। তা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ৩০ জুলাই একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
গত তিন বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিগত সময়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে কোনো গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায়- এই দুই গ্রুপের একটিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। একই নিয়ম মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১২ থেকে ১৩ জুন প্রথম পর্যায়ের ভর্তির আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিষ্পত্তি করা হবে। এই সময়েই পুনঃনীরিক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদনও গ্রহণ করা হবে। ২৩ জুন রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।
এরপর ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায় এবং ৯-১০ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং ১২ জুলাই রাত ৮টায় তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।
গত ১২ মে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার মোট ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে; পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের কলেজ ও সমস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে ২৫ লাখের মতো আসন রয়েছে। ভর্তিযোগ্য আসনের তুলনায় প্রায় আট লাখ শিক্ষার্থী কম এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই হিসেবে এসএসসি পাস সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থাকবে।
ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে, শুধু তারাই শিক্ষা বোর্ডে হাতে হাতে (অনলাইনে নয়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডে ‘ম্যানুয়ালি’ ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য) ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
রোববার, ২৬ মে ২০২৪
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন আজ সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ১১ জুন। এবারও ফলাফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৬ মে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে- অনলাইনে https://xiclassadmission.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে।’
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি নেয়া হবে। তা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ৩০ জুলাই একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
গত তিন বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিগত সময়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে কোনো গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায়- এই দুই গ্রুপের একটিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। একই নিয়ম মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১২ থেকে ১৩ জুন প্রথম পর্যায়ের ভর্তির আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিষ্পত্তি করা হবে। এই সময়েই পুনঃনীরিক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদনও গ্রহণ করা হবে। ২৩ জুন রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।
এরপর ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায় এবং ৯-১০ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং ১২ জুলাই রাত ৮টায় তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।
গত ১২ মে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার মোট ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে; পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের কলেজ ও সমস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে ২৫ লাখের মতো আসন রয়েছে। ভর্তিযোগ্য আসনের তুলনায় প্রায় আট লাখ শিক্ষার্থী কম এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই হিসেবে এসএসসি পাস সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থাকবে।
ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে, শুধু তারাই শিক্ষা বোর্ডে হাতে হাতে (অনলাইনে নয়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডে ‘ম্যানুয়ালি’ ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য) ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।