বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের তিন দিন আগে সরকার ‘সমর্থক’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৫ জুন রাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে বদলি করে অফিস আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে স্বাক্ষর করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন।
অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, শাহেদুল খবির চৌধুরীকে ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত দিন তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীমকে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৯ জুন সারা দেশে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে ৯৫ পদে মোট ২৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিন প্যানেলের বাইরে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
তিন প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, অধ্যাপক মামুন উল হক ও আ জ ম রুহুল কাদীর। এ নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও তা ধরেননি শাহেদুল খবির চৌধুরী।
শিক্ষা ক্যাডারের পাঁচজন জেষ্ঠ্য অধ্যাপক জানিয়েছেন, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের তিন দিন আগে এক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীকে বদলি করা শিক্ষা প্রশাসনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
তাদের অভিযোগ, এ ঘটনায় মাউশি ও শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েক ব্যক্তি জড়িত। মূলত ‘বিএনপি সমর্থিত’ একটি প্যানেলকে ‘বাড়তি’ সুবিধা দেওয়ার জন্যই তড়িঘড়ি করে একটি প্যানেলের প্রধানকে বদলি করা হয়েছে।
মাউশির অন্তত দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার মাউশির মহাপরিচালক পদের প্রার্থী হিসেবে শাহেদুল খবির চৌধুরীর নাম আলোচিত হওয়া, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা ক্যাডারের দাবি-দাওয়া আদায়ে তার আপসহীন অবস্থান অনেকে ভালোভাবে নেননি। মাউশির নানা অনিয়ম নিয়েও তিনি সোচ্চার ছিলেন। এসব কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে ওই কর্মকর্তাদের ধারণা।
বিসিএস শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবির চৌধুরী এর আগে সমিতির দু’বার নির্বাচিত মহাসচিবও ছিলেন। এ কারণে সমিতির সাবেক কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও বর্তমান প্রভাবশালী কর্মকর্তারা এবার একটি বিশেষ প্যানেলের পক্ষে নানাভাবে কাজ করছেন বলে শিক্ষকদের দাবি।
গত ২৫ এপ্রিল মাউশির মহাপরিচালক হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এর আগেও তিনি প্রায় দুই বছর একই পদের দায়িত্বে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের তিন দিন আগে সরকার ‘সমর্থক’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৫ জুন রাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে বদলি করে অফিস আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে স্বাক্ষর করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন।
অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, শাহেদুল খবির চৌধুরীকে ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত দিন তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীমকে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৯ জুন সারা দেশে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে ৯৫ পদে মোট ২৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিন প্যানেলের বাইরে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
তিন প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, অধ্যাপক মামুন উল হক ও আ জ ম রুহুল কাদীর। এ নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও তা ধরেননি শাহেদুল খবির চৌধুরী।
শিক্ষা ক্যাডারের পাঁচজন জেষ্ঠ্য অধ্যাপক জানিয়েছেন, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের তিন দিন আগে এক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীকে বদলি করা শিক্ষা প্রশাসনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
তাদের অভিযোগ, এ ঘটনায় মাউশি ও শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েক ব্যক্তি জড়িত। মূলত ‘বিএনপি সমর্থিত’ একটি প্যানেলকে ‘বাড়তি’ সুবিধা দেওয়ার জন্যই তড়িঘড়ি করে একটি প্যানেলের প্রধানকে বদলি করা হয়েছে।
মাউশির অন্তত দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার মাউশির মহাপরিচালক পদের প্রার্থী হিসেবে শাহেদুল খবির চৌধুরীর নাম আলোচিত হওয়া, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা ক্যাডারের দাবি-দাওয়া আদায়ে তার আপসহীন অবস্থান অনেকে ভালোভাবে নেননি। মাউশির নানা অনিয়ম নিয়েও তিনি সোচ্চার ছিলেন। এসব কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে ওই কর্মকর্তাদের ধারণা।
বিসিএস শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবির চৌধুরী এর আগে সমিতির দু’বার নির্বাচিত মহাসচিবও ছিলেন। এ কারণে সমিতির সাবেক কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও বর্তমান প্রভাবশালী কর্মকর্তারা এবার একটি বিশেষ প্যানেলের পক্ষে নানাভাবে কাজ করছেন বলে শিক্ষকদের দাবি।
গত ২৫ এপ্রিল মাউশির মহাপরিচালক হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এর আগেও তিনি প্রায় দুই বছর একই পদের দায়িত্বে ছিলেন।