নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণীভিত্তিক মূল্যায়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এজন্য শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ বর্তমানে ৩০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলেই আসছে না বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক ‘মনিটরিং রিপোর্ট’ থেকে জানা গেছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীতে ৭০ শতাংশ কর্মদিবসে উপস্থিত না থাকলে সে পাবলিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হবে না। তবে জরুরি বা বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই হার ৭০ শতাংশের কম হলেও সব বিষয় শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারবেন।
শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ ক্লাসরুমেই শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন হচ্ছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অভিভাকদেরও দায়িত্বপালন করতে হবে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ্য থেকেও উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য অর্জন ঝুঁকিতে পড়বে মন্তব্য করে শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন অন্তত ছয় ঘণ্টা স্কুলে থাকতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের টিফিনেরও ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এমনিতেই অনেক স্কুলে টিফিন পিরিয়ডের পর শিক্ষার্থীরা থাকতে চায় না। এসব বিষয়েও এখন গুরুত্ব দিতে হবে।’
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী সংবাদকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আরো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সভা হবে। সবমিলিয়ে সশরীরে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিত থাকা ‘আবশ্যক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে অংশীজনদেরও আন্তরিকভাবে দায়িত্বপালন করতে হবে। অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরও অধিকতর তৎপর থাকতে হবে।’
‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৪ এর কাক্সিক্ষত লক্ষ্য-মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা কার্যকর একাডেমিক সুপারভিশন এবং মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারকরণ-এ লক্ষ্যে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করে নির্ধারিত চকে মনিটরিং প্রতিবেদন’ মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ে প্রেরণ করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল মাউশির এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষক ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সেশন বা শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।’ নতুন শিক্ষাক্রমে ‘রোল কলের ’কারণে স্কুলেল প্রথম রিপিয়ড ৬০ মিনিটের এবং বাকি পিরিয়ড নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ মিনিটের।
কিন্তু শ্রেণীকক্ষে সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকির পাশাপাশি এই কার্যক্রমের যথাযথ বাস্তবায়নেও ‘বিপর্যয়’ নেমে আসতে পারে বলে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন। কারণ নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম সংবাদকে বলেছেন, ‘গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব পদ পূরণে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ শিক্ষক স্বল্পতা থাকলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হবেই। শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। আর দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকলে শিক্ষার্থীদের খিদে পাবে; সেই বিষয়েও পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন।’
মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সংস্থাটির গত মে মাসের এক ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন প্রতিবেদনে’ দেখা গেছে, সারাদেশে মোট ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে।
৯টি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে বিভিন্ন জেলার ৯৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পরিদর্শনের সময় এক লাখ ৫৫ হাজার ৮২৬ জন অনুপস্থিত ছিল। সেই হিসেবে অনুপস্থিতির হার ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি রংপুরে। আর অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে কম কুমিল্লা অঞ্চলে। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলের ৮২টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়।
রংপুরের ৮২টি স্কুলের মোট ৩২ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১৩ হাজার ৮৬৩ জন। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ।
আর কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে মে মাসে মোট ১২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭৯ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে পরিদর্শনের সময় বিদ্যালয়ে ১৯ হাজার ৩৯১ জনকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। সেই হিসেবে অনুপস্থিতির হার ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
মাউশির অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের মধ্যে বরিশালে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, ঢাকায় ২৭ শতাংশ, খুলনায় ২৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সিলেট অঞ্চলে ৩৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিদর্শনের সময় অনুপস্থিত ছিল।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ ৩৫ শতাংশ। মোট পাঁচ ঘণ্টায় এসএসসির মূল্যায়ন পরীক্ষা হবে। কার্যক্রমভিত্তিক (অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি) বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে হবে লিখিত অংশের মূল্যায়ন।
২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত রয়েছে।
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণীভিত্তিক মূল্যায়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এজন্য শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ বর্তমানে ৩০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলেই আসছে না বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক ‘মনিটরিং রিপোর্ট’ থেকে জানা গেছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীতে ৭০ শতাংশ কর্মদিবসে উপস্থিত না থাকলে সে পাবলিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হবে না। তবে জরুরি বা বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই হার ৭০ শতাংশের কম হলেও সব বিষয় শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারবেন।
শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ ক্লাসরুমেই শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন হচ্ছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অভিভাকদেরও দায়িত্বপালন করতে হবে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ্য থেকেও উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য অর্জন ঝুঁকিতে পড়বে মন্তব্য করে শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন অন্তত ছয় ঘণ্টা স্কুলে থাকতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের টিফিনেরও ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এমনিতেই অনেক স্কুলে টিফিন পিরিয়ডের পর শিক্ষার্থীরা থাকতে চায় না। এসব বিষয়েও এখন গুরুত্ব দিতে হবে।’
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী সংবাদকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আরো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সভা হবে। সবমিলিয়ে সশরীরে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিত থাকা ‘আবশ্যক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে অংশীজনদেরও আন্তরিকভাবে দায়িত্বপালন করতে হবে। অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরও অধিকতর তৎপর থাকতে হবে।’
‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৪ এর কাক্সিক্ষত লক্ষ্য-মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা কার্যকর একাডেমিক সুপারভিশন এবং মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারকরণ-এ লক্ষ্যে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করে নির্ধারিত চকে মনিটরিং প্রতিবেদন’ মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ে প্রেরণ করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল মাউশির এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষক ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সেশন বা শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।’ নতুন শিক্ষাক্রমে ‘রোল কলের ’কারণে স্কুলেল প্রথম রিপিয়ড ৬০ মিনিটের এবং বাকি পিরিয়ড নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ মিনিটের।
কিন্তু শ্রেণীকক্ষে সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকির পাশাপাশি এই কার্যক্রমের যথাযথ বাস্তবায়নেও ‘বিপর্যয়’ নেমে আসতে পারে বলে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন। কারণ নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম সংবাদকে বলেছেন, ‘গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব পদ পূরণে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ শিক্ষক স্বল্পতা থাকলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হবেই। শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। আর দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকলে শিক্ষার্থীদের খিদে পাবে; সেই বিষয়েও পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন।’
মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সংস্থাটির গত মে মাসের এক ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন প্রতিবেদনে’ দেখা গেছে, সারাদেশে মোট ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে।
৯টি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে বিভিন্ন জেলার ৯৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পরিদর্শনের সময় এক লাখ ৫৫ হাজার ৮২৬ জন অনুপস্থিত ছিল। সেই হিসেবে অনুপস্থিতির হার ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি রংপুরে। আর অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে কম কুমিল্লা অঞ্চলে। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলের ৮২টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়।
রংপুরের ৮২টি স্কুলের মোট ৩২ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১৩ হাজার ৮৬৩ জন। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ।
আর কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে মে মাসে মোট ১২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭৯ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে পরিদর্শনের সময় বিদ্যালয়ে ১৯ হাজার ৩৯১ জনকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। সেই হিসেবে অনুপস্থিতির হার ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
মাউশির অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের মধ্যে বরিশালে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, ঢাকায় ২৭ শতাংশ, খুলনায় ২৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সিলেট অঞ্চলে ৩৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিদর্শনের সময় অনুপস্থিত ছিল।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ ৩৫ শতাংশ। মোট পাঁচ ঘণ্টায় এসএসসির মূল্যায়ন পরীক্ষা হবে। কার্যক্রমভিত্তিক (অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি) বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে হবে লিখিত অংশের মূল্যায়ন।
২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত রয়েছে।