alt

শিক্ষা

৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর নতুন বই প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের ৬ মাস শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও ওই দুই শ্রেণীর জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের ‘কনটেন্টের’ আলোকে বই লেখার কাজ চূড়ান্ত হয়নি। যদিও আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র ইতোমধ্যে আহ্বান করা হয়েছে। নতুন বইয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হলে ছাপাখানা মালিকদের তা দেয়ার প্রক্রিয়া এগুবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর শিক্ষাক্রমে প্রণয়নের দায়িত্বে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এই দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রাথমিকের শিক্ষাক্রমে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো রকম আলেচনা বা সমন্বয় না করেই নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবই প্রণয়নের কাজ করছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারা সম্প্রতি এনসিটিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ডিপিই কর্মকর্তাদের দেখিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের বই লেখার কাজ চূড়ান্ত করতে এনটিসিবি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ২০২৩ সালে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণী এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

এর মধ্যে প্রাথমিকে বিদ্যমান শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে যোগ্যতাভিত্তিক ‘সক্রিয় শিখন’ এবং মাধ্যমিক স্তরে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে।

এ বিষয়ে ডিপিই’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) ড. উত্তম কুমার দাস সংবাদকে বলেছেন, আমরা এনসিটিবির কর্মকর্তা ও শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা কিছু গাইডলাইন দিয়েছি।

এনসিটিবিতে দক্ষ ও প্রফেশনাল লোকবল কমে গেছে জানিয়ে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, তাদের লোড বেশি হয়ে যাচ্ছে। সেখানে কিছু শিক্ষক পদায়ন পেয়েই বিশেষজ্ঞ বলে যাচ্ছেন....।

চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বই প্রণয়নের কার্যক্রম কতটুকু এগিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিজাইন করে ফেলেছি। তাদের (এনসিটিবি) সেভাবে গাইড লাইনও দেয়া হয়েছে। জুনে তো হলো না। আশা করছি, ৪-৫ জুলাইয়ে হয়ে যাবে।

এনসিটিবি থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে ছয়টি করে বই পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। বইগুলি হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষা।

এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওএসডি হওয়া এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা এবং শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কারণে গত বছরের মতো এবারও দুই শ্রেণীর বই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কারণ তাদের কর্তৃত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে কোন রকম সমন্বয় না করেই নতুন শিক্ষাক্রমের বই প্রণয়নের কাজ চলছে।

এই দুই শিক্ষকের কর্তৃত্বে এনসিটিবির কর্মকর্তারা এনসিসিসি (জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি) সভার অনুমোদন ছাড়াই নতুন শিক্ষাক্রমের বই চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে। কারণ নতুন শিক্ষাক্রমের বই চূড়ান্ত করার আগে এনসিসিসি’র অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ডিপিই’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে বই প্রণয়নের কার্যক্রম এনসিটিবির নিজেদের মতো করলেই হবে না। কারণ এই শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন, কোশ্চেনসহ নানা নতুন বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষকদেরও বুঝতে হবে।

ডিপিই’র সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে কী না জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মোখলেস উর রহমান সংবাদকে বলেন, সমন্বয়ের ঘাটতি হবে কেন? আমাদের সঙ্গে তো নিয়মিতই বৈঠক হচ্ছে।

ডিপিই’র পরামর্শ ও গাইড লাইন অনুযায়ী তারা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এতে গতানুগতিক পাবলিক পরীক্ষা আর থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে।

ছবি

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: ১৫ দিন পর মাইলস্টোন কলেজে লেখাপড়া শুরু

ছবি

পরীক্ষার্থীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ

ছবি

মারিয়া স্কোডোস্কা-কুরি ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন আইইউবির আবরার

ছবি

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন

ছবি

কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে এআই অ্যাপ ‘এলসা স্পিক’ এর যাত্রা শুরু

ছবি

ইসলামপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট উপহার

ছবি

সর্বোচ্চ ফি সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

ছবি

স্থগিত হওয়া চার দিনের এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করল শিক্ষা বোর্ড

ছবি

সহিংসতায় রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, এক বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

স্বতন্ত্র কাউন্সিলের দাবিতে আন্দোলন: ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

ছবি

পাসের হার ও জিপিএ-৫-এ ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার ধারা বজায়

ছবি

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে এসএসসি ও সমমানের ফল, পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১১ জুলাই থেকে

ছবি

এসএসসির ফল ১০ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে

ছবি

শিক্ষার্থীর ‘কটূক্তি’র অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী

ছবি

২৬ জুন শুরু এইচএসসি, কেন্দ্র এলাকায় চলাচলে ডিএমপির বিধিনিষেধ জারি

ছবি

রাতের ঘটনায় আসন বাতিল, শৃঙ্খলা কমিটিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমার প্রস্তুতি

পরীক্ষার আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ, জানাল শিক্ষা বোর্ড

ছবি

মহামারির আশঙ্কায় এইচএসসি কেন্দ্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের নির্দেশ

পরীক্ষা পেছানোর পরিকল্পনা নেই, প্রস্তুত শিক্ষা বোর্ডগুলো

ছবি

ভিসি নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ২৬ জুন

ছবি

আদালতের রায়ে এক যুগ পর চাকরিতে ফিরছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

ছবি

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চালু না হওয়া পর্যন্ত ইউজিসির অধীনেই চলবে সাত কলেজ

ছবি

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি, আন্দোলনে ছাত্রদলসহ শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহরিয়ার সাম্য হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে অর্ধদিবস শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল স্থানান্তর ও রাজস্ব ফাঁকিতে দুদকের নজরে দুই প্রতিষ্ঠান

ছবি

কোরবানির ঈদ আর গ্রীষ্ম: লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি

১৬ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, বাদ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী নেতাদের নাম

ছবি

কুয়েটে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষকদের অনড় কর্মবিরতি, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

ছবি

৬ বছর পর ইইডিতে উপপরিচালক পদায়ন

ছবি

শিক্ষার্থী-শিক্ষক উত্তেজনায় কুয়েটে অনিশ্চয়তায় একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ মে

ছবি

মে মাসের মাঝামাঝিতে তারিখ ঘোষণার লক্ষ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ

ছবি

কক্সবাজারে পরীক্ষা দিচ্ছে সেই ১৩ শিক্ষার্থী

tab

শিক্ষা

৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর নতুন বই প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের ৬ মাস শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও ওই দুই শ্রেণীর জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের ‘কনটেন্টের’ আলোকে বই লেখার কাজ চূড়ান্ত হয়নি। যদিও আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র ইতোমধ্যে আহ্বান করা হয়েছে। নতুন বইয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হলে ছাপাখানা মালিকদের তা দেয়ার প্রক্রিয়া এগুবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর শিক্ষাক্রমে প্রণয়নের দায়িত্বে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এই দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রাথমিকের শিক্ষাক্রমে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো রকম আলেচনা বা সমন্বয় না করেই নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবই প্রণয়নের কাজ করছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারা সম্প্রতি এনসিটিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ডিপিই কর্মকর্তাদের দেখিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের বই লেখার কাজ চূড়ান্ত করতে এনটিসিবি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ২০২৩ সালে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণী এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

এর মধ্যে প্রাথমিকে বিদ্যমান শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে যোগ্যতাভিত্তিক ‘সক্রিয় শিখন’ এবং মাধ্যমিক স্তরে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে।

এ বিষয়ে ডিপিই’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) ড. উত্তম কুমার দাস সংবাদকে বলেছেন, আমরা এনসিটিবির কর্মকর্তা ও শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা কিছু গাইডলাইন দিয়েছি।

এনসিটিবিতে দক্ষ ও প্রফেশনাল লোকবল কমে গেছে জানিয়ে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, তাদের লোড বেশি হয়ে যাচ্ছে। সেখানে কিছু শিক্ষক পদায়ন পেয়েই বিশেষজ্ঞ বলে যাচ্ছেন....।

চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বই প্রণয়নের কার্যক্রম কতটুকু এগিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিজাইন করে ফেলেছি। তাদের (এনসিটিবি) সেভাবে গাইড লাইনও দেয়া হয়েছে। জুনে তো হলো না। আশা করছি, ৪-৫ জুলাইয়ে হয়ে যাবে।

এনসিটিবি থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে ছয়টি করে বই পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। বইগুলি হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষা।

এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওএসডি হওয়া এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা এবং শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কারণে গত বছরের মতো এবারও দুই শ্রেণীর বই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কারণ তাদের কর্তৃত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে কোন রকম সমন্বয় না করেই নতুন শিক্ষাক্রমের বই প্রণয়নের কাজ চলছে।

এই দুই শিক্ষকের কর্তৃত্বে এনসিটিবির কর্মকর্তারা এনসিসিসি (জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি) সভার অনুমোদন ছাড়াই নতুন শিক্ষাক্রমের বই চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে। কারণ নতুন শিক্ষাক্রমের বই চূড়ান্ত করার আগে এনসিসিসি’র অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ডিপিই’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে বই প্রণয়নের কার্যক্রম এনসিটিবির নিজেদের মতো করলেই হবে না। কারণ এই শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন, কোশ্চেনসহ নানা নতুন বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষকদেরও বুঝতে হবে।

ডিপিই’র সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে কী না জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মোখলেস উর রহমান সংবাদকে বলেন, সমন্বয়ের ঘাটতি হবে কেন? আমাদের সঙ্গে তো নিয়মিতই বৈঠক হচ্ছে।

ডিপিই’র পরামর্শ ও গাইড লাইন অনুযায়ী তারা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এতে গতানুগতিক পাবলিক পরীক্ষা আর থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে।

back to top