সারা দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৬৫ লাখ ছাত্রীকে ‘আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট’ (আইএফএ) খাওয়ানো হচ্ছে। ইউনিসেফের ঢাকা অফিসের সহযোগিতায় দেশব্যাপী পরিচালিত ‘কৈশোরকালীন’ পুষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে একটি করে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো কার্যক্রম শুরু হলেও এতোদিন তা ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার সেই কার্যক্রম জোরালোভাবে পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাউশির আঞ্চলিক (৯টি) উপপরিচালক, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাদের ৬দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মাউশির সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ-১) মোহাম্মদ মাজহারুল হক মাসুদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তার জেলার বিদ্যালয়ভিত্তিক ত্রৈমাসিক আইএফএ ট্যাবলেটের চাহিদা নিরুপণ করে জেলার সিভিল সার্জনের কাছে প্রেরণ করবেন।
এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আইএফএ ট্যাবলেট উপজেলায় পাঠাবেন। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল পর্যায়ে আইএফএ ট্যাবলেট পৌছানো ও খাওয়ানো নিশ্চিত করবেন।
কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন গাইড লাইন-২০২০ অনুসারে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পাশাপাশি পুষ্টি শিক্ষা ও বিএমআই পরিমাপ (বছরে দুইবার) যথাযথভাবে পরিচালনা করবেন। আঞ্চলিক উপপরিচালকরা এই কার্যক্রমের রিপোর্টিং নিশ্চিত করবেন।
এই কার্যক্রমের সমন্বিত রিপোর্ট মাউশির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মাউশির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মাজহারুল হক মাসুদ সংবাদকে বলেন, ‘সারা দেশের প্রায় ৬৫ লাখ ছাত্রীকে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে প্রতিমাসে অন্তত তিন থেকে চারটি ট্যাবলেট খাওয়া হবে।’
ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীর আইরনের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি নিরসনের জন্য আমরা বিনামূল্যে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছি। পর্যায়ক্রমে ১০ থেকে ১৯ বছরের সব মেয়ে শিক্ষার্থীকে এই ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করে এবং নানান জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।
সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
সারা দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৬৫ লাখ ছাত্রীকে ‘আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট’ (আইএফএ) খাওয়ানো হচ্ছে। ইউনিসেফের ঢাকা অফিসের সহযোগিতায় দেশব্যাপী পরিচালিত ‘কৈশোরকালীন’ পুষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে একটি করে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো কার্যক্রম শুরু হলেও এতোদিন তা ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার সেই কার্যক্রম জোরালোভাবে পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাউশির আঞ্চলিক (৯টি) উপপরিচালক, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাদের ৬দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মাউশির সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ-১) মোহাম্মদ মাজহারুল হক মাসুদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তার জেলার বিদ্যালয়ভিত্তিক ত্রৈমাসিক আইএফএ ট্যাবলেটের চাহিদা নিরুপণ করে জেলার সিভিল সার্জনের কাছে প্রেরণ করবেন।
এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আইএফএ ট্যাবলেট উপজেলায় পাঠাবেন। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল পর্যায়ে আইএফএ ট্যাবলেট পৌছানো ও খাওয়ানো নিশ্চিত করবেন।
কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন গাইড লাইন-২০২০ অনুসারে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পাশাপাশি পুষ্টি শিক্ষা ও বিএমআই পরিমাপ (বছরে দুইবার) যথাযথভাবে পরিচালনা করবেন। আঞ্চলিক উপপরিচালকরা এই কার্যক্রমের রিপোর্টিং নিশ্চিত করবেন।
এই কার্যক্রমের সমন্বিত রিপোর্ট মাউশির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মাউশির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মাজহারুল হক মাসুদ সংবাদকে বলেন, ‘সারা দেশের প্রায় ৬৫ লাখ ছাত্রীকে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে প্রতিমাসে অন্তত তিন থেকে চারটি ট্যাবলেট খাওয়া হবে।’
ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীর আইরনের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি নিরসনের জন্য আমরা বিনামূল্যে আয়রন ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছি। পর্যায়ক্রমে ১০ থেকে ১৯ বছরের সব মেয়ে শিক্ষার্থীকে এই ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করে এবং নানান জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।