অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা।দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকলেও এই সময়ে শিক্ষকরা কোনো ধরনের ক্লাস নেয়নি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম একটি বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককের মধ্যেই বৈষম্য তৈরি হবে। এক জুলাইয়ের পর যারা শিক্ষকতার কিংবা অন্য সরকারি চাকরিতে ঢুকবেন তাঁদের জন্য আলাদা নিয়ম আর বাকিদের জন্য আলাদা নিয়ম। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা এই বৈষম্য চাইনা। সেজন্য বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের তিনটি দাবিতে আন্দোলন চলছে। প্রত্যয় স্কিম বাতিল, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা। এই তিন দাবি না মেনে নেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ইতোমধ্যে এক জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচিও পালিত হবে। এই সময়ে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকবেন এবং প্রশাসনিক কাজও করবেন না।
উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এর আগে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তার আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ সংগঠন। ১ জুলাই থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা।দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকলেও এই সময়ে শিক্ষকরা কোনো ধরনের ক্লাস নেয়নি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম একটি বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককের মধ্যেই বৈষম্য তৈরি হবে। এক জুলাইয়ের পর যারা শিক্ষকতার কিংবা অন্য সরকারি চাকরিতে ঢুকবেন তাঁদের জন্য আলাদা নিয়ম আর বাকিদের জন্য আলাদা নিয়ম। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা এই বৈষম্য চাইনা। সেজন্য বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের তিনটি দাবিতে আন্দোলন চলছে। প্রত্যয় স্কিম বাতিল, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা। এই তিন দাবি না মেনে নেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ইতোমধ্যে এক জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচিও পালিত হবে। এই সময়ে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকবেন এবং প্রশাসনিক কাজও করবেন না।
উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এর আগে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তার আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ সংগঠন। ১ জুলাই থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।