জামালপুরে একটি সংস্থার কার্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করার ঘটনা ঘটেছে। এসব পরীক্ষার্থীরা আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
শনিবার দুপুরে জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকার মানাব (মাদক কে না বলি) নামে একটি সংস্থার কার্যালয়ের সামনে বেশকিছু এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভিড় করতে দেখা যায়। ওই সংস্থার একটি কক্ষ থেকে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে প্রবেশপত্র বিতরণ করতে দেখা যায়।
জানা যায়, জামালপুর শহরের শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমোদন থাকলেও উচ্চমাধ্যমিকের কোন অনুমোদন নেই। তবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর পাঠ কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এখান থেকে কেউ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তবে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম তার কলেজসহ অন্যান্য কলেজের প্রায় তিনশ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, মলমগঞ্জ মডেল কলেজ, বেলগাছা স্কুল এন্ড কলেজ, সরিষাবাড়ী উপজেলার সানাকৈর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার প্রায় একশ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদান না করায় তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীরা শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে আন্দোলন শুরু করে।
আজ শনিবার শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে মানাব (মাদক কে না বলি) নামে একটি সংস্থার কার্যালয়ে প্রবেশপত্র নিতে আসা কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তারা বিভিন্ন কলেজ থেকে টিসি নিয়ে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়েছে। কলেজে ভর্তি ও একাডেমিক ফি ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্রের জন্য প্রত্যেকের নিকট থেকে পনের থেকে বিশ হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র পেলেও অনেকেই রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে আজ সবাইকে প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়।
শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর জানান, যেসব পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে তারা কেউ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী না। অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম ব্যাক্তিগতভাবে এসব পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র দিচ্ছেন। তার এই কাজের সাথে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের কোন শিক্ষক বা কর্মচারী জড়িত না। অধ্যক্ষের এই কর্মকান্ডে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুমান ক্ষুন্ন হওয়ায় তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন
কবীর।
এ ব্যাপারে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বোর্ডে আছি, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের জন্য কাজ করছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. মোজাম্মেল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে শুনেছি। তবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রবেশপত্র প্রদানের কোন নিয়ম নেই। অন্য সংস্থা থেকে প্রবেশপত্র প্রদানের ব্যাপারে অভিযোগ পাইনি, খোজ নিয়ে দেখছি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুমী আক্তার জানান,শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অনুমোদন নেই, তাই তারা প্রবেশপত্র প্রদান করতে পারবে না। অন্য একটি সংস্থা থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের বিষয়টি জানি না। তবে খোজ নিচ্ছি, সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
জামালপুরে একটি সংস্থার কার্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করার ঘটনা ঘটেছে। এসব পরীক্ষার্থীরা আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
শনিবার দুপুরে জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকার মানাব (মাদক কে না বলি) নামে একটি সংস্থার কার্যালয়ের সামনে বেশকিছু এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভিড় করতে দেখা যায়। ওই সংস্থার একটি কক্ষ থেকে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে প্রবেশপত্র বিতরণ করতে দেখা যায়।
জানা যায়, জামালপুর শহরের শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমোদন থাকলেও উচ্চমাধ্যমিকের কোন অনুমোদন নেই। তবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর পাঠ কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এখান থেকে কেউ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তবে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম তার কলেজসহ অন্যান্য কলেজের প্রায় তিনশ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, মলমগঞ্জ মডেল কলেজ, বেলগাছা স্কুল এন্ড কলেজ, সরিষাবাড়ী উপজেলার সানাকৈর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার প্রায় একশ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদান না করায় তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীরা শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে আন্দোলন শুরু করে।
আজ শনিবার শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে মানাব (মাদক কে না বলি) নামে একটি সংস্থার কার্যালয়ে প্রবেশপত্র নিতে আসা কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তারা বিভিন্ন কলেজ থেকে টিসি নিয়ে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়েছে। কলেজে ভর্তি ও একাডেমিক ফি ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্রের জন্য প্রত্যেকের নিকট থেকে পনের থেকে বিশ হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র পেলেও অনেকেই রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে আজ সবাইকে প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়।
শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর জানান, যেসব পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে তারা কেউ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী না। অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম ব্যাক্তিগতভাবে এসব পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র দিচ্ছেন। তার এই কাজের সাথে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের কোন শিক্ষক বা কর্মচারী জড়িত না। অধ্যক্ষের এই কর্মকান্ডে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুমান ক্ষুন্ন হওয়ায় তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন
কবীর।
এ ব্যাপারে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বোর্ডে আছি, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের জন্য কাজ করছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. মোজাম্মেল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে শুনেছি। তবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রবেশপত্র প্রদানের কোন নিয়ম নেই। অন্য সংস্থা থেকে প্রবেশপত্র প্রদানের ব্যাপারে অভিযোগ পাইনি, খোজ নিয়ে দেখছি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুমী আক্তার জানান,শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অনুমোদন নেই, তাই তারা প্রবেশপত্র প্রদান করতে পারবে না। অন্য একটি সংস্থা থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের বিষয়টি জানি না। তবে খোজ নিচ্ছি, সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।