স্মার্ট শিক্ষা ও স্মার্ট গবেষণার মাধ্যমে ‘স্মার্ট সিটিজেন’ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সংরক্ষণে ডিজিটাল সনদ ব্যাংক গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সব তথ্যের রেকর্ড থাকবে। বিডিরেন এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পোর্টফোলিও তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
তেজগাঁও লিংক রোডের বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)-এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডিরেন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি সদস্য ও চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিডিরেন সময়োপযোগী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বিডিরেন নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বিডিরেনের মাধ্যমে আমরা একটা এডুকেশন ইকো সিস্টেম চালু করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়া, প্রযুক্তির সঙ্গে পরিবর্তিত দক্ষতা যেমন কোডিং জানতে হবে, বর্তমানে আমরা স্কুল পর্যায়ে কোডিং শুরু করেছি, ভাষা শেখা ছাড়াও নানান ধরণের সার্ভিসের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন, গবেষণা বিষয়বস্তু ইত্যাদি জানতে হলে কলেজের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে বিডিরেনে আনতে হবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ৩৫ লাখ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন কলেজগুলোতে। সরকারি কলেজগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন তা বাস্তবায়ন করা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। বিডিরেন শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিসরে এর সুবিধা পেয়েছি । উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কলেজগুলোতেও বিডিরেনের সুবিধা যুক্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কলেজের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারিতে আনতে হবে। সেটা করতে গেলে আমাদের বিডিরেনের সহযোগিতার প্রয়োজন। বিডিরেন শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে আরও নতুন নতুন সার্ভিস স্বল্পমূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন : উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে আরও বিস্তৃত, শিক্ষা ও গবেষণা বান্ধব কার্যক্রমে বিডিরেন কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ তৌরিত বিডিরেনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সকলে প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্বৃত্তের চেয়ে কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন না থাকলে না থাকলে আমাদের প্রফিট দিয়ে কিছু হবে না।’
অনুষ্ঠানে বিডিরেনের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বর্তমান ও সাবেক সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ এক্রেডিশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
স্মার্ট শিক্ষা ও স্মার্ট গবেষণার মাধ্যমে ‘স্মার্ট সিটিজেন’ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সংরক্ষণে ডিজিটাল সনদ ব্যাংক গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সব তথ্যের রেকর্ড থাকবে। বিডিরেন এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পোর্টফোলিও তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
তেজগাঁও লিংক রোডের বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)-এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডিরেন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি সদস্য ও চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিডিরেন সময়োপযোগী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বিডিরেন নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বিডিরেনের মাধ্যমে আমরা একটা এডুকেশন ইকো সিস্টেম চালু করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়া, প্রযুক্তির সঙ্গে পরিবর্তিত দক্ষতা যেমন কোডিং জানতে হবে, বর্তমানে আমরা স্কুল পর্যায়ে কোডিং শুরু করেছি, ভাষা শেখা ছাড়াও নানান ধরণের সার্ভিসের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন, গবেষণা বিষয়বস্তু ইত্যাদি জানতে হলে কলেজের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে বিডিরেনে আনতে হবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ৩৫ লাখ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন কলেজগুলোতে। সরকারি কলেজগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন তা বাস্তবায়ন করা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। বিডিরেন শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিসরে এর সুবিধা পেয়েছি । উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কলেজগুলোতেও বিডিরেনের সুবিধা যুক্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কলেজের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারিতে আনতে হবে। সেটা করতে গেলে আমাদের বিডিরেনের সহযোগিতার প্রয়োজন। বিডিরেন শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে আরও নতুন নতুন সার্ভিস স্বল্পমূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন : উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে আরও বিস্তৃত, শিক্ষা ও গবেষণা বান্ধব কার্যক্রমে বিডিরেন কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ তৌরিত বিডিরেনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সকলে প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্বৃত্তের চেয়ে কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন না থাকলে না থাকলে আমাদের প্রফিট দিয়ে কিছু হবে না।’
অনুষ্ঠানে বিডিরেনের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বর্তমান ও সাবেক সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ এক্রেডিশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।