আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন শিক্ষাউপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ঘোষণা করেছেন যে, বহুল আলোচিত নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রবর্তিত এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, “আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। তবে এমনভাবে ফিরে যাব যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা না হয়। এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে হচ্ছে। কীভাবে আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব, সেটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১২ সালে তথ্য-প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিয়ে সৃজনশীল শিক্ষার প্রসারে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছিল। কিন্তু এটি নিয়ে তখন থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছিল।
পরবর্তীতে, পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা থেকে মুক্তি পেতে এবং মুখস্থবিদ্যার বাইরে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। চলতি বছর তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম এবং নবম শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগভিত্তিক বিভাজন তুলে দেওয়াসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করেছিল, নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষানির্ভরতা কমিয়ে পাঠ প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করবে। কিন্তু এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনাও উঠে আসে।
ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলের অবসান এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষাখাতেও সংস্কারের দাবি জোরদার হয়। নতুন শিক্ষাউপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দিয়েছেন।
রোববার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন শিক্ষাউপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ঘোষণা করেছেন যে, বহুল আলোচিত নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রবর্তিত এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, “আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। তবে এমনভাবে ফিরে যাব যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা না হয়। এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে হচ্ছে। কীভাবে আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব, সেটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১২ সালে তথ্য-প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিয়ে সৃজনশীল শিক্ষার প্রসারে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছিল। কিন্তু এটি নিয়ে তখন থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছিল।
পরবর্তীতে, পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা থেকে মুক্তি পেতে এবং মুখস্থবিদ্যার বাইরে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। চলতি বছর তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম এবং নবম শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগভিত্তিক বিভাজন তুলে দেওয়াসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করেছিল, নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষানির্ভরতা কমিয়ে পাঠ প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করবে। কিন্তু এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনাও উঠে আসে।
ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলের অবসান এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষাখাতেও সংস্কারের দাবি জোরদার হয়। নতুন শিক্ষাউপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দিয়েছেন।