পরীক্ষার্থীদের দাবিতে প্রেক্ষিতে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কীভাবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেটি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বাকি পরীক্ষাগুলো আর হবে না। ফলাফল কীভাবে দেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’
নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে এ পর্যন্ত নেয়া পরীক্ষা ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের’ মাধ্যমে ফল প্রকাশ করার দাবিতে গত চার-পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল পরীক্ষার্থীরা। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে।
‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ কীভাবে হতে পারে- জানতে চাইলে তপন কুমার সরকার বলেন, ‘যেসব পরীক্ষা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি, সেসব বিষয়ে এসএসসিতে শিক্ষার্থীরা যে নম্বর পেয়েছিল সেই আলোকে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তাছাড়া কোভিড-মহামারীর সময় আমাদের সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে। খুব একটা সমস্যা হবে না।’
মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কবে নাগাদ চূড়ান্ত হতে পারে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যেই সভা করে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের দিকের গেট দিয়ে একসঙ্গে নিরাপত্তা বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তারা ৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝামাঝি জায়গায় বসে পড়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপত্তিতে পড়তে হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাউকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি এবং কেউ সচিবালয় থেকে বেরও হতে পারেনি।
সচিবালয়ে প্রবেশের পর দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় পরীক্ষার্থীরা। এ সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কোনো কিছু জানানো হয়নি। এর এক ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার কিছু আগে শতাধিক শিক্ষার্থী একযোগে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ২০ তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানেও বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৬ নম্বর ভবনের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছুটা ‘উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা’ নিয়ে চলাচলা করতে দেখা যায়। যদিও পরীক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেন।
এর পর শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ আবদুর রশীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখনও শিক্ষা সচিবের দপ্তরের সামনে নানা স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এর পর সচিবালয় ত্যাগ করতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঢাকা কলেজ, ঢাকা স্টেট কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ, বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজসহ ঢাকা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
‘পরীক্ষার্থী’ নবদ্বীপ চৌধুরী বলেন, তারা গত চার দিন ধরে আন্দোলন করছেন। তাদের ‘অনেক ভাই’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পরীক্ষা নিলে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
‘মূল মেধাটা’ অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই হয় মন্তব্য করে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা এ পর্যন্ত মাত্র ৭টি পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। নতুন করে রুটিন প্রকাশ করলে পরীক্ষা শেষ করতে আরও অনেক সময় লেগে যাবে। তখন তারা ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাবেন না। সে জন্য যে সাতটি পরীক্ষা হয়েছে, সেসব পরীক্ষা এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এভাবে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের’ মাধ্যমে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে এক সভায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও তা আরো দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ, আগে যে বিষয়ে আটটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো, সেই বিষয়ে এখন চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষার জন্য আগের মতোই পূর্ণ সময় থাকবে।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অটল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। এ সময় অন্যরা বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
সিলেট বিভাগ বাদে গত ৩০ জুন এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা ৯ জুলাই শুরু হয়। মোট ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটকে যায় পরীক্ষা। ১৮ জুলাই থেকে কোনো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এরপর বারবার পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিক্ষা প্রশাসন। সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া বাকি রয়েছে। এইচএসসি ও সমমানে এবার ১৪ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার মধ্যে ১৬ জুলাই রাতেই সারাদেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে কারণে ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪
পরীক্ষার্থীদের দাবিতে প্রেক্ষিতে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কীভাবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেটি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বাকি পরীক্ষাগুলো আর হবে না। ফলাফল কীভাবে দেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’
নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে এ পর্যন্ত নেয়া পরীক্ষা ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের’ মাধ্যমে ফল প্রকাশ করার দাবিতে গত চার-পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল পরীক্ষার্থীরা। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে।
‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ কীভাবে হতে পারে- জানতে চাইলে তপন কুমার সরকার বলেন, ‘যেসব পরীক্ষা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি, সেসব বিষয়ে এসএসসিতে শিক্ষার্থীরা যে নম্বর পেয়েছিল সেই আলোকে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তাছাড়া কোভিড-মহামারীর সময় আমাদের সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে। খুব একটা সমস্যা হবে না।’
মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কবে নাগাদ চূড়ান্ত হতে পারে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যেই সভা করে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের দিকের গেট দিয়ে একসঙ্গে নিরাপত্তা বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তারা ৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝামাঝি জায়গায় বসে পড়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপত্তিতে পড়তে হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাউকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি এবং কেউ সচিবালয় থেকে বেরও হতে পারেনি।
সচিবালয়ে প্রবেশের পর দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় পরীক্ষার্থীরা। এ সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কোনো কিছু জানানো হয়নি। এর এক ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার কিছু আগে শতাধিক শিক্ষার্থী একযোগে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ২০ তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানেও বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৬ নম্বর ভবনের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছুটা ‘উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা’ নিয়ে চলাচলা করতে দেখা যায়। যদিও পরীক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেন।
এর পর শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ আবদুর রশীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখনও শিক্ষা সচিবের দপ্তরের সামনে নানা স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এর পর সচিবালয় ত্যাগ করতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঢাকা কলেজ, ঢাকা স্টেট কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ, বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজসহ ঢাকা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
‘পরীক্ষার্থী’ নবদ্বীপ চৌধুরী বলেন, তারা গত চার দিন ধরে আন্দোলন করছেন। তাদের ‘অনেক ভাই’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পরীক্ষা নিলে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
‘মূল মেধাটা’ অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই হয় মন্তব্য করে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা এ পর্যন্ত মাত্র ৭টি পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। নতুন করে রুটিন প্রকাশ করলে পরীক্ষা শেষ করতে আরও অনেক সময় লেগে যাবে। তখন তারা ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাবেন না। সে জন্য যে সাতটি পরীক্ষা হয়েছে, সেসব পরীক্ষা এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এভাবে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের’ মাধ্যমে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে এক সভায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও তা আরো দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ, আগে যে বিষয়ে আটটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো, সেই বিষয়ে এখন চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষার জন্য আগের মতোই পূর্ণ সময় থাকবে।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অটল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। এ সময় অন্যরা বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
সিলেট বিভাগ বাদে গত ৩০ জুন এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা ৯ জুলাই শুরু হয়। মোট ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটকে যায় পরীক্ষা। ১৮ জুলাই থেকে কোনো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এরপর বারবার পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিক্ষা প্রশাসন। সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া বাকি রয়েছে। এইচএসসি ও সমমানে এবার ১৪ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার মধ্যে ১৬ জুলাই রাতেই সারাদেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে কারণে ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।