উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ না করা পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এছাড়া নবম শ্রেণী থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক (মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য) বিভাগ আলাদা থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি আর নয়
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, চর দখলের মতো একটা রাজনৈতিকভাবে গঠিত পরিচালনা কমিটি চলে গেল, আরেকটা দল এসে দখল করলো- এটা তারা চান না। এটা হলে তো আর ‘লাভ’ হলো না। সরকার চাই গুণগত মান শিক্ষায় আসুক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘রাজনৈতিকভাবে তৈরি’ করা কমিটি থাকার কথা নয় মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম বেসরকারি স্কুল-কলেজের পুরো কমিটিকেই বাতিল করতে, কিন্তু কোনো কারণে বোধহয় শুধু সভাপতিকে বাতিল করা হয়েছে। আসলে পুরো কমিটিকেই বাতিল করার কথা, কারণ এগুলো তো সবই রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা কমিটি।’
অভিভাবক নেই ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে
দেশে ৫০টির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ৪০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অভিভাবক নেই। ৪২টিতে উপাচার্য নেই। উপাচার্য নিয়োগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করা যাবে না।
সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবার গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিকে ভিসি নিয়োগ করা হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারসহ শীর্ষ পদধারীরা পদত্যাগ করতে থাকেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতিতে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ১৮ আগস্ট দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলেনি।
এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার মূল্যায়নের পদ্ধতি এখনও ঠিক হয়নি
এইচএসসি ও সমমানের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিলের পর কীভাবে মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে বুধবার নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর কীভাবে মূল্যায়ন হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই। কালকে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, আমি এখন পর্যন্ত চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। বোর্ড আছে, এক্সপার্ট আছে। তারা এটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানাবে। বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।’
গত ৩০ জুন থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার প্রেক্ষিতে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার কথা তাও নেয়া সম্ভব হয়নি।
নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে যেগুলো হয়েছে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবিতে ২০ আগস্ট দুপুরে শতাধিক পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা। এর পর বিকেলে অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। এবার এইচএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে সম্মতি নটর ডেম শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছিল নটর ডেম কলেজের পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা নেয়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছিল তারা। পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পরীক্ষা বাতিলের আদেশ মেনে নিয়েছে নটর ডেম কলেজটির পরীক্ষার্থীরা।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নটর ডেম শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য ও দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে পাল্টা কর্মসূচিতে না গিয়ে তারা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কলেজটির সাধারণ শিক্ষার্থী ও গ্রুপ ক্যাপ্টেনরা এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি নটর ডেম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে যেসব বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কোনো সংযোগ নেই। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টার বিবৃতির পর সব গ্রুপে জনমত যাচাই করে ক্যাপ্টেনরা একটি সাধারণ বিবৃতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ে এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং যে পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নটর ডেম কলেজে শিক্ষার্থীদের একাংশ এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হলেও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে আমরা প্রস্তুত। দেশব্যাপী দুর্যোগ ও বিভিন্ন পক্ষের সহিংস কর্মকা- ঘটানোর আশঙ্কায় পাল্টা কোনো কর্মসূচি দিতে আমরা আগ্রহী নই।’
নবম শ্রেণীতে বিভাগ আলাদা থাকবে
নবম শ্রেণী থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ আলাদা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এছাড়া নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নিবো।’
নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণী থেকে বিভাগ বিভাজন রাখা হয়নি। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণীতে উঠবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না বলে সদ্য সাবেক সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল। ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪
উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ না করা পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এছাড়া নবম শ্রেণী থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক (মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য) বিভাগ আলাদা থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি আর নয়
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, চর দখলের মতো একটা রাজনৈতিকভাবে গঠিত পরিচালনা কমিটি চলে গেল, আরেকটা দল এসে দখল করলো- এটা তারা চান না। এটা হলে তো আর ‘লাভ’ হলো না। সরকার চাই গুণগত মান শিক্ষায় আসুক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘রাজনৈতিকভাবে তৈরি’ করা কমিটি থাকার কথা নয় মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম বেসরকারি স্কুল-কলেজের পুরো কমিটিকেই বাতিল করতে, কিন্তু কোনো কারণে বোধহয় শুধু সভাপতিকে বাতিল করা হয়েছে। আসলে পুরো কমিটিকেই বাতিল করার কথা, কারণ এগুলো তো সবই রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা কমিটি।’
অভিভাবক নেই ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে
দেশে ৫০টির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ৪০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অভিভাবক নেই। ৪২টিতে উপাচার্য নেই। উপাচার্য নিয়োগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করা যাবে না।
সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবার গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিকে ভিসি নিয়োগ করা হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারসহ শীর্ষ পদধারীরা পদত্যাগ করতে থাকেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতিতে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ১৮ আগস্ট দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলেনি।
এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার মূল্যায়নের পদ্ধতি এখনও ঠিক হয়নি
এইচএসসি ও সমমানের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিলের পর কীভাবে মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে বুধবার নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর কীভাবে মূল্যায়ন হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই। কালকে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, আমি এখন পর্যন্ত চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। বোর্ড আছে, এক্সপার্ট আছে। তারা এটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানাবে। বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।’
গত ৩০ জুন থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার প্রেক্ষিতে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার কথা তাও নেয়া সম্ভব হয়নি।
নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে যেগুলো হয়েছে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবিতে ২০ আগস্ট দুপুরে শতাধিক পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা। এর পর বিকেলে অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। এবার এইচএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে সম্মতি নটর ডেম শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছিল নটর ডেম কলেজের পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা নেয়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছিল তারা। পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পরীক্ষা বাতিলের আদেশ মেনে নিয়েছে নটর ডেম কলেজটির পরীক্ষার্থীরা।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নটর ডেম শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য ও দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে পাল্টা কর্মসূচিতে না গিয়ে তারা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কলেজটির সাধারণ শিক্ষার্থী ও গ্রুপ ক্যাপ্টেনরা এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি নটর ডেম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে যেসব বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কোনো সংযোগ নেই। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টার বিবৃতির পর সব গ্রুপে জনমত যাচাই করে ক্যাপ্টেনরা একটি সাধারণ বিবৃতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ে এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং যে পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নটর ডেম কলেজে শিক্ষার্থীদের একাংশ এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হলেও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে আমরা প্রস্তুত। দেশব্যাপী দুর্যোগ ও বিভিন্ন পক্ষের সহিংস কর্মকা- ঘটানোর আশঙ্কায় পাল্টা কোনো কর্মসূচি দিতে আমরা আগ্রহী নই।’
নবম শ্রেণীতে বিভাগ আলাদা থাকবে
নবম শ্রেণী থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ আলাদা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এছাড়া নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নিবো।’
নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণী থেকে বিভাগ বিভাজন রাখা হয়নি। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণীতে উঠবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না বলে সদ্য সাবেক সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল। ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।