জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের বর্তমান পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এই ফি মওকুফ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
টিউশন ফি মওকুফের জন্য আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রসহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে আবেদনকারীর টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা নেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ১৫ জুলাইয়ের পর আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। ওইদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও পাঁচ জন নিহত হন। এতে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে সংঘাত-সহিংসতাও।
এক পর্যায়ে চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রুপ নেয়। প্রবল ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
এই গণআন্দোলনের বহু শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার খবর এসেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকে। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন কেউ কেউ।
বেসরকারি সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, গণঅভ্যুত্থানে ৯৮৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৬৮ জনের নাম জানা জানিয়েছে সংগঠনটি। বাকি ১১৮ জনের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
তবে গণমাধ্যম, হাসপাতাল ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হয়, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার ২০০ জন হতে পারে। এদের বড় অংশই তরুণ বা শিক্ষার্থী ছিল।
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের বর্তমান পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এই ফি মওকুফ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
টিউশন ফি মওকুফের জন্য আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রসহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে আবেদনকারীর টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা নেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ১৫ জুলাইয়ের পর আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। ওইদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও পাঁচ জন নিহত হন। এতে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে সংঘাত-সহিংসতাও।
এক পর্যায়ে চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রুপ নেয়। প্রবল ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
এই গণআন্দোলনের বহু শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার খবর এসেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকে। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন কেউ কেউ।
বেসরকারি সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, গণঅভ্যুত্থানে ৯৮৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৬৮ জনের নাম জানা জানিয়েছে সংগঠনটি। বাকি ১১৮ জনের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
তবে গণমাধ্যম, হাসপাতাল ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হয়, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার ২০০ জন হতে পারে। এদের বড় অংশই তরুণ বা শিক্ষার্থী ছিল।