alt

শিক্ষা

বেসরকারি স্কুল-কলেজের ‘গলাকাটা’ ফি নিয়ন্ত্রণে সরকার, নতুন নীতিমালা জারি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের উপর এই অর্থনৈতিক চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। "বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তর) এর টিউশন ফি নীতিমালা-২০২৪" শীর্ষক এই নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা মহানগর ও জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন নির্ধারণ করবে। এছাড়া, অন্যান্য খাতের ফি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত এ নীতিমালাটি এখন থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আলাদা দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকারভেদ ও অবস্থান বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন নির্ধারণ করবে। মহানগর কমিটি সিটি কর্পোরেশন এবং মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন নির্ধারণ করবে, অপরদিকে জেলা কমিটি জেলা সদর, পৌর এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একই কার্য সম্পাদন করবে।

বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আর্থিক সামর্থ্য, প্রতিষ্ঠানগুলোর ধরণ ও অবস্থান বিবেচনায় রাখা হবে। মহানগর ও জেলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে থাকবেন একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক, এবং বিভিন্ন এমপিও ও নন-এমপিও স্কুল-কলেজের প্রতিনিধিরা।

নতুন নীতিমালায় মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আওতায় ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানগর পর্যায়ের এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো বছরে সর্বোচ্চ ২৩১৫ টাকা এবং নন-এমপিও স্কুলগুলো ৩৮২৫ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে ফি নিতে পারবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফি আরো কম রাখা হয়েছে। এছাড়া, স্কুল-কলেজগুলো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয়ে সর্বাধিক ৫০ টাকা এবং চার ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ৬০ টাকা ফি নিতে পারবে।

এই ফি নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় মহানগর ও জেলা কমিটির সদস্য থাকলেও এতে অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’ নামক একটি সংগঠনের সভাপতি মো. জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, “এ ধরনের কমিটিতে অতীতেও অভিভাবক প্রতিনিধি না থাকার কারণে অভিভাবকদের উপর অতিরিক্ত চাপ এসেছে। এবারও এই নীতিমালায় অভিভাবকদের পকেট কাটার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তাই কমিটিতে অবশ্যই দুইজন অভিভাবক প্রতিনিধি রাখা উচিত।” শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই প্রস্তাবটি তাদের আলোচনায় আছে।

নীতিমালায় আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজগুলোকে তফসিলী ব্যাংকে নির্দিষ্ট হিসাবে সমস্ত ফি সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো একক খাতে বছরে দশ লাখ টাকার বেশি আদায় হলে আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। খাতভিত্তিক ব্যয় করতে হবে এবং এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই আর্থিক হিসাব সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হবে এবং প্রতি বছর অন্তত দুইবার তা পর্যালোচনা করতে হবে। এইসব হিসাবের সফট ও হার্ড কপি ন্যূনতম ২০ বছর সংরক্ষণ করতে হবে এবং দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় পরবর্তী প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।

এছাড়াও, নতুন নীতিমালায় স্কুল-কলেজগুলোকে স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি এবং পরিবহন খরচ সংক্রান্ত নিয়মাবলীও নির্ধারণ করা হয়েছে।

ছবি

স্বতন্ত্র কাউন্সিলের দাবিতে আন্দোলন: ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

ছবি

পাসের হার ও জিপিএ-৫-এ ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার ধারা বজায়

ছবি

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে এসএসসি ও সমমানের ফল, পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১১ জুলাই থেকে

ছবি

এসএসসির ফল ১০ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে

ছবি

শিক্ষার্থীর ‘কটূক্তি’র অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী

ছবি

২৬ জুন শুরু এইচএসসি, কেন্দ্র এলাকায় চলাচলে ডিএমপির বিধিনিষেধ জারি

ছবি

রাতের ঘটনায় আসন বাতিল, শৃঙ্খলা কমিটিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমার প্রস্তুতি

পরীক্ষার আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ, জানাল শিক্ষা বোর্ড

ছবি

মহামারির আশঙ্কায় এইচএসসি কেন্দ্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের নির্দেশ

পরীক্ষা পেছানোর পরিকল্পনা নেই, প্রস্তুত শিক্ষা বোর্ডগুলো

ছবি

ভিসি নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ২৬ জুন

ছবি

আদালতের রায়ে এক যুগ পর চাকরিতে ফিরছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

ছবি

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চালু না হওয়া পর্যন্ত ইউজিসির অধীনেই চলবে সাত কলেজ

ছবি

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি, আন্দোলনে ছাত্রদলসহ শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহরিয়ার সাম্য হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে অর্ধদিবস শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল স্থানান্তর ও রাজস্ব ফাঁকিতে দুদকের নজরে দুই প্রতিষ্ঠান

ছবি

কোরবানির ঈদ আর গ্রীষ্ম: লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি

১৬ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, বাদ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী নেতাদের নাম

ছবি

কুয়েটে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষকদের অনড় কর্মবিরতি, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

ছবি

৬ বছর পর ইইডিতে উপপরিচালক পদায়ন

ছবি

শিক্ষার্থী-শিক্ষক উত্তেজনায় কুয়েটে অনিশ্চয়তায় একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ মে

ছবি

মে মাসের মাঝামাঝিতে তারিখ ঘোষণার লক্ষ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ

ছবি

কক্সবাজারে পরীক্ষা দিচ্ছে সেই ১৩ শিক্ষার্থী

ছবি

ভিসি অপসারণ একমাত্র দাবি: কুয়েট শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন

ছবি

কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল

ছবি

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা, অংশ নেবে ১৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

ছবি

১৩৫ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

শিক্ষা সংস্কারে পদক্ষেপ নেই, বাজেট বাড়ানোর দাবি শিক্ষাবিদদের

ছবি

এসএসসি পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার বন্ধ ও কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা

ছবি

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ফল প্রকাশে দুই মাসের স্থগিতাদেশ

ছবি

পেছালো এসএসসির গণিত পরীক্ষা, নতুন সময়সূচি প্রকাশ

ছবি

ঢাবির সহিংসতা: ১২৮ জনের তালিকা চূড়ান্ত নয়, পুনঃতদন্তে কমিটি

ছবি

নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ অনুমোদিত

tab

শিক্ষা

বেসরকারি স্কুল-কলেজের ‘গলাকাটা’ ফি নিয়ন্ত্রণে সরকার, নতুন নীতিমালা জারি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের উপর এই অর্থনৈতিক চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। "বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তর) এর টিউশন ফি নীতিমালা-২০২৪" শীর্ষক এই নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা মহানগর ও জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন নির্ধারণ করবে। এছাড়া, অন্যান্য খাতের ফি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত এ নীতিমালাটি এখন থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আলাদা দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকারভেদ ও অবস্থান বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন নির্ধারণ করবে। মহানগর কমিটি সিটি কর্পোরেশন এবং মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন নির্ধারণ করবে, অপরদিকে জেলা কমিটি জেলা সদর, পৌর এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একই কার্য সম্পাদন করবে।

বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আর্থিক সামর্থ্য, প্রতিষ্ঠানগুলোর ধরণ ও অবস্থান বিবেচনায় রাখা হবে। মহানগর ও জেলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে থাকবেন একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক, এবং বিভিন্ন এমপিও ও নন-এমপিও স্কুল-কলেজের প্রতিনিধিরা।

নতুন নীতিমালায় মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আওতায় ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানগর পর্যায়ের এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো বছরে সর্বোচ্চ ২৩১৫ টাকা এবং নন-এমপিও স্কুলগুলো ৩৮২৫ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে ফি নিতে পারবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফি আরো কম রাখা হয়েছে। এছাড়া, স্কুল-কলেজগুলো অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয়ে সর্বাধিক ৫০ টাকা এবং চার ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ৬০ টাকা ফি নিতে পারবে।

এই ফি নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় মহানগর ও জেলা কমিটির সদস্য থাকলেও এতে অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’ নামক একটি সংগঠনের সভাপতি মো. জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, “এ ধরনের কমিটিতে অতীতেও অভিভাবক প্রতিনিধি না থাকার কারণে অভিভাবকদের উপর অতিরিক্ত চাপ এসেছে। এবারও এই নীতিমালায় অভিভাবকদের পকেট কাটার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তাই কমিটিতে অবশ্যই দুইজন অভিভাবক প্রতিনিধি রাখা উচিত।” শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই প্রস্তাবটি তাদের আলোচনায় আছে।

নীতিমালায় আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজগুলোকে তফসিলী ব্যাংকে নির্দিষ্ট হিসাবে সমস্ত ফি সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো একক খাতে বছরে দশ লাখ টাকার বেশি আদায় হলে আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। খাতভিত্তিক ব্যয় করতে হবে এবং এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই আর্থিক হিসাব সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলতে হবে এবং প্রতি বছর অন্তত দুইবার তা পর্যালোচনা করতে হবে। এইসব হিসাবের সফট ও হার্ড কপি ন্যূনতম ২০ বছর সংরক্ষণ করতে হবে এবং দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় পরবর্তী প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।

এছাড়াও, নতুন নীতিমালায় স্কুল-কলেজগুলোকে স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি এবং পরিবহন খরচ সংক্রান্ত নিয়মাবলীও নির্ধারণ করা হয়েছে।

back to top