ঢাকার তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তাতে অংশগ্রহণে রাজি হননি দুই কলেজের অধ্যক্ষ।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তিনি আলোচনায় বসবেন না। তার মতে, “গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে কারা জড়িত, কারা অস্ত্র ও অর্থের যোগান দিয়েছে—এসব খুঁজে বের করাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তারাও বৈঠকে বসতে রাজি নন। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আলোচনায় বসতে পারি না।”
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর পর গত রোববার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়িত। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় সোমবারের ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচিতে, যখন ডেমরা সড়কের পাশে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ পরিস্থিতিতে রাত ১০টায় আলোচনার জন্য তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম। তবে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে অধ্যক্ষরা সমাধানের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি, এবং তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকার তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তাতে অংশগ্রহণে রাজি হননি দুই কলেজের অধ্যক্ষ।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তিনি আলোচনায় বসবেন না। তার মতে, “গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে কারা জড়িত, কারা অস্ত্র ও অর্থের যোগান দিয়েছে—এসব খুঁজে বের করাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তারাও বৈঠকে বসতে রাজি নন। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আলোচনায় বসতে পারি না।”
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর পর গত রোববার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়িত। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় সোমবারের ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচিতে, যখন ডেমরা সড়কের পাশে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ পরিস্থিতিতে রাত ১০টায় আলোচনার জন্য তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম। তবে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে অধ্যক্ষরা সমাধানের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি, এবং তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।