ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, মামুন আহমেদ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘মুখোমুখি’ অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন, যা সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনকারীরা নিউ মার্কেট থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক ছাত্রের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলছেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলছেন। এছাড়া, তাদের আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রোববার রাতে ঢাকা কলেজের প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. মুঈনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন আচরণ করেছে। মুঈনুল বলেন, “এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, তাদের এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, নিউ মার্কেট থানা পুলিশ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসির পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা, যারা মনে করেন, এটি তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মুঈনুল ইসলাম বলেন, “এই সহিংসতার জন্য প্রভিসির দায় রয়েছে, তাই তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।” আন্দোলনকারীরা আরও দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি তাঁদের দাবির প্রতি সাড়া না দেয়, তবে তারা নিউ মার্কেট থানার সামনে সড়ক অবরোধ করবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
রোববার রাতে সায়েন্সল্যাব ও শাহবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং সড়ক অবরোধের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এলাকায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, যা পক্ষপাতিত্বের শামিল ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সোমবার সকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। এর পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণ’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আগামী ২০২৪-২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
এই সিদ্ধান্তের পরে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির প্রতি সাড়া পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে, তাদের প্রতিবাদ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, মামুন আহমেদ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘মুখোমুখি’ অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন, যা সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনকারীরা নিউ মার্কেট থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক ছাত্রের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলছেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলছেন। এছাড়া, তাদের আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রোববার রাতে ঢাকা কলেজের প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. মুঈনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন আচরণ করেছে। মুঈনুল বলেন, “এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, তাদের এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, নিউ মার্কেট থানা পুলিশ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসির পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা, যারা মনে করেন, এটি তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মুঈনুল ইসলাম বলেন, “এই সহিংসতার জন্য প্রভিসির দায় রয়েছে, তাই তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।” আন্দোলনকারীরা আরও দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি তাঁদের দাবির প্রতি সাড়া না দেয়, তবে তারা নিউ মার্কেট থানার সামনে সড়ক অবরোধ করবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
রোববার রাতে সায়েন্সল্যাব ও শাহবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং সড়ক অবরোধের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এলাকায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, যা পক্ষপাতিত্বের শামিল ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সোমবার সকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। এর পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণ’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আগামী ২০২৪-২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
এই সিদ্ধান্তের পরে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির প্রতি সাড়া পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে, তাদের প্রতিবাদ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।