স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের জেরে ঢাকার সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ৩৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে।
সোমবার ছিল বিএএমএস (ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) এবং বিইউএমএস (ব্যাচেলর অব ইউনানী মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) কোর্সে ভর্তির শেষ দিন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ভর্তি কার্যক্রম শুরুই করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর এসব কোর্সে ৫০ জন (২৫ জন করে প্রতি কোর্সে) শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
গত ১৪ দিন ধরে কলেজটির শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে তারা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও, অবস্থান কর্মসূচি এবং ক্লাস বর্জন করেছেন। সোমবারও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফরহার রেজা বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, কাউন্সিল গঠনের নীতিমালা তৈরি না হবে, ততক্ষণ ভর্তি কার্যক্রম চলবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। নতুনরা ভর্তি হলে তারাও বিপদের মুখে পড়বে।”
ভর্তিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভর্তি কমিটির সদস্য ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা শিক্ষকরাও একমত। প্রায় ৩৫ বছর ধরে আমাদের কোনো স্বতন্ত্র কাউন্সিল নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি অস্থায়ী কমিটি আমাদের নিবন্ধন দিচ্ছে। এতে চিকিৎসকদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঝুঁকি থাকে, যেহেতু তাদের নিবন্ধন ও পেশাগত স্বীকৃতির বিষয়টি এখনও অস্থায়ী ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
১৯৮৯ সালে ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ। উপমহাদেশের প্রাচীন চিকিৎসাবিদ্যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদের আধুনিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এই কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধিভুক্ত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত। এখানে ৫ বছর মেয়াদি বিএএমএস ও বিইউএমএস কোর্স এবং এক বছর ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, স্বতন্ত্র কাউন্সিল না থাকায় তারা চিকিৎসা পেশায় পূর্ণ স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, যা তাদের ক্যারিয়ার এবং পেশাগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
---
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের জেরে ঢাকার সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ৩৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে।
সোমবার ছিল বিএএমএস (ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) এবং বিইউএমএস (ব্যাচেলর অব ইউনানী মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) কোর্সে ভর্তির শেষ দিন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ভর্তি কার্যক্রম শুরুই করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর এসব কোর্সে ৫০ জন (২৫ জন করে প্রতি কোর্সে) শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
গত ১৪ দিন ধরে কলেজটির শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে তারা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও, অবস্থান কর্মসূচি এবং ক্লাস বর্জন করেছেন। সোমবারও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফরহার রেজা বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, কাউন্সিল গঠনের নীতিমালা তৈরি না হবে, ততক্ষণ ভর্তি কার্যক্রম চলবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। নতুনরা ভর্তি হলে তারাও বিপদের মুখে পড়বে।”
ভর্তিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভর্তি কমিটির সদস্য ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা শিক্ষকরাও একমত। প্রায় ৩৫ বছর ধরে আমাদের কোনো স্বতন্ত্র কাউন্সিল নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি অস্থায়ী কমিটি আমাদের নিবন্ধন দিচ্ছে। এতে চিকিৎসকদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঝুঁকি থাকে, যেহেতু তাদের নিবন্ধন ও পেশাগত স্বীকৃতির বিষয়টি এখনও অস্থায়ী ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
১৯৮৯ সালে ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ। উপমহাদেশের প্রাচীন চিকিৎসাবিদ্যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদের আধুনিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এই কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধিভুক্ত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত। এখানে ৫ বছর মেয়াদি বিএএমএস ও বিইউএমএস কোর্স এবং এক বছর ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, স্বতন্ত্র কাউন্সিল না থাকায় তারা চিকিৎসা পেশায় পূর্ণ স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, যা তাদের ক্যারিয়ার এবং পেশাগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
---