সারা বছর অনলাইনে শ্রেণিপাঠ দেয়ার জন্য একটি ‘টেলিভিশন চ্যানেল’ চালুর চিন্তার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, সারা বছরই যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর গতবছর মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েক দফা চেষ্টা করেও আর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু করা যায়নি। এর মধ্যে গতবছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিতে না পেরে এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল দিতে হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই স্কুলের শিক্ষার্থীদের তুলে দেয়া হয়েছে পরের ক্লাসে। সংসদ টিভি ও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা হলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো কথা কেউ বলতে পারেননি। সারাদেশে সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে আনাও সম্ভব হয়নি, কারণ এক্ষেত্রে আর্থিক ও কারিগরি সামর্থ্যরে বিষয়টি জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পর সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের পর হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে একটি গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম ফেরদৌসী ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। যেসব জেলায় একটিও বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সরকারি দলের শহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৪৯৯ স্কুলের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং ৪ হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টি কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
সারা বছর অনলাইনে শ্রেণিপাঠ দেয়ার জন্য একটি ‘টেলিভিশন চ্যানেল’ চালুর চিন্তার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, সারা বছরই যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর গতবছর মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েক দফা চেষ্টা করেও আর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু করা যায়নি। এর মধ্যে গতবছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিতে না পেরে এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল দিতে হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই স্কুলের শিক্ষার্থীদের তুলে দেয়া হয়েছে পরের ক্লাসে। সংসদ টিভি ও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা হলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো কথা কেউ বলতে পারেননি। সারাদেশে সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে আনাও সম্ভব হয়নি, কারণ এক্ষেত্রে আর্থিক ও কারিগরি সামর্থ্যরে বিষয়টি জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পর সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের পর হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে একটি গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম ফেরদৌসী ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। যেসব জেলায় একটিও বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সরকারি দলের শহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৪৯৯ স্কুলের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং ৪ হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টি কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া হচ্ছে।