সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা আর শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে সিলেটের বিয়ানীবাজারে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশের মধ্যে রোল মডেল এখন বিয়ানীবাজার উপজেলা। এখানে নারী শিক্ষায় গত দশ বছরে নীরব বিপ্লব ঘটেছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। এক্ষেত্রে মেয়েদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির হার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছেলেদের তুলনায় কম। তবে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের এই হারে পরিবর্তন দেখা গেলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এই হার উর্দ্ধমুখি।
৮০’র দশকে বিয়ানীবাজার কলেজে প্রথম উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ভর্তি হন কৃষ্ঞাপ্রিয়া চৌধুরানী। এখন এখানকার নারীরা শিক্ষায় যতেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারের প্রায় ২শ’ ছাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। তাদের জন্য প্রয়োজন বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। উপজেলায় নারী শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি হলেও কর্মক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে আছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সাধারণ ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি না পাওয়ার হতাশা অনৈককে গ্রাস করছে। আফরোজা বেগম নামের এক শিক্ষিকা জানান, অনার্স সম্পন্ন করেও তিনি শিক্ষকতা ছাড়া অন্যক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেননি। তারমতে, বিয়ানীবাজারের নারীরা শিক্ষাগ্রহণ করলেও উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি চাকুরীতে প্রবেশের আগেই সংসারে মনোযোগী হতে হয়। এক্ষেত্রে পরিবারের সিদ্ধান্তকেও গুরুত্ব দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারের কোন নারীই শিক্ষা গ্রহণ করে উচ্চপর্যায়ের চাকুরীতে নেই। ডাক্তার আর শিক্ষক পেশাই বেছে নিচ্ছেন তারা। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ খুব কমই পাচ্ছেন নারীরা। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বেশ পিছিয়ে তারা।
জানা যায়, প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশই নারী। এর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রায় শতভাগ ছাত্রী অংশ নিচ্ছে। এই দুই স্তরে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সমতা সমান। উচ্চশিক্ষায়ও বিয়ানীবাজারের মেয়েদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজারের প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলী আহমদ জানান, শিক্ষাগ্রহণ করছে ঠিকই, তবে জড়তা পিছু ছাড়ছেনা বিয়ানীবাজারের অভিভাকদের। এজন্য মেয়েরা সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌছতে পারছেনা।
একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম জানান, শিক্ষকতা-চিকিৎসা পেশা ছাড়া অন্য পেশায় যেতে কেমন যেন সাহস করতে পারছেনা বিয়ানীবাজারের নারীরা। এখানকার নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করলে তারা আরো এগিয়ে যেত।
সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা আর শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে সিলেটের বিয়ানীবাজারে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশের মধ্যে রোল মডেল এখন বিয়ানীবাজার উপজেলা। এখানে নারী শিক্ষায় গত দশ বছরে নীরব বিপ্লব ঘটেছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। এক্ষেত্রে মেয়েদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির হার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছেলেদের তুলনায় কম। তবে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের এই হারে পরিবর্তন দেখা গেলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এই হার উর্দ্ধমুখি।
৮০’র দশকে বিয়ানীবাজার কলেজে প্রথম উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ভর্তি হন কৃষ্ঞাপ্রিয়া চৌধুরানী। এখন এখানকার নারীরা শিক্ষায় যতেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারের প্রায় ২শ’ ছাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। তাদের জন্য প্রয়োজন বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। উপজেলায় নারী শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি হলেও কর্মক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে আছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সাধারণ ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি না পাওয়ার হতাশা অনৈককে গ্রাস করছে। আফরোজা বেগম নামের এক শিক্ষিকা জানান, অনার্স সম্পন্ন করেও তিনি শিক্ষকতা ছাড়া অন্যক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেননি। তারমতে, বিয়ানীবাজারের নারীরা শিক্ষাগ্রহণ করলেও উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি চাকুরীতে প্রবেশের আগেই সংসারে মনোযোগী হতে হয়। এক্ষেত্রে পরিবারের সিদ্ধান্তকেও গুরুত্ব দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারের কোন নারীই শিক্ষা গ্রহণ করে উচ্চপর্যায়ের চাকুরীতে নেই। ডাক্তার আর শিক্ষক পেশাই বেছে নিচ্ছেন তারা। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ খুব কমই পাচ্ছেন নারীরা। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বেশ পিছিয়ে তারা।
জানা যায়, প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশই নারী। এর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রায় শতভাগ ছাত্রী অংশ নিচ্ছে। এই দুই স্তরে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সমতা সমান। উচ্চশিক্ষায়ও বিয়ানীবাজারের মেয়েদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজারের প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলী আহমদ জানান, শিক্ষাগ্রহণ করছে ঠিকই, তবে জড়তা পিছু ছাড়ছেনা বিয়ানীবাজারের অভিভাকদের। এজন্য মেয়েরা সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌছতে পারছেনা।
একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম জানান, শিক্ষকতা-চিকিৎসা পেশা ছাড়া অন্য পেশায় যেতে কেমন যেন সাহস করতে পারছেনা বিয়ানীবাজারের নারীরা। এখানকার নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করলে তারা আরো এগিয়ে যেত।