শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতে পার্থক্য ব্যাপক
মাধবপুর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে সমন্বয়হীতার কারনে কম শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে বেশী শিক্ষক আবার বেশী শিক্ষার্থীর বিপরীতে অনেক বিদ্যালয়ে কম শিক্ষক রয়েছে । এর ফলে বেশী শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।বছরের পর বছর ধরে এমন অবস্থা চলছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন।মাধবপুর উপজেলার ২নং চৌমুহনী ইউনিয়নের অলিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪৯ জন।এ বিদ্যালয় শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন।অপরদিকে শিমুলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক। ছাতিয়াইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন।আবার কমলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন।
অন্যদিকে ছাতিয়াইন এসএম কায়সার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন ৫ জন শিক্ষক।শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলার অন্তত ৪৫ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছেন।অন্যসব বিদ্যালয়েও সঠিক অনুপাতে শিক্ষক নেই।কোথাও কম আবার কোথাও বেশী শিক্ষক রয়েছেন।
এর ফলে যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশী কিন্তু শিক্ষক কম সেসব বিদ্যালয়ে কর্মরত স্বল্প সংখ্যক শিক্ষকদের উপর পাঠদানের বাড়তি চাপ তৈরী হচ্ছে।পক্ষান্তরে কম শিক্ষার্থী সম্পন্ন বিদ্যালয়ে থাকা বাড়তি শিক্ষকেরা রিলাক্সে থাকতে পারছেন।এর ফলে বৈষম্যমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে এবং শিক্ষকদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরী হচ্ছে জানিয়ে কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন,শিক্ষা অফিসে উপজেলার সবকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর আপডেটেড তথ্য রয়েছে।সেই আলোকে শিক্ষক পদায়ন করা হলেই এমন বৈষম দূর হওয়া সম্ভব।
তবে রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাবের কারনে বহু শিক্ষক বছরের পর বছর এমনকি যুগের পর যুগ ধরে একই কর্মস্থলে চাকুরী জীবন পার করে দিচ্ছেন বলেও তারা জানিয়েছেন। মাধবপুর উপজেলায় মোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৯ জন প্রধান শিক্ষক ও ৮১১ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যার বৈষম্যের কারন কি জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা অফিস কাজ করছে।শীঘ্রই এর সুফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতে পার্থক্য ব্যাপক
বুধবার, ২৫ মে ২০২২
মাধবপুর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে সমন্বয়হীতার কারনে কম শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে বেশী শিক্ষক আবার বেশী শিক্ষার্থীর বিপরীতে অনেক বিদ্যালয়ে কম শিক্ষক রয়েছে । এর ফলে বেশী শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।বছরের পর বছর ধরে এমন অবস্থা চলছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন।মাধবপুর উপজেলার ২নং চৌমুহনী ইউনিয়নের অলিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪৯ জন।এ বিদ্যালয় শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন।অপরদিকে শিমুলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক। ছাতিয়াইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন।আবার কমলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন।
অন্যদিকে ছাতিয়াইন এসএম কায়সার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন ৫ জন শিক্ষক।শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলার অন্তত ৪৫ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছেন।অন্যসব বিদ্যালয়েও সঠিক অনুপাতে শিক্ষক নেই।কোথাও কম আবার কোথাও বেশী শিক্ষক রয়েছেন।
এর ফলে যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশী কিন্তু শিক্ষক কম সেসব বিদ্যালয়ে কর্মরত স্বল্প সংখ্যক শিক্ষকদের উপর পাঠদানের বাড়তি চাপ তৈরী হচ্ছে।পক্ষান্তরে কম শিক্ষার্থী সম্পন্ন বিদ্যালয়ে থাকা বাড়তি শিক্ষকেরা রিলাক্সে থাকতে পারছেন।এর ফলে বৈষম্যমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে এবং শিক্ষকদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরী হচ্ছে জানিয়ে কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন,শিক্ষা অফিসে উপজেলার সবকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর আপডেটেড তথ্য রয়েছে।সেই আলোকে শিক্ষক পদায়ন করা হলেই এমন বৈষম দূর হওয়া সম্ভব।
তবে রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাবের কারনে বহু শিক্ষক বছরের পর বছর এমনকি যুগের পর যুগ ধরে একই কর্মস্থলে চাকুরী জীবন পার করে দিচ্ছেন বলেও তারা জানিয়েছেন। মাধবপুর উপজেলায় মোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৯ জন প্রধান শিক্ষক ও ৮১১ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যার বৈষম্যের কারন কি জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা অফিস কাজ করছে।শীঘ্রই এর সুফল পাওয়া যাবে।