করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা
কোভিড মহামারীতে টানা প্রায় দুই বছর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ ছিল। এই সময়ে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। করোনাকালীন দুই লাখের বেশি অনলাইন ক্লাস হয়েছে বলে সরকারের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। অনলাইন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও মহামারীতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কমেছে।
এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় ফেরাতে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ১০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠদানের সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলেন, নামমাত্র অনলাইন শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করছেন নীতির্ধিারকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’র তৃতীয় সভার (গত ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত) কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের সহায়ক হিসেবে ইতোমধ্যে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ১৩ হাজারের বেশি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচ লাখ ২০ হাজারের বেশি ডিজিটাল কন্টেন্ট উন্নয়ন, পাঁচ লাখ ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষক বাতায়নে নিবন্ধন, ৩৩ হাজারের বেশি কিশোর বাতায়নে নিবন্ধন এবং মুক্তপাঠের মাধ্যমে ১৮ লাখ প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষা গ্রহণ করেছে বলে কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডকালীন চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে অংশগ্রহণ করেছে। এই সময়ে দুই হাজার চারশ’র বেশি টেশিভিশন ক্লাস সম্প্রচার, এক হাজার দুইশ’র বেশি রেডিও ক্লাস প্রচার, দুই লাখের অধিক অনলাইন ক্লাস এবং ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষককে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য-সচিব ও ‘জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি’র (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের কয়জন শিক্ষার্থী আইসিটি বুঝে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও অনলাইন শিক্ষার সুবিধা খুব বেশি পায়নি। ইন্টারনেট সুবিধাও সীমিত ব্যয়বহুল, অনলাইন ক্লাস হয়েছে নামমাত্র। এসব কারণে ড্রপ আউট (ঝরে পড়া) বেড়েছে।’
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো ও মহামারীর ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পথ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় ছুটি বাতিল, শিক্ষকদের ইনসেনটিভ দিয়ে বিদ্যালয়ে বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা করা, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ দেয়া এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠদানের সুযোগ দেয়া উচিত।’ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে টানা প্রায় দুই বছর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এই সময়ে ভার্চুয়ালি বা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখে সরকার। কিন্তু ঝরে পড়া রোধ করা যায়নি।
করোনাকালীন শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন সংবাদকে বলেন, ‘মেয়েদের বাল্যবিয়ে বেড়েছে; যুব-কিশোরদের অবৈধ পথে বিদেশে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে; কওমি মাদ্রাসায় বিনা খরচ হওয়ায় ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে এবং সব উপবৃত্তি প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে চলে যাওয়ায় উপবৃত্তি প্রদান বিলম্বিত হওয়া।’
কোভিড মহামারী শুরুর আগে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২০১৯ সালে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের মোট চার কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছিল।
আর আগামী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার কোটি ১৭ লাখের মতো। মাউশি, শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর আগে প্রতিবছর গড়ে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেত। কিন্তু মহামারীতে শিক্ষার্থী বাড়েনি বরং কমেছে।
প্রফেসর ইকরামুল কবির বলেন, ‘করোনা মহামারীর প্রভাবে দেশের প্রায় সব বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে। এই শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যায়নি; এদের খুঁজে বের করে শিক্ষায় ফেরাতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায় রয়েছে। তারা একটু ছাড় দিলে... বিনামূল্যে কিছু শিক্ষার্থীকে পাঠদানের সুযোগ দিলে ঝরে পড়া ঠেকানো যাবে।’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দেশে ‘৫জি’ বা উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ১৩ কোটির বেশি। গত ছয় বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ১২শ’ গুণ বেড়েছে।
এ বিষয়ে ইকরামুল কবির বলেন, ‘ইন্টারনেটের পরিধি বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের কয়জন শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্টফোন সেট আছে? দরিদ্র, নি¤œবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কী এই স্মার্ট ফোন কেনার সক্ষমতা আছে? আবার সব এলাকায় ইন্টারনেটের গতিও খুব বেশি থাকে না। এসব বিষয়ে সরকারের নজর দেয়ার সময় এসেছে।’
করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা
বুধবার, ২৫ মে ২০২২
কোভিড মহামারীতে টানা প্রায় দুই বছর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ ছিল। এই সময়ে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। করোনাকালীন দুই লাখের বেশি অনলাইন ক্লাস হয়েছে বলে সরকারের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। অনলাইন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও মহামারীতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কমেছে।
এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় ফেরাতে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ১০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠদানের সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলেন, নামমাত্র অনলাইন শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করছেন নীতির্ধিারকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’র তৃতীয় সভার (গত ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত) কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের সহায়ক হিসেবে ইতোমধ্যে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ১৩ হাজারের বেশি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচ লাখ ২০ হাজারের বেশি ডিজিটাল কন্টেন্ট উন্নয়ন, পাঁচ লাখ ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষক বাতায়নে নিবন্ধন, ৩৩ হাজারের বেশি কিশোর বাতায়নে নিবন্ধন এবং মুক্তপাঠের মাধ্যমে ১৮ লাখ প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষা গ্রহণ করেছে বলে কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডকালীন চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে অংশগ্রহণ করেছে। এই সময়ে দুই হাজার চারশ’র বেশি টেশিভিশন ক্লাস সম্প্রচার, এক হাজার দুইশ’র বেশি রেডিও ক্লাস প্রচার, দুই লাখের অধিক অনলাইন ক্লাস এবং ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষককে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য-সচিব ও ‘জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি’র (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের কয়জন শিক্ষার্থী আইসিটি বুঝে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও অনলাইন শিক্ষার সুবিধা খুব বেশি পায়নি। ইন্টারনেট সুবিধাও সীমিত ব্যয়বহুল, অনলাইন ক্লাস হয়েছে নামমাত্র। এসব কারণে ড্রপ আউট (ঝরে পড়া) বেড়েছে।’
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো ও মহামারীর ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পথ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় ছুটি বাতিল, শিক্ষকদের ইনসেনটিভ দিয়ে বিদ্যালয়ে বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা করা, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ দেয়া এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠদানের সুযোগ দেয়া উচিত।’ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে টানা প্রায় দুই বছর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এই সময়ে ভার্চুয়ালি বা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখে সরকার। কিন্তু ঝরে পড়া রোধ করা যায়নি।
করোনাকালীন শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন সংবাদকে বলেন, ‘মেয়েদের বাল্যবিয়ে বেড়েছে; যুব-কিশোরদের অবৈধ পথে বিদেশে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে; কওমি মাদ্রাসায় বিনা খরচ হওয়ায় ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে এবং সব উপবৃত্তি প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে চলে যাওয়ায় উপবৃত্তি প্রদান বিলম্বিত হওয়া।’
কোভিড মহামারী শুরুর আগে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২০১৯ সালে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের মোট চার কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছিল।
আর আগামী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার কোটি ১৭ লাখের মতো। মাউশি, শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর আগে প্রতিবছর গড়ে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেত। কিন্তু মহামারীতে শিক্ষার্থী বাড়েনি বরং কমেছে।
প্রফেসর ইকরামুল কবির বলেন, ‘করোনা মহামারীর প্রভাবে দেশের প্রায় সব বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে। এই শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যায়নি; এদের খুঁজে বের করে শিক্ষায় ফেরাতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায় রয়েছে। তারা একটু ছাড় দিলে... বিনামূল্যে কিছু শিক্ষার্থীকে পাঠদানের সুযোগ দিলে ঝরে পড়া ঠেকানো যাবে।’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দেশে ‘৫জি’ বা উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ১৩ কোটির বেশি। গত ছয় বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ১২শ’ গুণ বেড়েছে।
এ বিষয়ে ইকরামুল কবির বলেন, ‘ইন্টারনেটের পরিধি বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের কয়জন শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্টফোন সেট আছে? দরিদ্র, নি¤œবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কী এই স্মার্ট ফোন কেনার সক্ষমতা আছে? আবার সব এলাকায় ইন্টারনেটের গতিও খুব বেশি থাকে না। এসব বিষয়ে সরকারের নজর দেয়ার সময় এসেছে।’