চলতি সপ্তাহেই নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের নিয়োগপত্র দিচ্ছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। এই পর্যায়ে ৬৩৭ জন কর্মচারী নিয়োগপত্র পাবে। প্রায় তিন মাস ঝুলে থাকার পর গত ৩১ আগস্ট প্রথম ধাপে তৃতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সংস্থাটি।
একই সঙ্গে ইইডির নির্বাহী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীসহ অন্য স্তরে শূন্যপদে পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে প্রকৌশলীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের নিস্পত্তির অবসান হতে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই ইইডির চতুর্থ শ্রেণী পদে কর্মচারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। এরপর এক-দেড় মাসের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রমও শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিয়োগ কমিটির সদস্য-সচিব ও ইইডির উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আসাদুজ্জামান।
নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) রাহেদ হোসেন জানিয়েছেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন বিতর্ক হয়নি। প্রধান প্রকৌশলী (শাহ নঈমুল কাদের) সার্বিক নিয়োগ কার্যক্রম তদারকি করছেন। তিনি প্রকৌশলীদের পদোন্নতি, মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ইইডিতে এক হাজার ৪৫৬ জন কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম দীর্ঘদিন আটকে ছিল। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্দেশে নিয়োগ কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
গত বছর মোট ছয় ধাপে ইইডির শূন্য পদে নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হয়। গত ২৪ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। কিছু পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়ে এর ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ বিভিন্ন পদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। এখন শুধু ৪র্থ শ্রেণীর অর্থাৎ অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষা বাকি রয়েছে।
১৩ বছরে ১৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইইডি ২৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৮ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৮ হাজার ৩৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করেছে। এসব ভবনে এক লাখ আট হাজার ৭০৯টি শ্রেণীকক্ষে ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর আধুনিক ও উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে দেশব্যাপী গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহ নঈমুল কাদের জানিয়েছেন।
১৩ বছরে ১৫ হাজার ১৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট দুই হাজার ২৩০ কোটি টাকার মেরামত ও সংস্কার কাজ এবং চার হাজার ৪৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪৮ কোটি টাকার আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী শাহ নঈমুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ এবং এসডিজির অভীষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশব্যাপী টেকসই, আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ করছি। যাতে শিক্ষার্থীরা একটি উন্নত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’
নতুন শিক্ষা অবকাঠামোসমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ এবং নিরাপত্তার জন্য এ সময়ের আলোচিত বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘ভবনসমূহে প্রশস্ত সিঁড়ি, বারান্দা ও পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য গুলগুলি রাখা হয়েছে। বর্তমানে সব দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে সম্পাদিত চ্ছে। এর ফলে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে। দরপত্র কার্যক্রম অধিকতর প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক ঠিকাদারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যা দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
চলতি সপ্তাহেই নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের নিয়োগপত্র দিচ্ছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। এই পর্যায়ে ৬৩৭ জন কর্মচারী নিয়োগপত্র পাবে। প্রায় তিন মাস ঝুলে থাকার পর গত ৩১ আগস্ট প্রথম ধাপে তৃতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সংস্থাটি।
একই সঙ্গে ইইডির নির্বাহী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীসহ অন্য স্তরে শূন্যপদে পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে প্রকৌশলীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের নিস্পত্তির অবসান হতে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই ইইডির চতুর্থ শ্রেণী পদে কর্মচারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। এরপর এক-দেড় মাসের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রমও শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিয়োগ কমিটির সদস্য-সচিব ও ইইডির উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আসাদুজ্জামান।
নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) রাহেদ হোসেন জানিয়েছেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন বিতর্ক হয়নি। প্রধান প্রকৌশলী (শাহ নঈমুল কাদের) সার্বিক নিয়োগ কার্যক্রম তদারকি করছেন। তিনি প্রকৌশলীদের পদোন্নতি, মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ইইডিতে এক হাজার ৪৫৬ জন কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম দীর্ঘদিন আটকে ছিল। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্দেশে নিয়োগ কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
গত বছর মোট ছয় ধাপে ইইডির শূন্য পদে নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হয়। গত ২৪ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। কিছু পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়ে এর ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ বিভিন্ন পদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। এখন শুধু ৪র্থ শ্রেণীর অর্থাৎ অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষা বাকি রয়েছে।
১৩ বছরে ১৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইইডি ২৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৮ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৮ হাজার ৩৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করেছে। এসব ভবনে এক লাখ আট হাজার ৭০৯টি শ্রেণীকক্ষে ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর আধুনিক ও উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে দেশব্যাপী গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহ নঈমুল কাদের জানিয়েছেন।
১৩ বছরে ১৫ হাজার ১৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট দুই হাজার ২৩০ কোটি টাকার মেরামত ও সংস্কার কাজ এবং চার হাজার ৪৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪৮ কোটি টাকার আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী শাহ নঈমুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ এবং এসডিজির অভীষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশব্যাপী টেকসই, আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ করছি। যাতে শিক্ষার্থীরা একটি উন্নত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’
নতুন শিক্ষা অবকাঠামোসমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ এবং নিরাপত্তার জন্য এ সময়ের আলোচিত বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘ভবনসমূহে প্রশস্ত সিঁড়ি, বারান্দা ও পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য গুলগুলি রাখা হয়েছে। বর্তমানে সব দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে সম্পাদিত চ্ছে। এর ফলে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে। দরপত্র কার্যক্রম অধিকতর প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক ঠিকাদারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যা দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’