alt

শিক্ষা

একাদশে ভর্তি : ২০৪টি কলেজ কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না

চার কলেজে কোন আবেদনই করা হয়নি

রাকিব উদ্দিন : বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

সারাদেশের ২০৪টি কলেজ ও মাদ্রাসায় এবার একাদশ ও আলিম শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করলেও তারা ভর্তির ‘নিশ্চায়ন’ করেনি। এর মধ্যে চারটি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি।

এছাড়া প্রায় পাঁচশ’ কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ‘আকর্ষণ’ হারানো এসব কলেজের এখন টিকে থাকতেই ‘চ্যালেঞ্জের’ সুম্মখীন হবে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বুধবার (১১ জানুয়ারি) সংবাদকে বলেন, ‘বুয়েট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ২০০টি কলেজ ও মাদ্রাসায় ন্যূনতম একজন শিক্ষার্থীও ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি। এর সবকটি কলেজই বোর্ডের অনুমোদিত। আরও অসংখ্য কলেজ ও মাদ্রাসায় একজন-দু’জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ ডিসেম্বর একাদশ শ্রেণী ও সমস্তরে অনলাইনে প্রথম পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের শেষ সময় ছিল। ওই সময়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে মোট ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এ হিসাবে এবার এমনিতেই কম উত্তীর্ণ হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম পর্যায়ে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেনি। এবার সারাদেশের কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণীতে মোট ভর্তিযোগ্য আসনের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।

সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমস্তরের মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়। এর মধ্যে দুইশ’ প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করলেও তারা ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি।

আজ দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের ফল প্রকাশ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন করে দুই লাখ ৮২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপরও গত বছর এসএসসি ও সমস্তরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করেনি।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আবেদন ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নেয়া হয়। এ ধাপের ফল ১২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হচ্ছে। নিশ্চয়ন চলবে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি।

এরপর তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধাপের নিশ্চায়ন করা যাবে ১৯ থেকে ২০ জানয়ারি পর্যন্ত। যারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি।

যেসব কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি সেসব প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। রাজনৈতিক এবং স্থানীয় ও বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণেই ওইসব প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুমতি পেয়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ওইসব কলেজ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘একাদশ শ্রেণীতে পাঠদানের অনুমোদন পেতে প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ৫০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হয়। কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে পাঠদানের অনুমতি বাতিল হতে পারে।’ ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান হয়। এরমধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিষয় আবশ্যিক। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে অন্তত তিনটি আবশ্যিক বিষয় নিতে হয়।

এ হিসাবে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও অধ্যক্ষসহ একটি কলেজে ১২ জন শিক্ষক থাকে। এছাড়া কর্মচারী, লাইব্রেরিয়ান, পিয়নসহ সব মিলিয়ে অন্তত ২০ জন জনবল থাকে। যেসব কলেজে কেউ ভর্তি হতে আবেদনই করেনি সেগুলো কীভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা দেবে, টিকে থাকার ব্যয় নির্বাহ করবে সেটি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ভর্তির আবেদন না হওয়া কলেজের বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘কলেজগুলো যদি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে মাউশি সেগুলোর এমপিও স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। এমপিওভুক্তি না হলে শিক্ষা বোর্ড যেসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি বাতিল করতে পারে।’

মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই এক ডজনের মতো কলেজ কোন শিক্ষার্থী পায়নি। আরও অর্ধশত কলেজে ন্যূনতম দুইজন থেকে পঞ্চাশ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।

সাধারণত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভরশীল। তবে এমপিওভুক্ত কলেজগুলো সরকার থেকে পুরোপুরি বেতন-ভাতা পায়।

ছবি

শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণে ‘দুর্নীতি’ স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত হচ্ছে

ছবি

সব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছতে, থাকছে জবি-ইবিও

ছবি

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মে

ছবি

গুচ্ছে যাচ্ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষাবর্ষের চার মাস, দুই বই সংশোধনের জটিলতা কাটছে না

শ্রমিকের ছেলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা

ছবি

করোনা মহামারি: প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে মাত্র এক জন লাইভ ক্লাসে অংশ নেয়

ছবি

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

ছবি

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালিত

ছবি

ইবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ, মাইকে প্রচার

ছবি

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা নয়

ছবি

আগুন জ্বালিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, রেল কর্তৃপক্ষের মামলা

দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা-উপশাখা খোলার উদ্যোগ, দেশীয় উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ

ছবি

ঢাবির সঙ্গে যৌথ কাজ করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন ইউনিভার্সিটি

ছবি

ফাতেমা ইকবাল ট্রাস্ট ও প্রভোস্ট বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৩২ ছাত্রী

ছবি

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণের দাবীতে ফরিদপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ : ভর্তিতে সতর্কতা জারি বিএমডিসির

ছবি

বঙ্গবন্ধু মডেকিলে বশ্বিবদ্যিালয়ে চর্তুথ সমার্বতন কাল

ছবি

রাবির ভিসিকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর স্লোগান

ছবি

জাবির ছাত্রী হলে মধ্যরাতে হয়রানি, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

ছবি

দুপুরে প্রকাশ হবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল, জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ : রাবির প্রশাসন ভবনে তালা, বিক্ষোভ

খাতা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন ৩১৫ জন

ছবি

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটিতে সকালে পরীক্ষা,সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ

ছবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, লড়াইয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার

ছবি

পাঠ্যবইয়ের দরপত্রে পরিবর্তন আসছে

১৫ মার্চ শুরু হচ্ছে ‘ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩’

ছবি

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম

এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ণের আবেদন বেড়েছে ৬৫ শতাংশ

ছবি

প্রাথমিকের বৃত্তির সংশোধিত ফল প্রকাশ

ছবি

স্থগিতকৃত ‘প্রাথমিক বৃত্তি’র ফল আজ রাতেই

ছবি

প্রাথমিকের বৃত্তির সংশোধিত ফল প্রকাশ বিকেলে

ছবি

কোডিং ভুলে প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশের পর স্থগিত

ছবি

বিতর্কহীন থাকতে বই প্রত্যাহার করা হয়েছে

ছবি

প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রকাশ

tab

শিক্ষা

একাদশে ভর্তি : ২০৪টি কলেজ কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না

চার কলেজে কোন আবেদনই করা হয়নি

রাকিব উদ্দিন

বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

সারাদেশের ২০৪টি কলেজ ও মাদ্রাসায় এবার একাদশ ও আলিম শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করলেও তারা ভর্তির ‘নিশ্চায়ন’ করেনি। এর মধ্যে চারটি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি।

এছাড়া প্রায় পাঁচশ’ কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ‘আকর্ষণ’ হারানো এসব কলেজের এখন টিকে থাকতেই ‘চ্যালেঞ্জের’ সুম্মখীন হবে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বুধবার (১১ জানুয়ারি) সংবাদকে বলেন, ‘বুয়েট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ২০০টি কলেজ ও মাদ্রাসায় ন্যূনতম একজন শিক্ষার্থীও ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি। এর সবকটি কলেজই বোর্ডের অনুমোদিত। আরও অসংখ্য কলেজ ও মাদ্রাসায় একজন-দু’জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ ডিসেম্বর একাদশ শ্রেণী ও সমস্তরে অনলাইনে প্রথম পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের শেষ সময় ছিল। ওই সময়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে মোট ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এ হিসাবে এবার এমনিতেই কম উত্তীর্ণ হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম পর্যায়ে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেনি। এবার সারাদেশের কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণীতে মোট ভর্তিযোগ্য আসনের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।

সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমস্তরের মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়। এর মধ্যে দুইশ’ প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করলেও তারা ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি।

আজ দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের ফল প্রকাশ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন করে দুই লাখ ৮২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপরও গত বছর এসএসসি ও সমস্তরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করেনি।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আবেদন ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নেয়া হয়। এ ধাপের ফল ১২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হচ্ছে। নিশ্চয়ন চলবে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি।

এরপর তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধাপের নিশ্চায়ন করা যাবে ১৯ থেকে ২০ জানয়ারি পর্যন্ত। যারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি।

যেসব কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি সেসব প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। রাজনৈতিক এবং স্থানীয় ও বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণেই ওইসব প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুমতি পেয়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ওইসব কলেজ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘একাদশ শ্রেণীতে পাঠদানের অনুমোদন পেতে প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ৫০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হয়। কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে পাঠদানের অনুমতি বাতিল হতে পারে।’ ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান হয়। এরমধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিষয় আবশ্যিক। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে অন্তত তিনটি আবশ্যিক বিষয় নিতে হয়।

এ হিসাবে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও অধ্যক্ষসহ একটি কলেজে ১২ জন শিক্ষক থাকে। এছাড়া কর্মচারী, লাইব্রেরিয়ান, পিয়নসহ সব মিলিয়ে অন্তত ২০ জন জনবল থাকে। যেসব কলেজে কেউ ভর্তি হতে আবেদনই করেনি সেগুলো কীভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা দেবে, টিকে থাকার ব্যয় নির্বাহ করবে সেটি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ভর্তির আবেদন না হওয়া কলেজের বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘কলেজগুলো যদি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে মাউশি সেগুলোর এমপিও স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। এমপিওভুক্তি না হলে শিক্ষা বোর্ড যেসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি বাতিল করতে পারে।’

মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই এক ডজনের মতো কলেজ কোন শিক্ষার্থী পায়নি। আরও অর্ধশত কলেজে ন্যূনতম দুইজন থেকে পঞ্চাশ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।

সাধারণত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভরশীল। তবে এমপিওভুক্ত কলেজগুলো সরকার থেকে পুরোপুরি বেতন-ভাতা পায়।

back to top