alt

শিক্ষা

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত

প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় : : বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের বিরুদ্ধে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের একটি কোর্সের বিফোর ফাইনাল পরিক্ষায় ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কম’ নম্বর দেওয়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে পরিক্ষাটি পুনরায় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ওই ব্যাচের সাথে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর প্রত্নতত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ‘ট্যুরিজম এন্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট’ নামক একটি কোর্সের বিফোর ফাইনাল পরিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হলে ওই শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এবং রেজাল্ট শিট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

রেজাল্টশীট ঘেটে দেখা যায় ৪০ নম্বরের বিফোর ফাইনাল অর্থাৎ দ্বিতীয় মিড-টার্ম পরিক্ষায় দশ নম্বরের মধ্যে এক নম্বরের নিচে পেয়েছেন তিন জন। যাদের ২ জন পেয়েছেন ০.৬৭ ও একজন ০.৩৩। এছাড়াও দুই নম্বরের নিচে ১৩ জন, তিন নম্বরের নিচে ১৭ জন এবং চারের নিচে পেয়েছেন ৪ জন শিক্ষার্থী।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নূরুল করিমকে নিয়ে একটি সভা করা হয়। এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে এই কোর্স সম্পর্কিত দুই ‘বিশেষজ্ঞ’ শিক্ষক দিয়ে এই খাতা আবারও মূল্যায়ন করানো হয়।

জানা গেছে, খাতা পুনঃমূল্যায়নে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আবারও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলছে, আমাদের মাস্টার্স এর পরিক্ষা চলছে এরমধ্যে নতুন এই পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া ভোগান্তির। আমরা অনেক বেশী সেশনজটে আছি। তাই দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করুক এটাই চাচ্ছি আমরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আমাকে। আমাকে শুধু পরিক্ষা নেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

এই বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে আমাকে দুইটা চিঠি পাঠানো হয়েছে একটাতে বলা হয়েছে কোর্স শিক্ষককে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার জন্য অন্যটাতে বলা হয়েছে যে ওই ব্যাচের সাথে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার জন্য । তবে এই ব্যাপারে বিভাগ এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি একাডেমিক বৈঠকের মাধ্যমে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম বলেন, মাননীয় উপাচার্য স্যার, উপ-উপাচার্য স্যার, ট্রেজারার স্যার মিলে একটি মিটিং বসে সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তাকে আবারও পরিক্ষা নেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়ার হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং ভবিষ্যতে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।

৫০ শতাংশ লিখিত ও ৫০ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন

নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণীতে শরীফার গল্প থাকছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা প্রদানে নির্দেশ

তাপদাহের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস , মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব-শরীরেই চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি

গরমের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সকল কলেজের ক্লাস বন্ধ

ছবি

তৃতীয় দফায় তিনদিন শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনে ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তির আবেদনের ২য় মেধা তালিকা প্রকাশ

ছবি

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে অব্যাহতি

ছবি

এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু মঙ্গলবার, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

ছবি

স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন

ছবি

রাবি-চবির অধিভুক্ত হল ৯ সরকারি কলেজ

ছবি

১১ মের মধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

নতুন শিক্ষাক্রম : আগের ধাচেই শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ’র

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে ফি আদায় করলে ব্যবস্থা

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ

ছবি

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট

ছবি

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ

ছবি

তিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন ক্যাম্পাসে চলছে পাল্টাপাল্টি মহড়া

ছবি

৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত:এনবিআর

ছবি

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

কক্সবাজারে ওয়্যারলেস অডিও ডিভাইসসহ দুইজন আটক

ছবি

মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে, বেড়েছে মাদ্রাসায়

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ দিনের ছুটি শুরু

ছবি

শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত: শিক্ষামন্ত্রী নওফেল

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব এনসিটিবির

ছবি

ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা কার কোন কেন্দ্রে, তালিকা প্রকাশ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক ‘ট্রেড কোর্সের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই সংস্থার দ্বন্দ্ব

ছবি

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ২০০ বছর বয়সী ভবন ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য

ছবি

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে

সিমাগো র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

tab

শিক্ষা

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত

প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় :

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের বিরুদ্ধে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের একটি কোর্সের বিফোর ফাইনাল পরিক্ষায় ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কম’ নম্বর দেওয়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে পরিক্ষাটি পুনরায় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ওই ব্যাচের সাথে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর প্রত্নতত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ‘ট্যুরিজম এন্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট’ নামক একটি কোর্সের বিফোর ফাইনাল পরিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হলে ওই শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এবং রেজাল্ট শিট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

রেজাল্টশীট ঘেটে দেখা যায় ৪০ নম্বরের বিফোর ফাইনাল অর্থাৎ দ্বিতীয় মিড-টার্ম পরিক্ষায় দশ নম্বরের মধ্যে এক নম্বরের নিচে পেয়েছেন তিন জন। যাদের ২ জন পেয়েছেন ০.৬৭ ও একজন ০.৩৩। এছাড়াও দুই নম্বরের নিচে ১৩ জন, তিন নম্বরের নিচে ১৭ জন এবং চারের নিচে পেয়েছেন ৪ জন শিক্ষার্থী।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নূরুল করিমকে নিয়ে একটি সভা করা হয়। এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে এই কোর্স সম্পর্কিত দুই ‘বিশেষজ্ঞ’ শিক্ষক দিয়ে এই খাতা আবারও মূল্যায়ন করানো হয়।

জানা গেছে, খাতা পুনঃমূল্যায়নে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আবারও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলছে, আমাদের মাস্টার্স এর পরিক্ষা চলছে এরমধ্যে নতুন এই পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া ভোগান্তির। আমরা অনেক বেশী সেশনজটে আছি। তাই দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করুক এটাই চাচ্ছি আমরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আমাকে। আমাকে শুধু পরিক্ষা নেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

এই বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে আমাকে দুইটা চিঠি পাঠানো হয়েছে একটাতে বলা হয়েছে কোর্স শিক্ষককে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার জন্য অন্যটাতে বলা হয়েছে যে ওই ব্যাচের সাথে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার জন্য । তবে এই ব্যাপারে বিভাগ এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি একাডেমিক বৈঠকের মাধ্যমে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম বলেন, মাননীয় উপাচার্য স্যার, উপ-উপাচার্য স্যার, ট্রেজারার স্যার মিলে একটি মিটিং বসে সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তাকে আবারও পরিক্ষা নেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়ার হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং ভবিষ্যতে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।

back to top