জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা আর হবে না। অষ্টম শ্রেণীর এ দুই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমেও এই পরীক্ষা রাখা হয়নি। করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই গত তিন বছর এই পরীক্ষা হয়নি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন বলে সোমবার (১৬ জানুয়রি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে ২০২২, ২০২৩ এবং পরবর্তীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বলা হয়, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং তৎপরবর্তীতে জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপরিউক্ত প্রস্তাব সানুগ্রহ অনুমোদন করেছেন।’
এর আগে গত বছরের ৫ জুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হতে যাওয়ায় আগামীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই।
সরকার ২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। এরপর ২০১০ সালে পঞ্চম শ্রেণী সমমানের মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও চালু করা হয়।
একই বছরে (২০১০) প্রথমবারের মতো অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিকে শিক্ষাবিদরা এসব পরীক্ষাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই মূল্যায়ন করেছিলেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র করে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রায় শতভাগে পৌছে। কিন্তু পরবর্তীতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর এসব পরীক্ষায় ঢালাওভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলে পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
সাধারণত বছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এ কারণে গত তিন বছর এসব পরীক্ষা নেয়া হয়নি।
এদিকে জেএসসি-জেডিসির পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও গত তিন বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে এ পরীক্ষাও বাদ রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদায়ী বছরের শেষ দিকে আকস্মিকভাবে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশিষ্ট নাগরিকরা এ বৃত্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানালেও তা আমলে নেয়া হয়নি। এ পরীক্ষার কারণে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বইয়ের ব্যবসা ও কোচিং বাণিজ্য বাড়বে বলে শিক্ষাবিদদের আশঙ্কা।
২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণী এবং ২০২৫ পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে।
সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা আর হবে না। অষ্টম শ্রেণীর এ দুই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমেও এই পরীক্ষা রাখা হয়নি। করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই গত তিন বছর এই পরীক্ষা হয়নি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন বলে সোমবার (১৬ জানুয়রি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে ২০২২, ২০২৩ এবং পরবর্তীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বলা হয়, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং তৎপরবর্তীতে জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপরিউক্ত প্রস্তাব সানুগ্রহ অনুমোদন করেছেন।’
এর আগে গত বছরের ৫ জুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হতে যাওয়ায় আগামীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই।
সরকার ২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। এরপর ২০১০ সালে পঞ্চম শ্রেণী সমমানের মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও চালু করা হয়।
একই বছরে (২০১০) প্রথমবারের মতো অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিকে শিক্ষাবিদরা এসব পরীক্ষাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই মূল্যায়ন করেছিলেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র করে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রায় শতভাগে পৌছে। কিন্তু পরবর্তীতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর এসব পরীক্ষায় ঢালাওভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলে পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
সাধারণত বছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এ কারণে গত তিন বছর এসব পরীক্ষা নেয়া হয়নি।
এদিকে জেএসসি-জেডিসির পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও গত তিন বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে এ পরীক্ষাও বাদ রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদায়ী বছরের শেষ দিকে আকস্মিকভাবে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশিষ্ট নাগরিকরা এ বৃত্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানালেও তা আমলে নেয়া হয়নি। এ পরীক্ষার কারণে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বইয়ের ব্যবসা ও কোচিং বাণিজ্য বাড়বে বলে শিক্ষাবিদদের আশঙ্কা।
২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণী এবং ২০২৫ পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে।