alt

শিক্ষা

পাঠ্যবইয়ে হুবহু অনুবাদ: দায় স্বীকার করলেন জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশে হুবহু অনুবাদ করে তুলে দেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যতা স্বীকার করেছেন বইটি রচনা ও সম্পাদনায় যুক্ত থাকা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।

তাদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দু’জন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি।’

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে সবকটি পাঠ্যবই নতুন শিক্ষাক্রমে প্রকাশ করেছে সরকার। এসব বই ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের রচয়িতা হিসেবে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব ও রনি বসাকের নাম রয়েছে। সম্পাদক হিসেবেও নাম রয়েছে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের।

খ্যাতিমান লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন পদার্থবিদ। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষকতার পর অবসর গ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী ও জিনতত্ত্ববিদ হাসিনা খান। তার নেতৃত্বে দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের জিনোম সিক্যোয়েন্স আবিষ্কৃত হয়।

তাদের রচিত ও সম্পাদিত পাঠ্যবই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন লেখক দেখান যে, বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ে বিভিন্ন অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে এই অনুবাদে ব্যবহার হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট।

এ অভিযোগের ভিত্তিতেই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান যৌথ বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, হুবহু অনুবাদের অভিযোগ তুলে লেখা কলামটি তাদের নজরে এসেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই বইয়ের কোন কোন অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।’

তবে তারা বইয়ের ওই অংশটুকু রচনায় যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোন একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দু’জন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি।’

বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

তারা বলেন, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোন যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে বলে জানান মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান।

ছবি

৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশ পাচ্ছেন ৩১৬৪ জন

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর

ছবি

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘এসটিআই ৫.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৯-১০ ডিসেম্বর

পাঠ্যবই ছাপা : প্রাথমিকে শেষ পর্যায়ে, মাধ্যমিকে জটিলতা

রুয়েটে হবে দেশের প্রথম স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ইউজিসি

কেউ পাস করেনি পূর্বধলায় খলিশাপুর স্কুল এন্ড কলেজে

ছবি

তিন কর্মদিবসের মধ্যে হো চি মিনের ঘটনার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ইউজিসি

ছবি

নভেম্বরেই ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি‌ প্রকাশ

ছবি

জিপিএ-৫ কমে অর্ধেকে, পাসের হারে এবারও মেয়েরা এগিয়ে

সময়মতো নতুন পাঠ্যবই হাতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

ছবি

সখীপুর মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ছবি

এইচএসসির ফল রোববার, অপেক্ষায় সাড়ে ১৩ লাখ পরীক্ষার্থী

ছবি

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

স্থগিত হতে পারে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা

ছবি

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর

ছবি

মাধ্যমিকে ভর্তির লটারি ২৮ নভেম্বর

ছবি

২৬ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যেই এইচএসসির ফল

ছবি

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ল

ছবি

৪৫তম বিসিএসে বাংলার লিখিত পরীক্ষা ৩০০ নম্বরে

ছবি

আন্দোলনকারীদের দাবি বাস্তবায়নে কবির বিন আনোয়ারের আশ্বাস

ছবি

টানা অবরোধে সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম, সব পরীক্ষা স্থবির

ছবি

জাবির ইমেরিটাস অধ্যাপক নীতিমালা প্রত্যাহার

১৩৬ শিক্ষার্থীকে বই উপহার দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ায় বিপাকে অভিভাবকরা

ছবি

৭ দফা দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দিবে সকশিস

৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুটি বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই মুদ্রণ স্থগিত

ছবি

নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগ থাকছে না

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন পিছিয়ে ২৯ অক্টোবর

ছবি

সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি এবারও লটারিতে

ছবি

মূল্যায়ন শুরুর ৬ দিন আগে স্কুলে নির্দেশনা, ক্ষুব্ধ অভিভাবক-শিক্ষক

প্রথম থেকে নবম শ্রেণী, একবছরে শিক্ষার্থী কমেছে ২৮ লাখ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না পেরে শহীদ মিনারে ক্লাস নিলেন শিক্ষক

ছবি

বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু ২৪ অক্টোবর

ছবি

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর

ছবি

শিক্ষার্থীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দেওয়া শুরু

tab

শিক্ষা

পাঠ্যবইয়ে হুবহু অনুবাদ: দায় স্বীকার করলেন জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশে হুবহু অনুবাদ করে তুলে দেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যতা স্বীকার করেছেন বইটি রচনা ও সম্পাদনায় যুক্ত থাকা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।

তাদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দু’জন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি।’

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে সবকটি পাঠ্যবই নতুন শিক্ষাক্রমে প্রকাশ করেছে সরকার। এসব বই ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের রচয়িতা হিসেবে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব ও রনি বসাকের নাম রয়েছে। সম্পাদক হিসেবেও নাম রয়েছে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের।

খ্যাতিমান লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন পদার্থবিদ। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষকতার পর অবসর গ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী ও জিনতত্ত্ববিদ হাসিনা খান। তার নেতৃত্বে দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের জিনোম সিক্যোয়েন্স আবিষ্কৃত হয়।

তাদের রচিত ও সম্পাদিত পাঠ্যবই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন লেখক দেখান যে, বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ে বিভিন্ন অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে এই অনুবাদে ব্যবহার হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট।

এ অভিযোগের ভিত্তিতেই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান যৌথ বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, হুবহু অনুবাদের অভিযোগ তুলে লেখা কলামটি তাদের নজরে এসেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই বইয়ের কোন কোন অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।’

তবে তারা বইয়ের ওই অংশটুকু রচনায় যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোন একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দু’জন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি।’

বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

তারা বলেন, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোন যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে বলে জানান মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান।

back to top