alt

শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ণের আবেদন বেড়েছে ৬৫ শতাংশ

রাকিব উদ্দিন : শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩

এক বছরে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে শুধুমাত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেই ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের মোট বিষয়ের সংখ্যাই এক লাখ পাঁচ হাজারের মতো। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর খাতা পুনর্মূল্যায়নে রীতিমতো চাপের মুখে রয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর কর্মকর্তারা। গত কিছুদিন ধরে শিক্ষা বোর্ডে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা খাতা পুনর্মূল্যায়নের কাজ চলছে।

২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৯৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে দুই লাখ ৪৩ হাজার ২২১ জন উর্ত্তীণ হয়েছে।

কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ্ট হয়ে খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ৩১ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছে। এসব শিক্ষার্থী মোট এক লাখ চার হাজার ৬৬৫টি ‘স্ক্রিপ্ট’ বা বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০২১ সালের এই পরীক্ষায় ২০ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিল। তারা প্রায় ৫০ হাজার ‘স্ক্রিপ্ট’ বা বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিল। এ হিসেবে এক বছরে এইচএসসিতে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর ঢাকা বোর্ড থেকে দুই লাখ ৯৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

এবার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার সংবাদকে বলেন, ‘এটি রুটিন ওর্য়াক। তবে এবার আবেদন একটু বেশি পরলেও কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমরা অভিজ্ঞ পরীক্ষকদের নিয়ে এসে বোর্ডেই খাতা রিস্ক্রুটিনির (পুনর্মূল্যায়ন) কাজ করছি।’

১০ মার্চ রিস্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোন উত্তরপত্রের নম্বর গণনার বাদ পড়েছে কি-না, কোন উত্তরপত্র বা খাতা আনমার্কড (নম্বরবিহীন) রয়েছে কি-না, অন্য ভুল হয়েছে কি-না তা দেখা হয়। তবে কোন পরীক্ষক যদি কোন একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য সাত বা আট নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’

অধ্যাপক আবুল বাশার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘মনে করেন পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৯ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো;...এ ধরণের ভুল সংশোধন করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনভাবে যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১০-১১ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে। এর আগে ন্যূনতম তিনমাসে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতো।

প্রতিবার নিয়মিত হারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। এ কারণে খাতা মূল্যায়নের জন্য শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত পরীক্ষকদের (বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক) ওপরও চাপ পড়ে।

আবার সাধারণ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের খাতা মূল্যায়নের জন্য ‘অভিজ্ঞ’ শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনের জন্য একজন পরীক্ষককে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’টি খাতাও দেয়া হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে একজন পরীক্ষককে ‘আটশ’ থেকে এক হাজার’ খাতাটি দেয়া হয় বলেও জানা গেছে।

অন্য বিষয়ের খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষক স্বল্পতা না থাকায় জনপ্রতি দুই থেকে তিনশ’টি খাতা দেয়া হয়। তবে খাতার সংখ্যা যাই হোক না কেন তা মূল্যায়নের জন্য সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পরীক্ষক সংবাদকে জানিয়েছেন। আর খাতা প্রতি ৩৫ টাকা করে শিক্ষকদের সম্মানী দেয়া হয় শিক্ষা বোর্ড থেকে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম সংবাদকে বলেন, ‘দুটি কারণে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন একটু বেশি হয়। প্রথমত, এক সময় ম্যানুয়ালি আবেদন করতে হতো, বেশ কয়েক বছর ধরে এটি উন্মুক্ত ও ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। এ কারণে এখন ঘরে বসে অনলাইনেই আবেদন করা যাচ্ছে।’

‘দ্বিতীয়ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের স্বল্পতার’ কারণে ‘রিস্ক্রুটি’র আবেদন বেশি হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে পেশাদারিত্বের মানসিকতার খুব একটা উন্নতি ঘটছে না। খাতা মূল্যায়নে অনেকেই উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনা দেখায়। এ কারণেও মূল্যায়নে ভুল-ত্রুটি থেকে যায়। এ সমস্যা নিরসনে পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া যায়।’

ছবি

গবেষণায় ‘চ্যান্সেলর’স ডক্টরাল রিসার্চ মেডেল’ পেলেন পাবিপ্রবি শিক্ষক কামরুজ্জামান

ছবি

দেড় বছরেই সেশনজট মুক্ত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

জাবিতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের মহড়া, ২ সাংবাদিককে হেনস্তা

ছবি

ছুটি বাড়ছে না প্রাথমিক স্কুলের, রোজায় টানা ১৫ দিন ক্লাস

ছবি

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিজ্ঞপ্তি ২৩ মার্চ

ছবি

গুচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: ইউজিসি

ছবি

শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণে ‘দুর্নীতি’ স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত হচ্ছে

ছবি

সব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছতে, থাকছে জবি-ইবিও

ছবি

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মে

ছবি

গুচ্ছে যাচ্ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষাবর্ষের চার মাস, দুই বই সংশোধনের জটিলতা কাটছে না

শ্রমিকের ছেলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা

ছবি

করোনা মহামারি: প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে মাত্র এক জন লাইভ ক্লাসে অংশ নেয়

ছবি

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

ছবি

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালিত

ছবি

ইবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ, মাইকে প্রচার

ছবি

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা নয়

ছবি

আগুন জ্বালিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, রেল কর্তৃপক্ষের মামলা

দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা-উপশাখা খোলার উদ্যোগ, দেশীয় উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ

ছবি

ঢাবির সঙ্গে যৌথ কাজ করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন ইউনিভার্সিটি

ছবি

ফাতেমা ইকবাল ট্রাস্ট ও প্রভোস্ট বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৩২ ছাত্রী

ছবি

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণের দাবীতে ফরিদপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ : ভর্তিতে সতর্কতা জারি বিএমডিসির

ছবি

বঙ্গবন্ধু মডেকিলে বশ্বিবদ্যিালয়ে চর্তুথ সমার্বতন কাল

ছবি

রাবির ভিসিকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর স্লোগান

ছবি

জাবির ছাত্রী হলে মধ্যরাতে হয়রানি, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

ছবি

দুপুরে প্রকাশ হবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল, জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ : রাবির প্রশাসন ভবনে তালা, বিক্ষোভ

খাতা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন ৩১৫ জন

ছবি

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটিতে সকালে পরীক্ষা,সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ

ছবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, লড়াইয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার

ছবি

পাঠ্যবইয়ের দরপত্রে পরিবর্তন আসছে

১৫ মার্চ শুরু হচ্ছে ‘ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩’

ছবি

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম

ছবি

প্রাথমিকের বৃত্তির সংশোধিত ফল প্রকাশ

tab

শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ণের আবেদন বেড়েছে ৬৫ শতাংশ

রাকিব উদ্দিন

শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩

এক বছরে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে শুধুমাত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেই ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের মোট বিষয়ের সংখ্যাই এক লাখ পাঁচ হাজারের মতো। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর খাতা পুনর্মূল্যায়নে রীতিমতো চাপের মুখে রয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর কর্মকর্তারা। গত কিছুদিন ধরে শিক্ষা বোর্ডে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা খাতা পুনর্মূল্যায়নের কাজ চলছে।

২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৯৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে দুই লাখ ৪৩ হাজার ২২১ জন উর্ত্তীণ হয়েছে।

কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ্ট হয়ে খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ৩১ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছে। এসব শিক্ষার্থী মোট এক লাখ চার হাজার ৬৬৫টি ‘স্ক্রিপ্ট’ বা বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০২১ সালের এই পরীক্ষায় ২০ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিল। তারা প্রায় ৫০ হাজার ‘স্ক্রিপ্ট’ বা বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিল। এ হিসেবে এক বছরে এইচএসসিতে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর ঢাকা বোর্ড থেকে দুই লাখ ৯৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

এবার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার সংবাদকে বলেন, ‘এটি রুটিন ওর্য়াক। তবে এবার আবেদন একটু বেশি পরলেও কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমরা অভিজ্ঞ পরীক্ষকদের নিয়ে এসে বোর্ডেই খাতা রিস্ক্রুটিনির (পুনর্মূল্যায়ন) কাজ করছি।’

১০ মার্চ রিস্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোন উত্তরপত্রের নম্বর গণনার বাদ পড়েছে কি-না, কোন উত্তরপত্র বা খাতা আনমার্কড (নম্বরবিহীন) রয়েছে কি-না, অন্য ভুল হয়েছে কি-না তা দেখা হয়। তবে কোন পরীক্ষক যদি কোন একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য সাত বা আট নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’

অধ্যাপক আবুল বাশার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘মনে করেন পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৯ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো;...এ ধরণের ভুল সংশোধন করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনভাবে যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১০-১১ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে। এর আগে ন্যূনতম তিনমাসে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতো।

প্রতিবার নিয়মিত হারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। এ কারণে খাতা মূল্যায়নের জন্য শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত পরীক্ষকদের (বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক) ওপরও চাপ পড়ে।

আবার সাধারণ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের খাতা মূল্যায়নের জন্য ‘অভিজ্ঞ’ শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনের জন্য একজন পরীক্ষককে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’টি খাতাও দেয়া হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে একজন পরীক্ষককে ‘আটশ’ থেকে এক হাজার’ খাতাটি দেয়া হয় বলেও জানা গেছে।

অন্য বিষয়ের খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষক স্বল্পতা না থাকায় জনপ্রতি দুই থেকে তিনশ’টি খাতা দেয়া হয়। তবে খাতার সংখ্যা যাই হোক না কেন তা মূল্যায়নের জন্য সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পরীক্ষক সংবাদকে জানিয়েছেন। আর খাতা প্রতি ৩৫ টাকা করে শিক্ষকদের সম্মানী দেয়া হয় শিক্ষা বোর্ড থেকে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম সংবাদকে বলেন, ‘দুটি কারণে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন একটু বেশি হয়। প্রথমত, এক সময় ম্যানুয়ালি আবেদন করতে হতো, বেশ কয়েক বছর ধরে এটি উন্মুক্ত ও ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। এ কারণে এখন ঘরে বসে অনলাইনেই আবেদন করা যাচ্ছে।’

‘দ্বিতীয়ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের স্বল্পতার’ কারণে ‘রিস্ক্রুটি’র আবেদন বেশি হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে পেশাদারিত্বের মানসিকতার খুব একটা উন্নতি ঘটছে না। খাতা মূল্যায়নে অনেকেই উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনা দেখায়। এ কারণেও মূল্যায়নে ভুল-ত্রুটি থেকে যায়। এ সমস্যা নিরসনে পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া যায়।’

back to top