জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল, সুফিয়া কামাল হল ও খালেদা জিয়া হলে মাঝরাতে জানালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের নোংরা ভাষায় গালিগালাজসহ উত্যক্ত করেছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। রোববার (১২ মার্চ) মধ্যরাতে প্রায় পরপর তিনবার এই ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ৪ টায় শেখ হাসিনা হলের নীচতলার একটি রুমের জানালা দিয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষায় গালি দিতে থাকে এক ব্যক্তি। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে লোকটি চলে যায় এবং জানালার সামনে কনডম ফেলে যায়। একই সময়ে হলের আরেকটি ব্লকেও একই ঘটনা ঘটে। পরে ভোররাত ৫ টার দিকে খালেদা জিয়া এবং সাড়ে ৫ টার দিকে সুফিয়া কামাল হলে একই রকম ঘটনা ঘটে। সুফিয়া কামাল হলের গণরুমের জানালা ভেঙে ফেলে ইট দিয়ে।
একই রাতে তিনটি ঘটনা একটি চক্রই করেছে বলে শিক্ষার্থীদের অনুমান। এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি হলে এমন ঘটনা ঘটলো। এর মধ্যে শেখ হাসিনা হলেই গত এক সপ্তাহে তিনবার ঘটেছে উত্যক্তের ঘটনা। প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গার্ডরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, “আগের ঘটনার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজকে দুই কর্মদিবস, তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা একটা গাছ চিহ্নিত করেছি, যেটা দিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি এ বিষয়ে। হলের বাউন্ডারি দেয়ালে কাঁটাতার দেয়া হবে”। কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই বলা যাচ্ছে না। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রশাসনকে বিব্রত করতে কেউ এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে”।
সুফিয়া কামাল হলের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হল কর্মকর্তা জাহানারা খানের কাছে অভিযোগ করতে গেলে তিনি বাসের শব্দে ভয় পেয়েছে বলেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জানতে জাহানারা খানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। উপাচার্যের সাথেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে”।
রোববার, ১২ মার্চ ২০২৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল, সুফিয়া কামাল হল ও খালেদা জিয়া হলে মাঝরাতে জানালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের নোংরা ভাষায় গালিগালাজসহ উত্যক্ত করেছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। রোববার (১২ মার্চ) মধ্যরাতে প্রায় পরপর তিনবার এই ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ৪ টায় শেখ হাসিনা হলের নীচতলার একটি রুমের জানালা দিয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষায় গালি দিতে থাকে এক ব্যক্তি। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে লোকটি চলে যায় এবং জানালার সামনে কনডম ফেলে যায়। একই সময়ে হলের আরেকটি ব্লকেও একই ঘটনা ঘটে। পরে ভোররাত ৫ টার দিকে খালেদা জিয়া এবং সাড়ে ৫ টার দিকে সুফিয়া কামাল হলে একই রকম ঘটনা ঘটে। সুফিয়া কামাল হলের গণরুমের জানালা ভেঙে ফেলে ইট দিয়ে।
একই রাতে তিনটি ঘটনা একটি চক্রই করেছে বলে শিক্ষার্থীদের অনুমান। এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি হলে এমন ঘটনা ঘটলো। এর মধ্যে শেখ হাসিনা হলেই গত এক সপ্তাহে তিনবার ঘটেছে উত্যক্তের ঘটনা। প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গার্ডরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, “আগের ঘটনার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজকে দুই কর্মদিবস, তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা একটা গাছ চিহ্নিত করেছি, যেটা দিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি এ বিষয়ে। হলের বাউন্ডারি দেয়ালে কাঁটাতার দেয়া হবে”। কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই বলা যাচ্ছে না। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রশাসনকে বিব্রত করতে কেউ এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে”।
সুফিয়া কামাল হলের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হল কর্মকর্তা জাহানারা খানের কাছে অভিযোগ করতে গেলে তিনি বাসের শব্দে ভয় পেয়েছে বলেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জানতে জাহানারা খানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। উপাচার্যের সাথেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে”।