alt

শিক্ষা

চৌর্যবৃত্তির জন্য শিক্ষক ও গবেষকদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রকাশনায় স্বচ্ছতা আনয়ন করতে চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর ফলে দায়ী শিক্ষক ও গবেষকদের চৌর্যবৃত্তির জন্য জরিমানা, পদাবনতি, ডিগ্রি বাতিল এবং চাকরিচ্যুতির মতো শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেইজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। নীতিমালায় গবেষণায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্যকে ‘গ্রহণযোগ্য’ (লেভেল-০) বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একক উৎস থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা যাবে না।

নীতিমালায় অন্য মাত্রাগুলো হলো- নিম্ন (লেভেল-১), মধ্য (লেভেল-২), উচ্চ (লেভেল-৩) ও পুনরাবৃত্তি (লেভেল-৪)। গবেষণায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্য নিম্ন লেভেল, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ মধ্য লেভেল এবং ৬০ শতাংশের বেশি সামঞ্জস্য উচ্চমাত্রার সামঞ্জস্য হিসেবে গণ্য হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ২০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্যের ক্ষেত্রে কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হবে না। তবে একই উৎস বা সূত্র থেকে ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা হলে তা নিম্নমাত্রার সামঞ্জস্যের (লেভেল-১) আওতায় পড়বে। ক্রমান্বয়ে লেভেল অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারিত হবে।

শিক্ষক নেতারা চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধে ঢাবির এ নীতিমালাকে ইতিবাচক বলছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গবেষণার মৌলিকত্বকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেওয়ার জন্যই এ নীতিমালা করা হয়েছে। শাস্তির বিধান করাই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য নয় বরং সচেতনতা বৃদ্ধি, চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধ এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতেই এটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নীতিমালায় বিভিন্ন বিধান এবং সংশোধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তাহলে তার চৌর্যবৃত্তির সামঞ্জস্যতার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ একাধিকবার চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তাহলে চাকরিচ্যুতি পর্যন্ত হতে পারেন।

ছবি

তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১১০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানাল পিএসসি

ছবি

স্বাধীনতা বিসিএস শিক্ষা সংসদের সভাপতি নাসির ও সম্পাদক জাফর

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা : ৯ বছরেও শেষ হয়নি পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ছবি

রাজস্ব খাতভুক্ত বৃত্তি পাচ্ছে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

‘স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশে ধর্মভিত্তিক শিক্ষার প্রসার ঘটেছে’

একাদশে ভর্তি : দ্বিতীয় ধাপের ফল আজ

ছবি

ছয় দফা দাবিতে মাউশিতে অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শিক্ষিকা ও ৬ ডাক্তারসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

ছবি

শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

ছবি

৯ম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

ছবি

শেষ হয়নি প্রশ্নপত্র তৈরি, অক্টোবরে লিখিত পরীক্ষা নিয়ে সংশয়

ছবি

চবি উপাচার্যের বাসভবন ও পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর

ছবি

ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন ড. হাসিনা খান

ছবি

একাদশে ভর্তি : শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় নেই দু’শতাধিক কলেজ-মাদ্রাসা

ছবি

বৈষম্য নিরসন না করলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষা ক্যাডারদের

ছবি

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি, জুনে এইচএসসি

ছবি

৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আজ শুরু হয়েছে

শিক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্পের ১৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় হয়নি

ছবি

৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ চায় ২৪ পরীক্ষার্থী

ছবি

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২৬২৪২ জন

ছবি

কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রি-ডিপারচার ব্রিফিং

ছবি

ঢাবি শিক্ষক রহমতউল্লার অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল

ছবি

ভুল প্রশ্নে আলিম পরীক্ষা, বিপাকে ২২৬ শিক্ষার্থী

ছবি

আইসিটি পরিক্ষায় বহিষ্কার ৪৫, অনুপস্থিত ১২৪১৯

ছবি

তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

ছবি

তিন বোর্ডের এইসএসসি পরীক্ষা শুরু কাল

ছবি

পদত্যাগ করলেন আইডিয়াল কলেজের মুশতাক

ছবি

জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩ সেপ্টেম্বর

ছবি

এইচএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬৬, অনুপস্থিত ৭৪০৪

ছবি

এসএসসি’র কৃতি পরিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল এনার্জিপ্যাক

ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ৭৫ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে

ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার স্থাপনের নির্দেশ

ছবি

মুন্সিগঞ্জে মামাতো বোনের ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়লেন ফুফাতো বোন

ছবি

পরীক্ষকসহ বহিষ্কার ৮৪, অনুপস্থিত ৭০৮৯

ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এর জুন ২০২৩ সিরিজের ফল প্রকাশ: বাংলাদেশের পরিক্ষার্থী ছিল ৩৬ হাজার ২৮৫ জন

tab

শিক্ষা

চৌর্যবৃত্তির জন্য শিক্ষক ও গবেষকদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রকাশনায় স্বচ্ছতা আনয়ন করতে চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর ফলে দায়ী শিক্ষক ও গবেষকদের চৌর্যবৃত্তির জন্য জরিমানা, পদাবনতি, ডিগ্রি বাতিল এবং চাকরিচ্যুতির মতো শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেইজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। নীতিমালায় গবেষণায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্যকে ‘গ্রহণযোগ্য’ (লেভেল-০) বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একক উৎস থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা যাবে না।

নীতিমালায় অন্য মাত্রাগুলো হলো- নিম্ন (লেভেল-১), মধ্য (লেভেল-২), উচ্চ (লেভেল-৩) ও পুনরাবৃত্তি (লেভেল-৪)। গবেষণায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্য নিম্ন লেভেল, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ মধ্য লেভেল এবং ৬০ শতাংশের বেশি সামঞ্জস্য উচ্চমাত্রার সামঞ্জস্য হিসেবে গণ্য হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ২০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্যের ক্ষেত্রে কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হবে না। তবে একই উৎস বা সূত্র থেকে ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা হলে তা নিম্নমাত্রার সামঞ্জস্যের (লেভেল-১) আওতায় পড়বে। ক্রমান্বয়ে লেভেল অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারিত হবে।

শিক্ষক নেতারা চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধে ঢাবির এ নীতিমালাকে ইতিবাচক বলছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গবেষণার মৌলিকত্বকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেওয়ার জন্যই এ নীতিমালা করা হয়েছে। শাস্তির বিধান করাই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য নয় বরং সচেতনতা বৃদ্ধি, চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধ এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতেই এটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নীতিমালায় বিভিন্ন বিধান এবং সংশোধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তাহলে তার চৌর্যবৃত্তির সামঞ্জস্যতার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ একাধিকবার চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তাহলে চাকরিচ্যুতি পর্যন্ত হতে পারেন।

back to top