রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্ণিং বডির এক সদস্যের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসনের (এডিসি- শিক্ষা ও আইসিটি) নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত সদস্যকে দুইমাসের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ করেছে প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডি।
আর প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরাম ‘ভর্তি বাণিজ্য, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের’ ঘটনায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুরো গভর্ণিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডির অন্যতম সদস্য গোলাম আশরাফ তালুকদার সংবাদকে বলেন, দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এগুলি গভর্ণিং বডিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে খন্দকার মুশতাক আহমেদ এক ছাত্রীর সঙ্গে আছেন; অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহদাৎ ঢালীর (মেহেদি হোসেন) কোচিং সেন্টারে (সেইফ কোচিং সেন্টার) আরেকটি ঘটনা।
এ দুটি ঘটনা খতিতে দেখতে ৩১ মে গভর্ণিং বডির সভায় বিস্তারিত আলোনা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার জেলার এডিসি শিক্ষার নেতৃত্বে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সময়ে খন্দকার মুশতাককে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান আশরাফ তালুকদার।
বুধবার অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রোস্তম আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য ষাটোর্ধ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ১৭বছর বয়সী ছাত্রীর গত ২ বছর যাবৎ মেলা-মেশা ও সম্পর্ক স্থাপন করায় নৈতিক ও চারিত্রিক স্খলন ঘটেছে এবং এক পর্যায়ে অভিভাবকদের চাপে সম্প্রতি ৩য় বিয়ে করতে খন্দকার মোস্তাক বাধ্য হয়েছেন।’
এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অভিভাবক ফোরামের দাবি।
ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে খন্দকার মুশতাক আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে ৬০ বছরের বেশি। ১৮ বছর চার মাসের এক ছাত্রীর সঙ্গে তা করতে পারি না। এটি ষড়যন্ত্র। ভিডিওটি কাটপিস করা। সামনে গভর্ণিং বডির নির্বাচন...আমি এখানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়; আমি যাতে নির্বাচন করতে না পারি সেজন্য এসব করা হচ্ছে।’
অভিযোগ মিথ্যা হলে গভর্ণিং বডি তদন্ত করার সিন্ধান্ত নিল কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইডিয়াল স্কুল একটি সেনসিটিভ প্রতিষ্ঠান। বড় ধরণের কোনো সমস্যা সামাল দিতেই এটি করা হয়েছে।’
তৃতীয় বিয়ে করার অভিযোগ সর্ম্পকে খন্দকার মুশতাক বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমার সংসার আছে। আমি কেন ছাত্রীকে বিয়ে করতে যাবো?’
গভর্ণিং বডি সরকারি ভর্তি নীতিমালা অমান্য করে লটারি ছাড়া শিক্ষার্থী প্রতি ৫/৬ লক্ষ টাকা নিয়া দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী চলমান ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি করায় এবং এনটিআরসিএ’র বাহিরে সরকারি অনুমোদন ছাড়া এ বছর শতাধিক শিক্ষক/ শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য করছে বলে অভিভাবক ফোরামের নেতারা অভিযোগ করেছেন। তারা প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ও দাতা সদস্য খন্দকার মোস্তাক আহমেদসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
গভর্ণিং বডির অপর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সম্প্রতি খন্দকার মুশতাক আহমেদের বাসায় ‘পিকনিকের’ আয়োজন করেন অধ্যক্ষ। সেখানে কয়েকজন ছাত্রীকে খন্দকার মুশতাকের পরিচয় করিয়ে দেন শাহদাৎ ঢালী। এরপর ভিডিও ভাইরাল হয়।
শাহদাৎ ঢালীর মালিকানাধীন ‘সেইফ’ কোচিং সেন্টারে প্রায় এ ধরণের নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে শাহদাৎ ঢালী সংবাদকে বলেন, ‘আমার কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেনি। একটি ভিডিও স্কুলের মাটের; অপরটি খন্দাকার মুশতাক সাহেবের গাড়িতে। মূল ঘটনা হলো-আমি সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের ৪০ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছি। এরপর আমার বিরুদ্ধে খেপেছে তারা। আমি কাউকে ভয় পায় না; আমি এখানে কিছু পেতে আসিনি। আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চাপাইতে (জড়ানো) চাচ্ছে। তারা দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়।’
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মধ্যে খন্দকার মুশতাক ১১ জন এবং শাহদাৎ ঢালী ৯ জনকে ভর্তি করিয়েছেন। অন্যান্য সদস্যের নামেও বাকি ৪০ জন ভর্তি নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্ণিং বডির এক সদস্যের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসনের (এডিসি- শিক্ষা ও আইসিটি) নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত সদস্যকে দুইমাসের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ করেছে প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডি।
আর প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরাম ‘ভর্তি বাণিজ্য, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের’ ঘটনায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুরো গভর্ণিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডির অন্যতম সদস্য গোলাম আশরাফ তালুকদার সংবাদকে বলেন, দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এগুলি গভর্ণিং বডিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে খন্দকার মুশতাক আহমেদ এক ছাত্রীর সঙ্গে আছেন; অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহদাৎ ঢালীর (মেহেদি হোসেন) কোচিং সেন্টারে (সেইফ কোচিং সেন্টার) আরেকটি ঘটনা।
এ দুটি ঘটনা খতিতে দেখতে ৩১ মে গভর্ণিং বডির সভায় বিস্তারিত আলোনা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার জেলার এডিসি শিক্ষার নেতৃত্বে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সময়ে খন্দকার মুশতাককে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান আশরাফ তালুকদার।
বুধবার অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রোস্তম আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য ষাটোর্ধ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ১৭বছর বয়সী ছাত্রীর গত ২ বছর যাবৎ মেলা-মেশা ও সম্পর্ক স্থাপন করায় নৈতিক ও চারিত্রিক স্খলন ঘটেছে এবং এক পর্যায়ে অভিভাবকদের চাপে সম্প্রতি ৩য় বিয়ে করতে খন্দকার মোস্তাক বাধ্য হয়েছেন।’
এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অভিভাবক ফোরামের দাবি।
ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে খন্দকার মুশতাক আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে ৬০ বছরের বেশি। ১৮ বছর চার মাসের এক ছাত্রীর সঙ্গে তা করতে পারি না। এটি ষড়যন্ত্র। ভিডিওটি কাটপিস করা। সামনে গভর্ণিং বডির নির্বাচন...আমি এখানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়; আমি যাতে নির্বাচন করতে না পারি সেজন্য এসব করা হচ্ছে।’
অভিযোগ মিথ্যা হলে গভর্ণিং বডি তদন্ত করার সিন্ধান্ত নিল কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইডিয়াল স্কুল একটি সেনসিটিভ প্রতিষ্ঠান। বড় ধরণের কোনো সমস্যা সামাল দিতেই এটি করা হয়েছে।’
তৃতীয় বিয়ে করার অভিযোগ সর্ম্পকে খন্দকার মুশতাক বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমার সংসার আছে। আমি কেন ছাত্রীকে বিয়ে করতে যাবো?’
গভর্ণিং বডি সরকারি ভর্তি নীতিমালা অমান্য করে লটারি ছাড়া শিক্ষার্থী প্রতি ৫/৬ লক্ষ টাকা নিয়া দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী চলমান ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি করায় এবং এনটিআরসিএ’র বাহিরে সরকারি অনুমোদন ছাড়া এ বছর শতাধিক শিক্ষক/ শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য করছে বলে অভিভাবক ফোরামের নেতারা অভিযোগ করেছেন। তারা প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ও দাতা সদস্য খন্দকার মোস্তাক আহমেদসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
গভর্ণিং বডির অপর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সম্প্রতি খন্দকার মুশতাক আহমেদের বাসায় ‘পিকনিকের’ আয়োজন করেন অধ্যক্ষ। সেখানে কয়েকজন ছাত্রীকে খন্দকার মুশতাকের পরিচয় করিয়ে দেন শাহদাৎ ঢালী। এরপর ভিডিও ভাইরাল হয়।
শাহদাৎ ঢালীর মালিকানাধীন ‘সেইফ’ কোচিং সেন্টারে প্রায় এ ধরণের নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে শাহদাৎ ঢালী সংবাদকে বলেন, ‘আমার কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেনি। একটি ভিডিও স্কুলের মাটের; অপরটি খন্দাকার মুশতাক সাহেবের গাড়িতে। মূল ঘটনা হলো-আমি সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের ৪০ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছি। এরপর আমার বিরুদ্ধে খেপেছে তারা। আমি কাউকে ভয় পায় না; আমি এখানে কিছু পেতে আসিনি। আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চাপাইতে (জড়ানো) চাচ্ছে। তারা দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়।’
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মধ্যে খন্দকার মুশতাক ১১ জন এবং শাহদাৎ ঢালী ৯ জনকে ভর্তি করিয়েছেন। অন্যান্য সদস্যের নামেও বাকি ৪০ জন ভর্তি নেয়া হয়েছে।