ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের মঞ্চ মাতালেন ওপার বাংলার শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর।
শুক্রবার রাতে কথার জাদুতে আর গানে গানে দর্শকদের মাতিয়ে তুলছেন এই শিল্পী।
কনসার্টের প্রথম ভাগে ছিল সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ারের পরিবেশনা। আর দ্বিতীয় ভাগে মঞ্চ মাতান নচিকেতা, তার সংগীত দলের অর্ঘ্য কমলও গান পরিবেশন করেন।
‘তোমাকে আসতেই হবে দিয়ে শুরু করা জয় একে একে গেয়ে শোনান ‘আমিতো এমনই, ‘আমি নেই সহ বেশ কিছু গান।
রাত সাড়ে ৮টায় গান শুরু করেন নচিকেতা, গানের ফাঁকে চলে কথোপকথন। রাত ১০টায় ‘নীলাঞ্জনা গানের মধ্য দিয়ে পরিবেশনা শেষ করেন এই শিল্পী।
নচিকেতা বলেন, “১৯৯৩ সালে শুরু করেছিলাম, ৩০ বছর তো হয়ে গেল। একটু আগেই একজন জিজ্ঞাসা করছিল- আমার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়েছে কি না? আমার মনে হয়, আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে।
দর্শক সারিতে মোবাইল ফোনে ভিডিও করা নিয়ে গানের ফাঁকে বিরক্তিও ঝরে নচিকেতার কণ্ঠে।
এই শিল্পীর কথায়, “এই যন্ত্রটা খুবই বিরক্তিকর। একটা লোক গান গাইছে, তা না শুনে ভিডিও করে যাচ্ছে। এখন যা বলছি, সেটাও ভিডিও করছে। আসলে বুঝতেই পারছে না, কী বলছি।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিরক্তির কথা জানিয়ে নচিকেতা বলেন, “মায়েরা সন্তানদের স্কুলের টিফিন দিয়ে বলে দেন, ‘একা একা খাবি, কাউকে দিবি না; ‘এটা করবি না, ওটা করবি না’। বাচ্চার পেছনে মায়েরা যেভাবে লেগে থাকেন, সেভাবে যদি দেশটা নিয়ে লাগত- তখন দেশটাই পালটে যেত। এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার অনেক রাগ।
“বিয়ে বাড়িতে গেলেও দেখবেন, কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করছে ছেলেমেয়ে কী করে? এই প্রশ্নটা বেকারদের জন্য যে কতটা বিব্রতকর।
কথা বলতে বলতেই নচিকেতা গেয়ে শোনান, ‘আমি ভবঘুরে হব/এটাই আমার অ্যাম্বিশন’।
সিনেমার গান করার জন্য চিৎকার করে অনুরোধ করেন দর্শক। নচিকেতা বলেন, “সিনেমার গান তো ফরমায়েশি গান হয়। আমার স্টেজে গাইতে খুব একটা ভালো লাগে না।
নচিকেতা গেয়ে চলেন তার মতই। একটা নতুন গান গাইব বলেই গেয়ে ওঠেন, ‘হয়তো তোমারই জন্য/নেমেছি জনারণ্যে’।
আরেক মুহূর্তে বলেন, “দর্শকের দিকে লাইট দাও। দর্শকদের না দেখে গান করা যায় নাকি? মনে হচ্ছে অন্ধকার সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে গান করছি।
জয় শাহরিয়ারকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে নচিকেতা বলেন, “আমি এই ছেলেটাকে ভীষণ পছন্দ করি।
জয় শাহরিয়ার ও নচিকেতা দ্বৈতকণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘ভেবে দেখেছ কি।
নচিকেতার সংগীত দলে তবলায় ছিলেন প্রজেনজিৎ, গিটারে ছিলেন রূপক এবং কি-বোর্ডে ছিলেন অর্ঘ্য কমল।
নচিকেতা মাঝে গান শোনাতে আহ্বান জানালে অর্ঘ্য কমল গেয়ে শোনান ‘আমি এক ফেরিওয়ালা ভাই/স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াই গানটি।
দেড় ঘণ্টা ধরে মঞ্চে নচিকেতা গেয়েছেন রাজশ্রী তোমার জন্য, তুমি আসবে বলেই, দেখে যা অনির্বাণ, আমার ইচ্ছে করে, হয়তো তোমার জন্য, বৃদ্ধাশ্রম, একদিন ঝড় থেমে যাবেসহ ১৫টিরও বেশি গান।
‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার শীর্ষক এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ‘আজব কারখানা’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল হাসান বাবু ও কাজী বুশরা আহমেদ তিথি।
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের মঞ্চ মাতালেন ওপার বাংলার শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর।
শুক্রবার রাতে কথার জাদুতে আর গানে গানে দর্শকদের মাতিয়ে তুলছেন এই শিল্পী।
কনসার্টের প্রথম ভাগে ছিল সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ারের পরিবেশনা। আর দ্বিতীয় ভাগে মঞ্চ মাতান নচিকেতা, তার সংগীত দলের অর্ঘ্য কমলও গান পরিবেশন করেন।
‘তোমাকে আসতেই হবে দিয়ে শুরু করা জয় একে একে গেয়ে শোনান ‘আমিতো এমনই, ‘আমি নেই সহ বেশ কিছু গান।
রাত সাড়ে ৮টায় গান শুরু করেন নচিকেতা, গানের ফাঁকে চলে কথোপকথন। রাত ১০টায় ‘নীলাঞ্জনা গানের মধ্য দিয়ে পরিবেশনা শেষ করেন এই শিল্পী।
নচিকেতা বলেন, “১৯৯৩ সালে শুরু করেছিলাম, ৩০ বছর তো হয়ে গেল। একটু আগেই একজন জিজ্ঞাসা করছিল- আমার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়েছে কি না? আমার মনে হয়, আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে।
দর্শক সারিতে মোবাইল ফোনে ভিডিও করা নিয়ে গানের ফাঁকে বিরক্তিও ঝরে নচিকেতার কণ্ঠে।
এই শিল্পীর কথায়, “এই যন্ত্রটা খুবই বিরক্তিকর। একটা লোক গান গাইছে, তা না শুনে ভিডিও করে যাচ্ছে। এখন যা বলছি, সেটাও ভিডিও করছে। আসলে বুঝতেই পারছে না, কী বলছি।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিরক্তির কথা জানিয়ে নচিকেতা বলেন, “মায়েরা সন্তানদের স্কুলের টিফিন দিয়ে বলে দেন, ‘একা একা খাবি, কাউকে দিবি না; ‘এটা করবি না, ওটা করবি না’। বাচ্চার পেছনে মায়েরা যেভাবে লেগে থাকেন, সেভাবে যদি দেশটা নিয়ে লাগত- তখন দেশটাই পালটে যেত। এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার অনেক রাগ।
“বিয়ে বাড়িতে গেলেও দেখবেন, কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করছে ছেলেমেয়ে কী করে? এই প্রশ্নটা বেকারদের জন্য যে কতটা বিব্রতকর।
কথা বলতে বলতেই নচিকেতা গেয়ে শোনান, ‘আমি ভবঘুরে হব/এটাই আমার অ্যাম্বিশন’।
সিনেমার গান করার জন্য চিৎকার করে অনুরোধ করেন দর্শক। নচিকেতা বলেন, “সিনেমার গান তো ফরমায়েশি গান হয়। আমার স্টেজে গাইতে খুব একটা ভালো লাগে না।
নচিকেতা গেয়ে চলেন তার মতই। একটা নতুন গান গাইব বলেই গেয়ে ওঠেন, ‘হয়তো তোমারই জন্য/নেমেছি জনারণ্যে’।
আরেক মুহূর্তে বলেন, “দর্শকের দিকে লাইট দাও। দর্শকদের না দেখে গান করা যায় নাকি? মনে হচ্ছে অন্ধকার সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে গান করছি।
জয় শাহরিয়ারকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে নচিকেতা বলেন, “আমি এই ছেলেটাকে ভীষণ পছন্দ করি।
জয় শাহরিয়ার ও নচিকেতা দ্বৈতকণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘ভেবে দেখেছ কি।
নচিকেতার সংগীত দলে তবলায় ছিলেন প্রজেনজিৎ, গিটারে ছিলেন রূপক এবং কি-বোর্ডে ছিলেন অর্ঘ্য কমল।
নচিকেতা মাঝে গান শোনাতে আহ্বান জানালে অর্ঘ্য কমল গেয়ে শোনান ‘আমি এক ফেরিওয়ালা ভাই/স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াই গানটি।
দেড় ঘণ্টা ধরে মঞ্চে নচিকেতা গেয়েছেন রাজশ্রী তোমার জন্য, তুমি আসবে বলেই, দেখে যা অনির্বাণ, আমার ইচ্ছে করে, হয়তো তোমার জন্য, বৃদ্ধাশ্রম, একদিন ঝড় থেমে যাবেসহ ১৫টিরও বেশি গান।
‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার শীর্ষক এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ‘আজব কারখানা’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল হাসান বাবু ও কাজী বুশরা আহমেদ তিথি।