শিল্পকলায় নাটক বন্ধ ও হামলার ঘটনায় ইন্ধনদাতাদের দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যনির্দেশক ও অভিনয়শিল্পী আজাদ আবুল কালাম। তিনি অভিযোগ করেন, যারা এই হামলা ও নাটক বন্ধের পেছনে রয়েছে, তাদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট না হলেও ইন্ধনদাতাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অথবা শিল্পকলার ভেতরের কেউ থাকতে পারে। পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হলে দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
এই মন্তব্য তিনি করেন গতকাল বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সামনে ‘আরণ্যক’ নাট্যদল আয়োজিত এক প্রতিবাদী পথনাটক প্রদর্শনীতে। অনুষ্ঠানের মূল স্লোগান ছিল, ‘নাটক মোদের অধিকার, রুখবে নাটক সাধ্য কার’। এই আয়োজনে ‘প্রাচ্যনাট’ ও ‘আরণ্যক’ দলের শিল্পীরা অংশ নেন। তারা জাতীয় নাট্যশালার প্রবেশ গেটের সামনে মঞ্চায়ন করেন বিভিন্ন নাটক।
গত ২ নভেম্বর ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী শিল্পকলায় বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ৮ নভেম্বর গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে আরণ্যক নাট্যদল এই পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতিবাদী আয়োজন
‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের নির্দেশক মাসুম রেজা জানান, শিল্পকলা একাডেমি থেকে পুনরায় মঞ্চায়নের তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ এসেছে এবং আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসেই নাটকটি আবার প্রদর্শন করা যাবে।
এদিন, ‘প্রাচ্যনাট’ নাট্যদল মঞ্চস্থ করে কাজী তৌফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় জগন্ময় পালের লেখা নাটক ‘স্পিক আউট’। এরপর আরণ্যক মঞ্চায়ন করে প্রয়াত মান্নান হীরার লেখা ও নির্দেশিত নাটক ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’।
নিরাপত্তার দাবিতে সরব নাট্যকর্মীরা
প্রতিবাদী আয়োজনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরণ্যক নাট্যদলের প্রধান সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শামীমা শওকত লাভলী বলেন, "রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে নাট্যদলগুলো নিরাপত্তার অভাবে নির্বিঘ্নে প্রদর্শনী করতে পারছে না। কিন্তু তাই বলে নাটক থেমে থাকতে পারে না। মিলনায়তনে প্রদর্শনী বন্ধ হলে, আমরা পথনাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে, নাট্যকর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরাই করবে।"
গত ৯ নভেম্বর ‘কম্পানি’ নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল আরণ্যক নাট্যদলের পক্ষ থেকে। এবার তারা মিলনায়তনের বাইরে পথে নাটক মঞ্চস্থ করে নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরেছে।
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
শিল্পকলায় নাটক বন্ধ ও হামলার ঘটনায় ইন্ধনদাতাদের দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যনির্দেশক ও অভিনয়শিল্পী আজাদ আবুল কালাম। তিনি অভিযোগ করেন, যারা এই হামলা ও নাটক বন্ধের পেছনে রয়েছে, তাদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট না হলেও ইন্ধনদাতাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অথবা শিল্পকলার ভেতরের কেউ থাকতে পারে। পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হলে দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
এই মন্তব্য তিনি করেন গতকাল বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সামনে ‘আরণ্যক’ নাট্যদল আয়োজিত এক প্রতিবাদী পথনাটক প্রদর্শনীতে। অনুষ্ঠানের মূল স্লোগান ছিল, ‘নাটক মোদের অধিকার, রুখবে নাটক সাধ্য কার’। এই আয়োজনে ‘প্রাচ্যনাট’ ও ‘আরণ্যক’ দলের শিল্পীরা অংশ নেন। তারা জাতীয় নাট্যশালার প্রবেশ গেটের সামনে মঞ্চায়ন করেন বিভিন্ন নাটক।
গত ২ নভেম্বর ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী শিল্পকলায় বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ৮ নভেম্বর গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে আরণ্যক নাট্যদল এই পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতিবাদী আয়োজন
‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের নির্দেশক মাসুম রেজা জানান, শিল্পকলা একাডেমি থেকে পুনরায় মঞ্চায়নের তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ এসেছে এবং আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসেই নাটকটি আবার প্রদর্শন করা যাবে।
এদিন, ‘প্রাচ্যনাট’ নাট্যদল মঞ্চস্থ করে কাজী তৌফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় জগন্ময় পালের লেখা নাটক ‘স্পিক আউট’। এরপর আরণ্যক মঞ্চায়ন করে প্রয়াত মান্নান হীরার লেখা ও নির্দেশিত নাটক ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’।
নিরাপত্তার দাবিতে সরব নাট্যকর্মীরা
প্রতিবাদী আয়োজনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরণ্যক নাট্যদলের প্রধান সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শামীমা শওকত লাভলী বলেন, "রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে নাট্যদলগুলো নিরাপত্তার অভাবে নির্বিঘ্নে প্রদর্শনী করতে পারছে না। কিন্তু তাই বলে নাটক থেমে থাকতে পারে না। মিলনায়তনে প্রদর্শনী বন্ধ হলে, আমরা পথনাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে, নাট্যকর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরাই করবে।"
গত ৯ নভেম্বর ‘কম্পানি’ নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল আরণ্যক নাট্যদলের পক্ষ থেকে। এবার তারা মিলনায়তনের বাইরে পথে নাটক মঞ্চস্থ করে নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরেছে।