সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও যৌন হয়রানির মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জেরা হয়নি। আদালতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমবার সময় চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জেরার নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
সকাল ১১টা ৫ মিনিটে আদালতে আসেন পরীমনি। সাড়ে ১১টার দিকে জানানো হয়, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার জেরা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি গাড়িতে অপেক্ষা করেন। এ সময় তিনি অসুস্থবোধ করলে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করলে আদালত ত্যাগ করেন পরীমনি।
২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় তুরাগ তীরে বোট ক্লাবে হেনস্তার অভিযোগ তোলেন পরীমনি। ১৩ জুন রাতে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।” প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে দেওয়া এই পোস্টটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পোস্ট দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগের বিস্তারিত জানান পরীমনি। পরদিন তিনি সাভার মডেল থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর রাজধানীর উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
তদন্ত শেষে ৭ সেপ্টেম্বর সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন—নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।
২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর পরীমনির আংশিক জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও যৌন হয়রানির মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জেরা হয়নি। আদালতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমবার সময় চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জেরার নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
সকাল ১১টা ৫ মিনিটে আদালতে আসেন পরীমনি। সাড়ে ১১টার দিকে জানানো হয়, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার জেরা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি গাড়িতে অপেক্ষা করেন। এ সময় তিনি অসুস্থবোধ করলে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করলে আদালত ত্যাগ করেন পরীমনি।
২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় তুরাগ তীরে বোট ক্লাবে হেনস্তার অভিযোগ তোলেন পরীমনি। ১৩ জুন রাতে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।” প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে দেওয়া এই পোস্টটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পোস্ট দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগের বিস্তারিত জানান পরীমনি। পরদিন তিনি সাভার মডেল থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর রাজধানীর উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
তদন্ত শেষে ৭ সেপ্টেম্বর সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন—নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।
২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর পরীমনির আংশিক জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।