রাজীব মণি দাস
কথাসাহিত্যিক, গীতিকবি ও নাট্যকার রাজীব মণি দাসের রচনায় ঈদ-উল-আযহায় আসছে ৫ নাটক। এর মধ্যে ৪টি একক নাটক, অপরটি ৭ পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘গণক’। একক নাটকগুলো হলো- ‘ভুড়ির অহংকার’, ‘সম্পত্তি ভাগ’, ‘জামাই শ্বশুর জুয়াড়ি’, ‘একান্নবর্তী ঈদ’।
এর মধ্যে বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘গণক’ গল্পে দেখা যায়Ñ গ্রামের গরিব সহজ-সরল দম্পতি আমির ও আসমা। আমির ক্ষীণ স্মরণশক্তি ও বোকা স্বভাবের কারণে কোনো কাজই সে ঠিকমত করতে পারে না। আসমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। সুন্দরী হওয়ায় সমাজের কুরুচিপূর্ণ পুরুষের দৃষ্টি পড়ে তার দিকে।
গ্রামের বিত্তবান মুন্সি বাড়িতে স্বর্ণের গয়না চুরি হয়। সন্দেহ করে আসমাকে, কারণ এই বাড়ির মধ্যে একমাত্র আসমাই ছুটা বুয়ার কাজ করে। আসমাকে আসামির মতো গ্রেফতার করে মুন্সি বাড়ির লোকজন। আসমা চুরি করেনি একথা সে বার বার বললেও তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না।
আসমা সবাইকে বলে তার স্বামী জ্বীন চালান দিয়ে গণনা করে প্রকৃত চোরকে ধরিয়ে দিতে পারবে। জ্বীন চালানের মাধ্যমে বোকা আমির আসল চোর কালামকে ধরিয়ে দেয়, সেইটা আট-দশ গ্রামে রটে যায়। সেই থেকে বোকা আমির গণক হিসেবে সুপরিচিতি পায়।
‘গণক’ গল্প প্রসঙ্গে নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘একটি ক্ষীণ স্মরণশক্তি মানুষ কিভাবে নিজের জ্ঞান গন্ডিকে ৩৬০ ডিগ্রি ডিঙিয়ে গণক হয়ে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে, তা দেখে অনেকেই অবাক হয়। আসলে সমাজের একজন মানুষকে অবহেলা করা ঠিক নয় সে যেই শ্রেণিরই হোক।’
‘সবার চোখে সরল মানুষও একদিন নিজ কর্মগুণে পাহাড়ের চুড়ায় পৌঁছাতে পারে, তারই উদাহরণ গণক আখম হাসান,’- যোগ করেন তিনি।
এছাড়া ‘ভুড়ির অহংকার’ নাটকটি একটু ভিন্ন ধাচের। একটা মানুষ খায়, তাই বলে এতো বেশি খায় সেইটা কল্পনাকেও হার মানায়। আবার খাইতে খাইতে পেট হয়ে গেছে বিশালাকৃতির তিমি মাছের পেটের মতো। আবার সেই ভুড়িওয়ালা পেট নিয়ে ছেলে জাবেদ যেমন অহংকার করে, তেমনি মা-ও অহংকার করতে থাকে। এই নিয়ে গ্রামের মানুষ হাসাহাসি করে। জাবেদের প্রেমিকা ইশা নিজ প্রেমিক সম্পর্কে মানুষের মুখে এমন তিরস্কারমূলক কথা শুনতে শুনতে যেন তিথি বিরক্ত।
আবার জাবেদের যুক্তির কাছে এসে যেন খৈই হারিয়ে ফেলে ইশা। হবু শ্বাশুড়ির কাছে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনিও অহংকারের সাথে জানায় এমন ভুড়িওয়ালা পেট দশ গ্রামে কারও আছে নাকি।
গল্প সম্পর্কে রাজীব মণি দাস বলেন, ‘শুধু গল্প বলাই একজন নাট্যকারের মূল কাজ নয়, গল্পের ভিতরে আনন্দ, বেদনা, ব্যর্থতার বিপরীতে সফলতা আনয়নের কলা-কৌশল এবং পরিশেষে বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ গঠনে মেসেজও দিতে হয়। ভুড়ির অহংকার নাটকটি তেমনই একটি বিনোদনধর্মী নাটক। আশা করি দর্শক নিরাশ হবে না।’
নাটকগুলোর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে করছেন- আ.খ.ম. হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশরাফুল আশিষ, ফাহমিদা তৃষা, মাসুদ মহিউদ্দিন, সায়কা আহমেদ, মাসুদ রানা মিঠু, সুজাত শিমুল, কাজী রাজু, তারিক স্বপন, সারা জেরিন, ফরিদ হোসাইন, রিকি রাফাত প্রমুখ।
এমনি গল্পের নাটকগুলো ঈদে বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা গেছে।
রাজীব মণি দাস
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
কথাসাহিত্যিক, গীতিকবি ও নাট্যকার রাজীব মণি দাসের রচনায় ঈদ-উল-আযহায় আসছে ৫ নাটক। এর মধ্যে ৪টি একক নাটক, অপরটি ৭ পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘গণক’। একক নাটকগুলো হলো- ‘ভুড়ির অহংকার’, ‘সম্পত্তি ভাগ’, ‘জামাই শ্বশুর জুয়াড়ি’, ‘একান্নবর্তী ঈদ’।
এর মধ্যে বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘গণক’ গল্পে দেখা যায়Ñ গ্রামের গরিব সহজ-সরল দম্পতি আমির ও আসমা। আমির ক্ষীণ স্মরণশক্তি ও বোকা স্বভাবের কারণে কোনো কাজই সে ঠিকমত করতে পারে না। আসমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। সুন্দরী হওয়ায় সমাজের কুরুচিপূর্ণ পুরুষের দৃষ্টি পড়ে তার দিকে।
গ্রামের বিত্তবান মুন্সি বাড়িতে স্বর্ণের গয়না চুরি হয়। সন্দেহ করে আসমাকে, কারণ এই বাড়ির মধ্যে একমাত্র আসমাই ছুটা বুয়ার কাজ করে। আসমাকে আসামির মতো গ্রেফতার করে মুন্সি বাড়ির লোকজন। আসমা চুরি করেনি একথা সে বার বার বললেও তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না।
আসমা সবাইকে বলে তার স্বামী জ্বীন চালান দিয়ে গণনা করে প্রকৃত চোরকে ধরিয়ে দিতে পারবে। জ্বীন চালানের মাধ্যমে বোকা আমির আসল চোর কালামকে ধরিয়ে দেয়, সেইটা আট-দশ গ্রামে রটে যায়। সেই থেকে বোকা আমির গণক হিসেবে সুপরিচিতি পায়।
‘গণক’ গল্প প্রসঙ্গে নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘একটি ক্ষীণ স্মরণশক্তি মানুষ কিভাবে নিজের জ্ঞান গন্ডিকে ৩৬০ ডিগ্রি ডিঙিয়ে গণক হয়ে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে, তা দেখে অনেকেই অবাক হয়। আসলে সমাজের একজন মানুষকে অবহেলা করা ঠিক নয় সে যেই শ্রেণিরই হোক।’
‘সবার চোখে সরল মানুষও একদিন নিজ কর্মগুণে পাহাড়ের চুড়ায় পৌঁছাতে পারে, তারই উদাহরণ গণক আখম হাসান,’- যোগ করেন তিনি।
এছাড়া ‘ভুড়ির অহংকার’ নাটকটি একটু ভিন্ন ধাচের। একটা মানুষ খায়, তাই বলে এতো বেশি খায় সেইটা কল্পনাকেও হার মানায়। আবার খাইতে খাইতে পেট হয়ে গেছে বিশালাকৃতির তিমি মাছের পেটের মতো। আবার সেই ভুড়িওয়ালা পেট নিয়ে ছেলে জাবেদ যেমন অহংকার করে, তেমনি মা-ও অহংকার করতে থাকে। এই নিয়ে গ্রামের মানুষ হাসাহাসি করে। জাবেদের প্রেমিকা ইশা নিজ প্রেমিক সম্পর্কে মানুষের মুখে এমন তিরস্কারমূলক কথা শুনতে শুনতে যেন তিথি বিরক্ত।
আবার জাবেদের যুক্তির কাছে এসে যেন খৈই হারিয়ে ফেলে ইশা। হবু শ্বাশুড়ির কাছে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনিও অহংকারের সাথে জানায় এমন ভুড়িওয়ালা পেট দশ গ্রামে কারও আছে নাকি।
গল্প সম্পর্কে রাজীব মণি দাস বলেন, ‘শুধু গল্প বলাই একজন নাট্যকারের মূল কাজ নয়, গল্পের ভিতরে আনন্দ, বেদনা, ব্যর্থতার বিপরীতে সফলতা আনয়নের কলা-কৌশল এবং পরিশেষে বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ গঠনে মেসেজও দিতে হয়। ভুড়ির অহংকার নাটকটি তেমনই একটি বিনোদনধর্মী নাটক। আশা করি দর্শক নিরাশ হবে না।’
নাটকগুলোর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে করছেন- আ.খ.ম. হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশরাফুল আশিষ, ফাহমিদা তৃষা, মাসুদ মহিউদ্দিন, সায়কা আহমেদ, মাসুদ রানা মিঠু, সুজাত শিমুল, কাজী রাজু, তারিক স্বপন, সারা জেরিন, ফরিদ হোসাইন, রিকি রাফাত প্রমুখ।
এমনি গল্পের নাটকগুলো ঈদে বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা গেছে।