সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গত ১৯ মে ঢাকার ডেমরা থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার নামে; অভিযুক্ত একজন নারীকে সাত মাস ধরে বাসায় আটকে রাখার ও অনৈতিক, সহিংস আচরণ করার অভিযোগে ২০ মে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে; ২১ মে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় নোবেলকে। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা ইডেন মহিলা কলেজের সেই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গত বৃহস্পতিবার কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের বিয়ে হয়েছে। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বুধবার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে নোবেলের কাবিনমূলে বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার আসামি নোবেলের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে এ বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবহিত করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেয়া হয়। এ সময় ওই ছাত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ওই শিক্ষার্থী। মামলা দায়েরের পরই নোবেলকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ দিকে মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে ডেমরা থানাধীন তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর কয়েকজন আসামির সহায়তায় আটকে রাখে। সেদিন রাত অনুমান ৮টার সময় ওই ছাত্রীর মোবাইল নিয়ে নেয়। সে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য নোবেলকে মোবাইল ফেরত দিতে বললে নোবেল ২৬ হাজার টাকার রেডমি-১০ প্রো মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। এরপর নোবেল তার বসতঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে মর্মে বলে জানায়। তাই বাদী আসামির ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। এরপর আসামি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় বাদীকে মারধর করতো। আসামি তার সহযোগী অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের সহায়তায় বাদীকে চুলের মুটি ধরে টানাহেচড়া করে অন্য একটি কক্ষে আটক করে রাখে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীর বাবা-মা বাদীকে চিনতে পারে। এরপর বাদীর বাবা-মা তাকে খোঁজাখুঁজি করা অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাঢ ডেমরা থানায় অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গত ১৯ মে ঢাকার ডেমরা থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার নামে; অভিযুক্ত একজন নারীকে সাত মাস ধরে বাসায় আটকে রাখার ও অনৈতিক, সহিংস আচরণ করার অভিযোগে ২০ মে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে; ২১ মে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় নোবেলকে। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা ইডেন মহিলা কলেজের সেই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গত বৃহস্পতিবার কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের বিয়ে হয়েছে। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বুধবার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে নোবেলের কাবিনমূলে বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার আসামি নোবেলের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে এ বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবহিত করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেয়া হয়। এ সময় ওই ছাত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ওই শিক্ষার্থী। মামলা দায়েরের পরই নোবেলকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ দিকে মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে ডেমরা থানাধীন তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর কয়েকজন আসামির সহায়তায় আটকে রাখে। সেদিন রাত অনুমান ৮টার সময় ওই ছাত্রীর মোবাইল নিয়ে নেয়। সে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য নোবেলকে মোবাইল ফেরত দিতে বললে নোবেল ২৬ হাজার টাকার রেডমি-১০ প্রো মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। এরপর নোবেল তার বসতঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে মর্মে বলে জানায়। তাই বাদী আসামির ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। এরপর আসামি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় বাদীকে মারধর করতো। আসামি তার সহযোগী অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের সহায়তায় বাদীকে চুলের মুটি ধরে টানাহেচড়া করে অন্য একটি কক্ষে আটক করে রাখে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীর বাবা-মা বাদীকে চিনতে পারে। এরপর বাদীর বাবা-মা তাকে খোঁজাখুঁজি করা অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাঢ ডেমরা থানায় অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।