সোলো
সোলো এসেছেন বাংলাদেশে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দেখা যাবে তার পরিবেশনায় ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’।
জীবনের একটা সময় পথই ছিল সলোর ঠিকানা, পানি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন; সেখান থেকে নাচতে নাচতেই উঠে এসেছেন বিশ্বমঞ্চে মালির নৃত্যশিল্পী সুলেমান সানোগো। নিজের জীবন গল্প বলতে শরণ নিয়েছেন নাচের; শরীরী ভাষা আর অভিব্যক্তির প্রকাশে মঞ্চের আলোয় সংগ্রামের ছবি এঁকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন ‘সোলো’ নামে।
সোলোর জীবনের গল্প শুনে লেখক-নাট্যকার জঁ-লুই সাগো-ডিভারো তার জীবনকে ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’ নামে সূচিত করে অনূদিত করেছেন নৃত্যনাট্যে। এ পরিবেশনা মূলত জীবনের কঠিন সময় থেকে মুক্তির কথা বলে; আফ্রিকান প্রথাগত নাচের ঢঙে তা তুলে এনেছেন সোলো।
এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ বারের বেশি মঞ্চায়িত হয়েছে ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’। অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার আয়োজনে ঢাকায় শিল্পকলার মঞ্চে সেই নাচ পরিবেশন করবেন সোলো।
১৯৮৮ সালে মালির নিভৃত গ্রাম সোমাদোগোয় সুলেমান সানোগোর জন্ম; সেখান শৈশব কেটেছে দাদির কাছে। ২০০১ সালে দাদির মৃত্যুর পর বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে বাধ্য হন। অভাবে নিজের পরিবারে টিকতে না পেরে ১৫ বছর বয়সে তিনি বামকো শহরে পাড়ি জমান।
হাতে তখন কানাকড়িও নেই; খাবার জোগাড় করতে রাস্তায় রাস্তায় পানির বোতল বিক্রি শুরু করলেন। তাতে পুরো মাসে মিলত ছয়শ টাকার মত। ওই দিয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা ছিল কষ্টকর। তার পরেও ভেবেছিলেন কিছু টাকা জমিয়ে গ্রামে ফিরে যাবেন। তবে কুলাতে পারছিলেন না। তখন রাস্তার পাশেই ঘুমাতেন তিনি।
ওই অবস্থায় হাইতির কোরিওগ্রাফার কেটি নোয়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নোয়েলের এক বন্ধু গৃহহীনদের সহায়তা করতেন; সেই সুবাদেই নোয়েলের সঙ্গে সোলোর কথা হয়। সোলোকে তিনি নাচের স্কুলে নিয়ে যান। নাচ নিয়ে কোনো ধারণা তখন সলোর ছিল না। কিন্তু নাচই তার জীবন বদলে দেয়।
আপন আঙিনা ছাড়িয়ে নাচের ভুবনে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন সরেঅ। নাচ নিয়েই এখন ঘুরে চলেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। নাচের ছন্দে নিজের জীবনে ছন্দ ফেরানোর পর সোলো ফিরেছিলেন সেই পথে, যেখান থেকে তিনি উঠে এসেছেন। সেখানকার পথশিশুদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। সোলো বিশ্বাস করেন, শিল্পকলা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।
সোলো
শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সোলো এসেছেন বাংলাদেশে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দেখা যাবে তার পরিবেশনায় ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’।
জীবনের একটা সময় পথই ছিল সলোর ঠিকানা, পানি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন; সেখান থেকে নাচতে নাচতেই উঠে এসেছেন বিশ্বমঞ্চে মালির নৃত্যশিল্পী সুলেমান সানোগো। নিজের জীবন গল্প বলতে শরণ নিয়েছেন নাচের; শরীরী ভাষা আর অভিব্যক্তির প্রকাশে মঞ্চের আলোয় সংগ্রামের ছবি এঁকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন ‘সোলো’ নামে।
সোলোর জীবনের গল্প শুনে লেখক-নাট্যকার জঁ-লুই সাগো-ডিভারো তার জীবনকে ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’ নামে সূচিত করে অনূদিত করেছেন নৃত্যনাট্যে। এ পরিবেশনা মূলত জীবনের কঠিন সময় থেকে মুক্তির কথা বলে; আফ্রিকান প্রথাগত নাচের ঢঙে তা তুলে এনেছেন সোলো।
এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ বারের বেশি মঞ্চায়িত হয়েছে ‘নাচ অথবা নৈরাজ্য’। অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার আয়োজনে ঢাকায় শিল্পকলার মঞ্চে সেই নাচ পরিবেশন করবেন সোলো।
১৯৮৮ সালে মালির নিভৃত গ্রাম সোমাদোগোয় সুলেমান সানোগোর জন্ম; সেখান শৈশব কেটেছে দাদির কাছে। ২০০১ সালে দাদির মৃত্যুর পর বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে বাধ্য হন। অভাবে নিজের পরিবারে টিকতে না পেরে ১৫ বছর বয়সে তিনি বামকো শহরে পাড়ি জমান।
হাতে তখন কানাকড়িও নেই; খাবার জোগাড় করতে রাস্তায় রাস্তায় পানির বোতল বিক্রি শুরু করলেন। তাতে পুরো মাসে মিলত ছয়শ টাকার মত। ওই দিয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা ছিল কষ্টকর। তার পরেও ভেবেছিলেন কিছু টাকা জমিয়ে গ্রামে ফিরে যাবেন। তবে কুলাতে পারছিলেন না। তখন রাস্তার পাশেই ঘুমাতেন তিনি।
ওই অবস্থায় হাইতির কোরিওগ্রাফার কেটি নোয়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নোয়েলের এক বন্ধু গৃহহীনদের সহায়তা করতেন; সেই সুবাদেই নোয়েলের সঙ্গে সোলোর কথা হয়। সোলোকে তিনি নাচের স্কুলে নিয়ে যান। নাচ নিয়ে কোনো ধারণা তখন সলোর ছিল না। কিন্তু নাচই তার জীবন বদলে দেয়।
আপন আঙিনা ছাড়িয়ে নাচের ভুবনে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন সরেঅ। নাচ নিয়েই এখন ঘুরে চলেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। নাচের ছন্দে নিজের জীবনে ছন্দ ফেরানোর পর সোলো ফিরেছিলেন সেই পথে, যেখান থেকে তিনি উঠে এসেছেন। সেখানকার পথশিশুদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। সোলো বিশ্বাস করেন, শিল্পকলা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।