যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ওইদিন পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) লন্ডনের শেফিল্ডে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম মোহিদ আলী মিঠুর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খালেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শেফিল্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজমূল হক বাবলু।
এম মোহিদ আলী মিঠু বলেন, ‘ঘাতকরা নারী ও শিশুদেরকেও ছাড় দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে রেহাই দেয়নি।’
বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি।
যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর মনে হয়েছিল- একটা পরিবারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। একদিকে হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ। বোঝানো হয়েছিল, এটি একটি পরিবার কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। আড়াই মাস পর জেল হত্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, সেটা তারা চাননি।’
‘আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তিনি হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেন। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন খালেদা জিয়া। খালেদা ও এরশাদ দুইজন মিলে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনেন। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করেন তারেক রহমান’, বলেন এম মোহিদ আলী মিঠু।
এম মোহিদ আলী মিঠু বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। বাংলাদেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু করতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. নছিব আলী, হাজী মো. মোবারক আলী, জিতু মিয়া, আলাউর রহমান উজ্জ্বল, শাহ্ হুমায়ুন কবির, নাজমূল হক বাবুল, আবাবুর রহমান মিরন, হাজী মো. ওয়াহিদ আলী, মতিউর রহমান শাহীন, সফিকুর রহমানসহ আরো অনেকে।
সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ওইদিন পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) লন্ডনের শেফিল্ডে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম মোহিদ আলী মিঠুর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খালেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শেফিল্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজমূল হক বাবলু।
এম মোহিদ আলী মিঠু বলেন, ‘ঘাতকরা নারী ও শিশুদেরকেও ছাড় দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে রেহাই দেয়নি।’
বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি।
যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর মনে হয়েছিল- একটা পরিবারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। একদিকে হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ। বোঝানো হয়েছিল, এটি একটি পরিবার কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। আড়াই মাস পর জেল হত্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, সেটা তারা চাননি।’
‘আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তিনি হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেন। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন খালেদা জিয়া। খালেদা ও এরশাদ দুইজন মিলে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনেন। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করেন তারেক রহমান’, বলেন এম মোহিদ আলী মিঠু।
এম মোহিদ আলী মিঠু বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। বাংলাদেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু করতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. নছিব আলী, হাজী মো. মোবারক আলী, জিতু মিয়া, আলাউর রহমান উজ্জ্বল, শাহ্ হুমায়ুন কবির, নাজমূল হক বাবুল, আবাবুর রহমান মিরন, হাজী মো. ওয়াহিদ আলী, মতিউর রহমান শাহীন, সফিকুর রহমানসহ আরো অনেকে।