alt

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ অপরাধী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়ের মরদেহ কুয়ালালামপুরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

একাধিক সূত্র জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুর পুলিশ একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জয় এত দিন তারেক রানা পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তবে বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।

সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে জয় কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হতো। গত ১২ এপ্রিল সকালে তার গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিং বেল বাজানোর পরও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে থানাকে অবহিত করেন। পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইউকেএম হাসপাতালে পাঠায়।

এই সম্পর্কে পুলিশের হেডকোয়াটার ইন্টারপোল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী হায়দার চৌধুরী গতকাল রাতে সংবাদকে জানান, তারা ঘটনাটি শুনেছেন, তবে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তারপরও খররটি যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে ।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করতে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নব্বইয়ের দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত-হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকা- শুরু করেন।

সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকান্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, মারাত্মক জখম ও চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হন জয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখান থেকে তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। পরবর্তীতে আবার ভারতে ফিরে আসেন।

ভারতে থাকাকালে তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল জয়ের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে।

২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় নতুন করে তার নাম আসে। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গুলির ঘটনায়ও জয়ের সম্পৃক্ততা ছিল। ওই বছর তিনি সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এবং কিছু দিন জেল খেটে বেরিয়ে কানাডায় চলে যান।

কানাডায় জয় ‘এসজে ৭১’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সেখানে রানা অ্যাজাক্স নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ২০১৫ সালে কানাডা পুলিশ তার ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে।

২০১৯ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস করে আসছিলেন।

ছবি

ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান বিএসপি চেয়ারম্যানের

ছবি

প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান

ছবি

কলকাতায় উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

ছবি

নিউইয়র্কের সড়কে বাংলাদেশি দম্পতির মৃত্যু, আশঙ্কাজনক মেয়ে

ছবি

২১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ফ্রান্স, কমিউনিটিতে ক্ষোভ

ছবি

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৫৬০

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশি নিহত

ছবি

জাতিসংঘের তিন সংস্থার বোর্ড সভাপতি হলেন বাংলাদেশের মুহিত

ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু

ছবি

মালয়েশিয়ায় ২৫২ জন বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ অভিবাসী আটক

ছবি

দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি

ছবি

আমিরাতে সড়কে প্রাণ ঝরলো বাংলাদেশি তরুণের

ছবি

ইতালিতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ছবি

৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

ছবি

৯৬৮ অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে লিবিয়া

ছবি

মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি নিহত

ছবি

আয়ারল্যান্ডে প্রথম বারের মতো বাংলা সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

ইতালিতে অ্যাসাইলাম আবেদনে নতুন আইন

ছবি

ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

ছবি

জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে নারিতার রানওয়েতে বিমানকে অভ্যর্থনা

ছবি

নিউইয়র্কের শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার দাবীতে তিনদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী

ছবি

যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের শোক দিবস পালন

ছবি

পাকিস্তানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

ছবি

ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু, আহত ৫

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে ফের বাংলাদেশি নিহত

ছবি

বাংলাদেশের আম্রপালির স্বাদে মোহিত স্পেন

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউকের নতুন কমিটি গঠন

ছবি

বাংলাদেশি বন্ধুকে খুন, ৮ বছর পালিয়ে থাকার পর বিচারের মুখে যুবক

ছবি

মালয়েশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু

এবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ সন্ত্রাসী হামলার শিকার

ছবি

নিউইয়র্কে দু’দিনব্যাপী ‘উত্তর আমেরিকা রবীন্দ্র উৎসব’

দেশে ফিরিয়ে না আনলে আত্মহত্যার হুমকি

ছবি

‘সুদিনের স্বপ্ন’ ফেলে আতঙ্ক পেরিয়ে অনিশ্চিতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় মেশিনে আটকে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

tab

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ অপরাধী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়ের মরদেহ কুয়ালালামপুরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

একাধিক সূত্র জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুর পুলিশ একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জয় এত দিন তারেক রানা পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তবে বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।

সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে জয় কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হতো। গত ১২ এপ্রিল সকালে তার গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিং বেল বাজানোর পরও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে থানাকে অবহিত করেন। পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইউকেএম হাসপাতালে পাঠায়।

এই সম্পর্কে পুলিশের হেডকোয়াটার ইন্টারপোল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী হায়দার চৌধুরী গতকাল রাতে সংবাদকে জানান, তারা ঘটনাটি শুনেছেন, তবে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তারপরও খররটি যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে ।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করতে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নব্বইয়ের দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত-হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকা- শুরু করেন।

সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকান্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, মারাত্মক জখম ও চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হন জয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখান থেকে তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। পরবর্তীতে আবার ভারতে ফিরে আসেন।

ভারতে থাকাকালে তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল জয়ের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে।

২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় নতুন করে তার নাম আসে। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গুলির ঘটনায়ও জয়ের সম্পৃক্ততা ছিল। ওই বছর তিনি সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এবং কিছু দিন জেল খেটে বেরিয়ে কানাডায় চলে যান।

কানাডায় জয় ‘এসজে ৭১’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সেখানে রানা অ্যাজাক্স নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ২০১৫ সালে কানাডা পুলিশ তার ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে।

২০১৯ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস করে আসছিলেন।

back to top