alt

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ার দেরনায় ভয়াবহ বন্যায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু

ক্ষোভে মেয়রের বাড়িতে আগুন দিলেন সাধারণ মানুষ

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভয়াবহ বন্যায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেরনা শহরের মেয়রের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গত ১২ সেপ্টেম্বর দেরনায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে দু’টি বাঁধ ধসে পড়ে। এরপর সেই বাঁধের পানি শহরের দিকে নেমে আসে। তখন সেখানে সুনামির মতো বন্যার সৃষ্টি হয়।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, স্থানীয় মেয়র ও পৌরসভার অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এত মানুষের প্রাণ গেছে। আর ভয়াবহ বন্যা আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শহরটির বহিষ্কৃত মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতির বাড়ির সামনে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। তারা দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে স্লোগান দেন।

এরপর এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা মেয়রের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সরকারের মন্ত্রী হিকেম আবু চাকিওয়াত বলেছেন, মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘাইতির বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া পূর্ব লিবিয়ার স্বঘোষিত সরকারের সংসদের প্রধান আগুইলা সালেহর বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা বিখ্যাত সাহাবা মসজিদের সামনে জড়ো হন। এ সময় অনেককে স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘আগুইলা তোমাকে আমরা চাই না। লিবিয়ার সবাই ভাই ভাই।’ তারা একক ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনার দাবি জানান।

লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। তার সেই হত্যাকাণ্ডের পর গৃহযুদ্ধের ভেতর পড়ে যায় লিবিয়া। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চলে একটি ও পূর্বাঞ্চলে অপর একটি স্বঘোষিত সরকার লিবিয়াকে শাসন করছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, যদি ওই বাঁধ দু’টি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো তাহলে হয়ত এত মানুষের মৃত্যু হতো না।

এদিকে লিবিয়ার রেড ক্রসের তথ্য অনুযায়ী, ভয়াবহ এ বন্যায় ১১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১১ হাজারেরও বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ

ছবি

যেভাবে শাটডাউন এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ভারতে ট্যুরিস্ট বাস খাদে পড়ে নিহত ৮

ছবি

জার্মানিতে অভিবাসন নীতি নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ

ছবি

বাংলাদেশ-জাপান ১৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই

ছবি

শাটডাউনের মুখ থেকে বেঁচে গেলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট ‘ভারতবিরোধী’ নেতা মোহামেদ মুইজ্জু

ছবি

বাস্তবায়নের পথে সৌদি-ইসরায়েল চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দখলকৃত যে ৪ অঞ্চল পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি পুতিনের

ছবি

ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্কটল্যান্ডের গুরুদুয়ারায় ঢুকতে বাধা

ছবি

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এক বছরে কর্মসংস্থান বেড়েছে

ছবি

জেলে ফিলিস্তিনির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, নারী গার্ডদের সরাবে ইসরায়েল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন আসন্ন, বন্ধ হতে পারে ৪০ লাখ কর্মীর বেতন

ছবি

কানাডার সঙ্গে বিরোধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে : জয়শঙ্কর

ছবি

পশ্চিমবঙ্গে দেয়াল ধসে তিন শিশুর মৃত্যু

ছবি

নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ সেপ্টেম্বর দেখল ইউরোপ

ছবি

ভারী বর্ষণে নিউ ইয়র্কে বন্যা : জরুরি অবস্থা জারি

ছবি

পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা

ছবি

বিশ্ব শান্তি-উন্নয়নে ইউনেসকোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় চীন

ছবি

খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধরতে ৬ রাজ্যে অভিযান ভারতের

ছবি

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’র বোর্ড অব গভর্নর্সের সদস্য হলো বাংলাদেশ

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে সংবিধানে পরিবর্তন আনলো উ. কোরিয়া

ছবি

পাকিস্তানে আরেক মসজিদ বোমা হামলায় নিহত ৪

ছবি

আবারও যুদ্ধের ময়দানে ওয়াগনার সেনারা

ছবি

কানাডীয় তদন্তে সহায়তায় ভারতকে আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

ছবি

১ অক্টোবর থেকে মণিপুরে সেনাশাসন জারি

ছবি

শরণার্থী সংকটের মাঝে বোঝাপড়ার পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কোর্ট বেকায়দায় পড়ে গেছে : দুদু

ছবি

পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে বোমা হামলা, নিহত ৩৪

ছবি

চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে ২৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

ছবি

নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক মেনে নিতে হবে : বাইডেন

ছবি

নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, শিক্ষকসহ নিহত ৩

ছবি

বাংলাদেশের যে কাউকেই প্রয়োজন অনুসারে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

tab

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ার দেরনায় ভয়াবহ বন্যায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু

ক্ষোভে মেয়রের বাড়িতে আগুন দিলেন সাধারণ মানুষ

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভয়াবহ বন্যায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেরনা শহরের মেয়রের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গত ১২ সেপ্টেম্বর দেরনায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে দু’টি বাঁধ ধসে পড়ে। এরপর সেই বাঁধের পানি শহরের দিকে নেমে আসে। তখন সেখানে সুনামির মতো বন্যার সৃষ্টি হয়।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, স্থানীয় মেয়র ও পৌরসভার অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এত মানুষের প্রাণ গেছে। আর ভয়াবহ বন্যা আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শহরটির বহিষ্কৃত মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতির বাড়ির সামনে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। তারা দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে স্লোগান দেন।

এরপর এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা মেয়রের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সরকারের মন্ত্রী হিকেম আবু চাকিওয়াত বলেছেন, মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘাইতির বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া পূর্ব লিবিয়ার স্বঘোষিত সরকারের সংসদের প্রধান আগুইলা সালেহর বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা বিখ্যাত সাহাবা মসজিদের সামনে জড়ো হন। এ সময় অনেককে স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘আগুইলা তোমাকে আমরা চাই না। লিবিয়ার সবাই ভাই ভাই।’ তারা একক ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনার দাবি জানান।

লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। তার সেই হত্যাকাণ্ডের পর গৃহযুদ্ধের ভেতর পড়ে যায় লিবিয়া। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চলে একটি ও পূর্বাঞ্চলে অপর একটি স্বঘোষিত সরকার লিবিয়াকে শাসন করছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, যদি ওই বাঁধ দু’টি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো তাহলে হয়ত এত মানুষের মৃত্যু হতো না।

এদিকে লিবিয়ার রেড ক্রসের তথ্য অনুযায়ী, ভয়াবহ এ বন্যায় ১১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

back to top