রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের প্রায় ২ বছরে ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য হারিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাবেক উপদেষ্টা অ্যালেক্সেই অ্যারেস্তোভিচ এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
রুশ সংবাদ মাধ্যম আরটি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানানোর পাশপাশি ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো গড়িমসি মনোভাবের সমালোচনাও করেছেন জেলেনস্কির সাবেক এই উপদেষ্টা।
অ্যারেস্তোভিচ বলেন, ‘কোথায় নেটো? তারা কি আদৌ আমাদের গ্রহণ করবে? গত ২ বছরের যুদ্ধে আমাদের ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের মৃত্যু হয়েছেৃআর কত ক্ষয়ক্ষতির পর আমরা (ন্যাটোর) সদস্যপদ পাবো?’
মিনস্ক চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ বছর পেরোনোর পরও ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখ- হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সেই অভিযান এখনও চলছে এবং গত দুই বছরের যুদ্ধে লাখ লাখ সেনা সদস্যের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক লোকজনও। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য গত বছর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপের আয়োজন করেছিল তুরস্ক। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। ইউক্রেনের এমপি ডেভিড আরখামিয়া সম্প্রতি সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দায়ী করেছেন।
সাক্ষাৎকারে পরোক্ষভাবে ডেভিড আরখামিয়াকে সমর্থন করেছেন অ্যারেস্টোভিচ। তিনি বলেন, ‘সেই শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আমিও ছিলাম। সংলাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম, তা সঠিক ছিল না।’
এদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত এক লাখ ৭০ হাজার সেনা বাড়িয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীতে মোট সেনা সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ লাখের বেশি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে আনাদোলু এজেন্সি।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইট অনুসারে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসহ ২২ লাখ ৯ হাজার ১৩০ কর্মকর্তার একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন পুতিন। স্বাক্ষর হওয়ার দিন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের প্রায় ২ বছরে ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য হারিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাবেক উপদেষ্টা অ্যালেক্সেই অ্যারেস্তোভিচ এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
রুশ সংবাদ মাধ্যম আরটি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানানোর পাশপাশি ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো গড়িমসি মনোভাবের সমালোচনাও করেছেন জেলেনস্কির সাবেক এই উপদেষ্টা।
অ্যারেস্তোভিচ বলেন, ‘কোথায় নেটো? তারা কি আদৌ আমাদের গ্রহণ করবে? গত ২ বছরের যুদ্ধে আমাদের ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের মৃত্যু হয়েছেৃআর কত ক্ষয়ক্ষতির পর আমরা (ন্যাটোর) সদস্যপদ পাবো?’
মিনস্ক চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ বছর পেরোনোর পরও ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখ- হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদ্বিরের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সেই অভিযান এখনও চলছে এবং গত দুই বছরের যুদ্ধে লাখ লাখ সেনা সদস্যের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক লোকজনও। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য গত বছর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপের আয়োজন করেছিল তুরস্ক। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। ইউক্রেনের এমপি ডেভিড আরখামিয়া সম্প্রতি সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দায়ী করেছেন।
সাক্ষাৎকারে পরোক্ষভাবে ডেভিড আরখামিয়াকে সমর্থন করেছেন অ্যারেস্টোভিচ। তিনি বলেন, ‘সেই শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আমিও ছিলাম। সংলাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম, তা সঠিক ছিল না।’
এদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত এক লাখ ৭০ হাজার সেনা বাড়িয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীতে মোট সেনা সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ লাখের বেশি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে আনাদোলু এজেন্সি।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইট অনুসারে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসহ ২২ লাখ ৯ হাজার ১৩০ কর্মকর্তার একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন পুতিন। স্বাক্ষর হওয়ার দিন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।