চলতি বছরের শুরুর দিকে ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটজিপিটি নিয়ে এসে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকস গত এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এআইয়ের কারণে ৩০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মী সরিয়ে নেওয়া হলেও চ্যাটজিপিটি ও একই ধরনের জেনারেটিভ এআইগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধি করতে পারে।
অনেকের ধারণা, রেস্তোরাঁয় রোবট, কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিন এআই-সম্পর্কিত চাকরি হারানোর প্রথম তরঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করবে। অনেক কর্মী হয়তো বিশ্বাস করেছেন যে ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় বার্গার-ফ্লিপিং রোবট বা কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিনগুলো এআইয়ের কারণে কর্মীদের চাকরি হারানোর প্রথম ধাপের প্রতিনিধিত্ব করবে।
বর্তমানে এর গতি হালকা হলেও এআইয়ের বিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। আর এর কারণে দীর্ঘকাল ধরে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত চাকরিগুলো প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত হুমকির মুখে পড়তে পারে। এর আওতায় সৃজনশীল কাজগুলোও আছে। অনেকের ধারণা বিপণন, সংগীত ও গ্রাফিক ডিজাইনের মতো কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করা কঠিন হবে। কিন্তু এআইয়ের বিবর্তনে এই কাজগুলোও হুমকির মুখে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো মার্ক মুরো প্রযুক্তি, মানুষ ও স্থানের আন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন, গবেষকেরা বলছেন, এআইয়ের রেখা ঊর্ধ্বমুখী। এর মানে হলো মানুষকে ঐতিহ্যগতভাবে উচ্চ স্তরের ভাবা হয়। কিন্তু এআইয়ের কারণে পেশাদার অবস্থানের এই কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছেন।
এআই এই উচ্চ স্তরের কাজগুলো দখল করে নেবে।
এর কারণ হলো জেনারেটিভ এআই টুলস ও প্রযুক্তি শিগগির আরও শক্তিশালী হবে। এক বছরে এআই যা করতে পেরেছে, তার আরও উন্নয়ন হচ্ছে। আর এ নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ মানুষেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এআই হয়তো এবার মার্কেটিং পরিকল্পনা, অনুসন্ধান কৌশল এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে করতে পারবে।
নতুন এ প্রযুক্তির একটি অংশ ইতিমধ্যে বাজারে আসছে। রোবটগুলোও এখন এআই সহকর্মীদের মতো কাজ করছে। যদিও মনে করার কারণ আছে, কর্মীদের জন্য এআই আশীর্বাদ হতে পারে। তবে এমনও কিছু কারণ আছে যে জ্ঞান-কর্মের অবস্থানে কর্মীদের তাদের দিকেই হয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে।
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
চলতি বছরের শুরুর দিকে ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটজিপিটি নিয়ে এসে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকস গত এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এআইয়ের কারণে ৩০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মী সরিয়ে নেওয়া হলেও চ্যাটজিপিটি ও একই ধরনের জেনারেটিভ এআইগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধি করতে পারে।
অনেকের ধারণা, রেস্তোরাঁয় রোবট, কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিন এআই-সম্পর্কিত চাকরি হারানোর প্রথম তরঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করবে। অনেক কর্মী হয়তো বিশ্বাস করেছেন যে ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় বার্গার-ফ্লিপিং রোবট বা কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিনগুলো এআইয়ের কারণে কর্মীদের চাকরি হারানোর প্রথম ধাপের প্রতিনিধিত্ব করবে।
বর্তমানে এর গতি হালকা হলেও এআইয়ের বিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। আর এর কারণে দীর্ঘকাল ধরে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত চাকরিগুলো প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত হুমকির মুখে পড়তে পারে। এর আওতায় সৃজনশীল কাজগুলোও আছে। অনেকের ধারণা বিপণন, সংগীত ও গ্রাফিক ডিজাইনের মতো কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করা কঠিন হবে। কিন্তু এআইয়ের বিবর্তনে এই কাজগুলোও হুমকির মুখে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো মার্ক মুরো প্রযুক্তি, মানুষ ও স্থানের আন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন, গবেষকেরা বলছেন, এআইয়ের রেখা ঊর্ধ্বমুখী। এর মানে হলো মানুষকে ঐতিহ্যগতভাবে উচ্চ স্তরের ভাবা হয়। কিন্তু এআইয়ের কারণে পেশাদার অবস্থানের এই কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছেন।
এআই এই উচ্চ স্তরের কাজগুলো দখল করে নেবে।
এর কারণ হলো জেনারেটিভ এআই টুলস ও প্রযুক্তি শিগগির আরও শক্তিশালী হবে। এক বছরে এআই যা করতে পেরেছে, তার আরও উন্নয়ন হচ্ছে। আর এ নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ মানুষেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এআই হয়তো এবার মার্কেটিং পরিকল্পনা, অনুসন্ধান কৌশল এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে করতে পারবে।
নতুন এ প্রযুক্তির একটি অংশ ইতিমধ্যে বাজারে আসছে। রোবটগুলোও এখন এআই সহকর্মীদের মতো কাজ করছে। যদিও মনে করার কারণ আছে, কর্মীদের জন্য এআই আশীর্বাদ হতে পারে। তবে এমনও কিছু কারণ আছে যে জ্ঞান-কর্মের অবস্থানে কর্মীদের তাদের দিকেই হয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে।