যুদ্ধবিরতি আগে উত্তর গাজা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে নিরাপদে থাকতে বলেছিল ইসরায়েল; এখন সেখানেই অসহায় মানুষের উপর বৃষ্টিরমত বোমা ফেলছে ইসরায়েলি বাহিনী। কোনও কিছুই তোয়াক্কা করছে না দেশটি। সেখানে শুরু করেছে স্থল অভিযান। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে দেখেছে স্থানীয়রা। আকাশ পথে হামলা হচ্ছে পুরো গাজাতেই। ফলে, গাজার কোথাও নিরাপদ থাকছে না অসহায় মানুষদের জন্য।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার একটি হাসপাতালে আহতদের পাশে দাড়িয়ে পরিস্থিরির ভয়াবহতা বর্ণনা করছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের হাসপাতালটির প্রাথমিক সেবা কেন্দ্রের পাশে ইসরায়েলি বোমাহামলায় শিশুটি আহত হয়েছে। হাসপাতালের স্টাফরা টানা ৩৬ ঘন্টা ধরে ডিউটি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। জেমস এল্ডার বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না।’
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকে নজরে দিতে আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজায় এমন কোনও ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় যা উত্তর গাজায় হয়েছিল।
গাজার উত্তরাঞ্চলে সোমবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। দুটো স্কুলভবনে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা।
দক্ষিণ গাজার আরও ভেতরের দিকে এগিয়ে চলেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) । ফিলিস্তিনের পুরো এলাকায় হামাস কেন্দ্রগুলোর ওপর হামলা চালাতে তারা স্থলঅভিযানের আওতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে।
স্যোশাল মিডিয়ায় এবং লিফলেট ছড়িয়ে দক্ষিণের এলাকাগুলো থেকেও এখন লোকজনকে সরে যেতে বলছে ইসরায়েল। খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বের একটি এলাকা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। কাছেই গাজার উত্তর-দক্ষিণের একটি মূল সড়ক থেকেও লোকজনকে সরতে বলা হচ্ছে।
কিন্তু ইসরায়েলের হামলায় রোববার থেকে ৩৪৯ জন মারা গেছে বলে হিসাব দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরে গাজায় হামলার শুরু থেকে মানুষ নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৯৯ জনে।
সোমবার সকালের দিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদেরকে গাজার মূল দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী খান ইউনিসের কয়েকটি এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে। কিন্তু অধিবাসীরা বলছে, তাদেরকে যে এলাকায় সরে যেতে বলা হয়েছে সেখানেও গোলা পড়ছে।
মরিয়া গাজাবাসীরা তলপি-তলপা নিয়ে রাফার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বেশির ভাগই পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ এর প্রধান বলেছেন, রাফায় অবস্থান করা ফিলিস্তিনিরাও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে বলেন, মানুষজন কোথায় গেলে নিরাপদে থাকতে পারবে সে ব্যাপারে পরামর্শের জন্য মিনতি করছে। কিন্তু আমার তাদেরকে কিছুই বলার নেই।”
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
যুদ্ধবিরতি আগে উত্তর গাজা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে নিরাপদে থাকতে বলেছিল ইসরায়েল; এখন সেখানেই অসহায় মানুষের উপর বৃষ্টিরমত বোমা ফেলছে ইসরায়েলি বাহিনী। কোনও কিছুই তোয়াক্কা করছে না দেশটি। সেখানে শুরু করেছে স্থল অভিযান। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে দেখেছে স্থানীয়রা। আকাশ পথে হামলা হচ্ছে পুরো গাজাতেই। ফলে, গাজার কোথাও নিরাপদ থাকছে না অসহায় মানুষদের জন্য।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার একটি হাসপাতালে আহতদের পাশে দাড়িয়ে পরিস্থিরির ভয়াবহতা বর্ণনা করছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের হাসপাতালটির প্রাথমিক সেবা কেন্দ্রের পাশে ইসরায়েলি বোমাহামলায় শিশুটি আহত হয়েছে। হাসপাতালের স্টাফরা টানা ৩৬ ঘন্টা ধরে ডিউটি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। জেমস এল্ডার বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না।’
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকে নজরে দিতে আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজায় এমন কোনও ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় যা উত্তর গাজায় হয়েছিল।
গাজার উত্তরাঞ্চলে সোমবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। দুটো স্কুলভবনে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা।
দক্ষিণ গাজার আরও ভেতরের দিকে এগিয়ে চলেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) । ফিলিস্তিনের পুরো এলাকায় হামাস কেন্দ্রগুলোর ওপর হামলা চালাতে তারা স্থলঅভিযানের আওতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে।
স্যোশাল মিডিয়ায় এবং লিফলেট ছড়িয়ে দক্ষিণের এলাকাগুলো থেকেও এখন লোকজনকে সরে যেতে বলছে ইসরায়েল। খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বের একটি এলাকা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। কাছেই গাজার উত্তর-দক্ষিণের একটি মূল সড়ক থেকেও লোকজনকে সরতে বলা হচ্ছে।
কিন্তু ইসরায়েলের হামলায় রোববার থেকে ৩৪৯ জন মারা গেছে বলে হিসাব দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরে গাজায় হামলার শুরু থেকে মানুষ নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৯৯ জনে।
সোমবার সকালের দিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদেরকে গাজার মূল দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী খান ইউনিসের কয়েকটি এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে। কিন্তু অধিবাসীরা বলছে, তাদেরকে যে এলাকায় সরে যেতে বলা হয়েছে সেখানেও গোলা পড়ছে।
মরিয়া গাজাবাসীরা তলপি-তলপা নিয়ে রাফার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বেশির ভাগই পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ এর প্রধান বলেছেন, রাফায় অবস্থান করা ফিলিস্তিনিরাও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে বলেন, মানুষজন কোথায় গেলে নিরাপদে থাকতে পারবে সে ব্যাপারে পরামর্শের জন্য মিনতি করছে। কিন্তু আমার তাদেরকে কিছুই বলার নেই।”