গত ৭ অক্টোবর চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গাজায় নিহত প্যালেস্টাইনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭,১৭৭। আহতের সংখ্যা ৪৬ হাজারের বেশি। তথ্য গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
২৪ ঘণ্টাতেই নিহত হয়েছেন ৩৫০ জন। আহত কমপক্ষে ১,৯০০। গত শনিবার যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে হামলা বাড়ায় ইসরায়েল। শুরু করে সর্বাত্মক স্থল অভিযান।
সংঘাতের শুরুতে উত্তরে হামলা ছিল বেশি। এবার দক্ষিণে মনোযোগ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সেখানে অনেকগুলো জায়গা চিহ্নিত করে সেখান থেকে সরে যেতে বলেছে প্যালেস্টাইনিদের। এরপর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে আগের চেয়ে বেশি হারে।
পরিস্থিতি এমন যে জাতিসংঘ সংশ্লিষ্টরা বারবার বলছে, পালানোর জায়গাও নেই এখানকার মানুষদের।
কিন্তু হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া ইসরায়েল দাবি করছে, হাসপাতাল ও শরণার্থীর শিবিরের নিচে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়ে আছে হামাসের সদস্যরা।
এসব দাবির পক্ষে খুব বেশি কিছু হাজির করতে না পারলেও এসব স্থাপনায় হামলা, তল্লাশি, হেনস্তা ও নির্যাতন ঘটিয়ে চলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ট্যাংক দিয়েছে ঘিরেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিবিসি বলছে, সেখানে তীব্র সংঘাত চলছে।
হামাস প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, ওই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ১০ হাজার মানুষের জন্য ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা বা খাদ্যের কোনো ব্যবস্থা নেই।
এনিয়ে খোদ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনীয় গুতেরেস উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, যে অবস্থা, তাতে গাজায় যতটুকু মানবিক সাহায্যের আয়োজন করা হয়েছে, তাও ধসে পড়বে এবং জনশৃঙ্খলা বিপর্যস্ত হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বক্তব্যের নিন্দা করেছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের মেয়াদকে বিশ্ব শান্তির জন্য একটা বিপদ বলে আখ্যা দেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সাংবাদিক ইসাম আবদাল্লাহ এবং আরো ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে এ দাবি জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় ইসাম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয় তাদের।
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গত ৭ অক্টোবর চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গাজায় নিহত প্যালেস্টাইনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭,১৭৭। আহতের সংখ্যা ৪৬ হাজারের বেশি। তথ্য গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
২৪ ঘণ্টাতেই নিহত হয়েছেন ৩৫০ জন। আহত কমপক্ষে ১,৯০০। গত শনিবার যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে হামলা বাড়ায় ইসরায়েল। শুরু করে সর্বাত্মক স্থল অভিযান।
সংঘাতের শুরুতে উত্তরে হামলা ছিল বেশি। এবার দক্ষিণে মনোযোগ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সেখানে অনেকগুলো জায়গা চিহ্নিত করে সেখান থেকে সরে যেতে বলেছে প্যালেস্টাইনিদের। এরপর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে আগের চেয়ে বেশি হারে।
পরিস্থিতি এমন যে জাতিসংঘ সংশ্লিষ্টরা বারবার বলছে, পালানোর জায়গাও নেই এখানকার মানুষদের।
কিন্তু হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া ইসরায়েল দাবি করছে, হাসপাতাল ও শরণার্থীর শিবিরের নিচে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়ে আছে হামাসের সদস্যরা।
এসব দাবির পক্ষে খুব বেশি কিছু হাজির করতে না পারলেও এসব স্থাপনায় হামলা, তল্লাশি, হেনস্তা ও নির্যাতন ঘটিয়ে চলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ট্যাংক দিয়েছে ঘিরেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিবিসি বলছে, সেখানে তীব্র সংঘাত চলছে।
হামাস প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, ওই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ১০ হাজার মানুষের জন্য ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা বা খাদ্যের কোনো ব্যবস্থা নেই।
এনিয়ে খোদ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনীয় গুতেরেস উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, যে অবস্থা, তাতে গাজায় যতটুকু মানবিক সাহায্যের আয়োজন করা হয়েছে, তাও ধসে পড়বে এবং জনশৃঙ্খলা বিপর্যস্ত হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বক্তব্যের নিন্দা করেছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের মেয়াদকে বিশ্ব শান্তির জন্য একটা বিপদ বলে আখ্যা দেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সাংবাদিক ইসাম আবদাল্লাহ এবং আরো ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে এ দাবি জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় ইসাম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয় তাদের।