সদস্য দেশগুলোর হাতে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমাদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)। এ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি খসড়া প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়েছে।
মূলত রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশগুলোকে এককভাবে কাজ করার স্বাধীনতা দিতেই এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ইইউ। ইইউর সদস্য দেশগুলো এই ক্ষমতা পাইপলাইন ও টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা রুশ কম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং পার্লামেন্ট নতুন এই নিয়মে সম্মত হয়েছে। যার ফলে রাশিয়া এবং বেলারুশ থেকে জ্বালানি আমদানি চালিয়ে যাওয়া কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইইউর সদস্য দেশগুলো অনুমতি পাবে।
ইউক্রেনের রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই ওই কম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপিয়ান আমদানি টার্মিনাল ও পাইপলাইন ব্যবহার করে রাশিয়ান গ্যাস আমদানি অব্যাহত রেখেছে। আগামী বছরের কোনো এক সময় ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা এই প্রস্তাবে ভোটাভুটি করবনে।
কেবল গ্যাস নয়, তরলীকৃত গ্যাস বা এলএনজি আমদানির ওপরও চাইলে দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে। এমনকি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের এলএনজি টার্মিনালগুলো ব্যবহার করা থেকেও রাশিয়া ও বেলারুশকে বাধা দিতে পারবে। যদিও চলতি বছরে, রাশিয়ার থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে এলএনজির আমদানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল বলেছে, নতুন এই নিয়মের মূল লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা। আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মগুলো অনুমোদিত হলে, রুশ গ্যাস আমদানি করছে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব হবে এবং সম্পর্ক ছিন্নকারী সংস্থাগুলোর মালিকদের চুক্তি ভঙ্গের জন্য আর্থিক জরিমানা দিতে হবে না।
নতুন নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য রাশিয়া থেকে অবশিষ্ট গ্যাস আমদানি হ্রাস করার পথ প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ থেকে কয়েক দশক ধরে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করছিল রুশ কম্পানিগুলো।
সংঘাত শুরু হওয়ার পরে অনেক ইইউ দেশ রাশিয়া থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধের জন্য কাজ শুরু করে এবং মস্কোও তার পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে শুরু করে। রাশিয়া সবচেয়ে বড় পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-১-এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ এখনো বন্ধ রেখেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো প্রায় ১০ শতাংশ গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর বেশিরভাগই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) হিসেবে সমুদ্রবাহিত ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। অস্ট্রিয়া এবং হাঙ্গেরিসহ কিছু সদস্য রাষ্ট্র রুশ গ্যাসের সরবরাহের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার পাইপলাইনগুলো বন্ধ হওয়ার পর ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ নিয়ে যে সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখন স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সদস্য দেশগুলোর হাতে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমাদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)। এ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি খসড়া প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়েছে।
মূলত রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশগুলোকে এককভাবে কাজ করার স্বাধীনতা দিতেই এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ইইউ। ইইউর সদস্য দেশগুলো এই ক্ষমতা পাইপলাইন ও টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা রুশ কম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং পার্লামেন্ট নতুন এই নিয়মে সম্মত হয়েছে। যার ফলে রাশিয়া এবং বেলারুশ থেকে জ্বালানি আমদানি চালিয়ে যাওয়া কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইইউর সদস্য দেশগুলো অনুমতি পাবে।
ইউক্রেনের রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই ওই কম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপিয়ান আমদানি টার্মিনাল ও পাইপলাইন ব্যবহার করে রাশিয়ান গ্যাস আমদানি অব্যাহত রেখেছে। আগামী বছরের কোনো এক সময় ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা এই প্রস্তাবে ভোটাভুটি করবনে।
কেবল গ্যাস নয়, তরলীকৃত গ্যাস বা এলএনজি আমদানির ওপরও চাইলে দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে। এমনকি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের এলএনজি টার্মিনালগুলো ব্যবহার করা থেকেও রাশিয়া ও বেলারুশকে বাধা দিতে পারবে। যদিও চলতি বছরে, রাশিয়ার থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে এলএনজির আমদানি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল বলেছে, নতুন এই নিয়মের মূল লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা। আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মগুলো অনুমোদিত হলে, রুশ গ্যাস আমদানি করছে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব হবে এবং সম্পর্ক ছিন্নকারী সংস্থাগুলোর মালিকদের চুক্তি ভঙ্গের জন্য আর্থিক জরিমানা দিতে হবে না।
নতুন নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য রাশিয়া থেকে অবশিষ্ট গ্যাস আমদানি হ্রাস করার পথ প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ থেকে কয়েক দশক ধরে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করছিল রুশ কম্পানিগুলো।
সংঘাত শুরু হওয়ার পরে অনেক ইইউ দেশ রাশিয়া থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধের জন্য কাজ শুরু করে এবং মস্কোও তার পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে শুরু করে। রাশিয়া সবচেয়ে বড় পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-১-এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ এখনো বন্ধ রেখেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো প্রায় ১০ শতাংশ গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর বেশিরভাগই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) হিসেবে সমুদ্রবাহিত ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। অস্ট্রিয়া এবং হাঙ্গেরিসহ কিছু সদস্য রাষ্ট্র রুশ গ্যাসের সরবরাহের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার পাইপলাইনগুলো বন্ধ হওয়ার পর ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ নিয়ে যে সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখন স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।